কলকাতা, 24 সেপ্টেম্বর: কেশসজ্জা শিল্পীর কাজ কমে যাওয়া এবং তার জেরে আত্মহননের পথে বেছে নেওয়া থেকে শুরু করে শৌচাগারে জনৈক টেকনিশিয়ানের উঁকিঝুঁকি - সর্বক্ষেত্রেই আঙুল উঠছে ফেডারেশনের দিকে। "ফেডারেশনের দশটা কাজের মধ্যে নয়টি বেআইনি"- এই দাবি তুলেছে ডিরেক্টরস অ্যাসোসিয়েশন। পাল্টা মুখ খুললেন ফেডারেশন সভাপতি স্বরূপ বিশ্বাস ৷
তিনি বলেন, "আগে প্রমাণ করা হোক লিখিত জানানো হোক ৷ প্রমাণ করতে না পারলে আইনি পথে হাঁটব আমরা। জবাব আইনের মাধ্যমেই দেব।" এরপরেই স্বরূপ বিশ্বাসের দিকে প্রশ্ন ছুঁড়ে দেওয়া হয় সবক্ষেত্রে তিনি টার্গেট হচ্ছেন কেন? ফেডারেশন সভাপতি খানিকটা সহাস্যে উত্তর দেন, "আসলে আমাকে সবাই একটু বেশিই স্নেহ করেন। তাই আমাকে টার্গেট করেন।"
ইতিমধ্যেই সভাপতির পদ থেকে স্বরূপকে সরিয়ে দেওয়ার মতো কথাও উঠছে। সেই ব্যাপারে ফেডারেশন সভাপতি বলেন, "ইলেকশনে জিতে কেউ এই পদে বসুক। আমার কোনও অসুবিধা নেই।" তিনি আরও বলেন, "ফেডারেশনের বিরুদ্ধে কিছু বলার থাকলে আমাদের চিঠির মাধ্যমে জানানো হোক। আইনের পথে তাঁরা হাঁটলে আমরাও উত্তর আইনের মাধ্যমেই দেব।" পাশাপাশি তিনি থ্রেট কালচার নিয়ে প্রশ্ন তোলেন ৷ তিনি বলেন, "হেয়ার ড্রেসারদের ডিরেক্টরস অ্যাসোসিয়েশন বলেছে, শেষ দেখে ছাড়ব। দেখে নেব। এগুলো কী? একে থ্রেট কালচার বলে না?"
উল্লেখ্য, সোমবার ডিরেক্টরস অ্যাসোসিয়েশনের সাংবাদিক সম্মেলনে ইন্দ্রনীল রায়চৌধুরী সাফ জানান, "ফেডারেশনের অধিকাংশ কাজই বেআইনি। কাউকে সাসপেন্ড করার অধিকার কারোর নেই। অনেক টেকনিশিয়ানের সঙ্গে এরকম ঘটনা ঘটেছে। তাঁরা এসে বলার সাহস পান না।" এই কথার পরিপ্রেক্ষীতেই স্বরূপ বিশ্বাস প্রমাণের কথা তুলে ধরেছেন ৷