হায়দরাবাদ, 30 নভেম্বর: সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বাংলাদেশে গ্রেফতার হওয়া চিন্ময়কৃষ্ণ মহাপ্রভুকে নিয়ে উত্তাপ বাড়ছে ৷ যে উত্তাপের আঁচ এসে পড়েছে শহর কলকাতার বুকেও ৷ তারমধ্যেই সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া কিছু ছবি নিয়ে বিতর্ক আরও দানা বাঁধছে ৷
বাংলাদেশে বিশ্বভারতীর প্রবেশ পথে ভারতীয় জাতীয় পতাকার অবমাননা নিয়ে সরব হয়েছেন অভিনেতা জীতু কমল ৷ অভিনেতার পর প্রতিবাদে মুখর কবি শ্রীজাত বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ ভাইরাল হওয়া ছবির সত্যতা যাচাই করেনি ইটিভি ভারত ৷ এদিন, ভারতীয় পতাকার অবমাননার ঘটনায় কবিতায় প্রতিবাদ জানান শ্রীজাত ৷ তিনি কবিতার নাম দেন পতাকা ৷ কবি লেখেন, "শুশ্রূষা ও জল নিয়ে কী সহজে ভুলে গেলে ঋণ! যে-পতাকা পিষে যাচ্ছ, তারই অংশ ছিলে একদিন।...."
এরপর কবি লেখেন, "এত যদি দ্বেষ থাকে, যদি এত ঘৃণা হয় জড়ো - তবে তো সওয়াল ওঠে, ক্ষমা কি দেশের চেয়ে বড়? নামেই স্বাধীন তুমি। চেতনায় আজও পরাধীন। যে-পতাকা পিষে যাচ্ছ, তারই নীচে ছিলে একদিন।" কবিতায় মাধ্যমে সোশাল মিডিয়ায় অভিনব প্রতিবাদে সামিল হয়েছেন অনেক নেটিজেনরাও ৷ এক নেটিজনে লেখেন, "অনবদ্য, একেবারে চাবুক, চোখের সামনে কেমন পালটে গেল একটা গোটা দেশ, সে দেশে এখনো অনেক শুভ বুদ্ধি সম্পন্ন মানুষ আছে, যদিও তাদের নিজেদের অস্তিত্ব বিপন্ন, তারা আর কি প্রতিবাদ করবে? তোমার কবিতাটা অসাধারণ!"
এই ঘটনা সামনে আসার প্রতিবাদী কণ্ঠ জোরালো করেছেন লেখিকা তসলিমা নাসরিন ৷ তিনিও সোশাল মিডিয়ায় লেখেন, "বিশ্বের কোনও পতাকাকে কোনও সুস্থ মস্তিস্কসম্পন্ন মানুষ অবমাননা করে না। আমি বিশ্বের প্রতিটি পতাকাকে সম্মান করি, প্রতিটি দেশের জাতীয় সঙ্গীতকে সম্মান জানাতে আমি উঠে দাঁড়াই।... বাংলাদেশে প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবীরা ভারতের পতাকাকে পায়ে মাড়িয়ে যে সুখ পাচ্ছে, সে সুখ বিকৃত সুখ।"