হায়দরাবাদ, 16 সেপ্টেম্বর: আরজি কর কাণ্ডে প্রথম থেকে প্রতিবাদে সরব অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র ৷ আন্দোলন-বিক্ষোভে সামিল হওয়া থেকে সোশাল মিডিয়া, সবজায়গাতেই আওয়াজ তুলেছেন অভিনেত্রী ৷ এবার তিনি পাশে দাঁড়ালেন মৌসুমী ভট্টাচার্যের ৷ অভিনেত্রীকে নিয়ে নোংরা ভাষায় সোশাল মিডিয়ায় কথা বলেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ ও দেবাংশু ভট্টাচার্য ৷ তারই পালটা উত্তর দেন শ্রীলেখা ৷
এদিন দেবাংশু-কুণালের পোস্ট সোশাল মিডিয়ায় তুলে ধরেন অভিনেত্রী ৷ ক্যাপশনে লেখেন, "এই কুণাল ঘোষদের কথায় না নেচে এঁদের চিনে রাখুন ৷ আপনাদের ধিক্কার ৷ পটির এপিঠ-ওপিঠ দুটোই ৷ কথা বলার ধরণ দেখুন ৷ 'বদন' হ্যায়! কত বড় আস্পর্ধা ৷ ওর বাবা-মায়ের লজ্জা হয় না এমন ছেলের জন্ম দিয়ে?"
হ্যাঁরে @ItsYourDev , তোর পাত্রী দেখার কাজটা এগোব? তোর সঙ্গে বেশ মানাবে। রাগের মধ্যেই থাকে অনুরাগের বীজ। তাছাড়া, কেমন সংস্কার মানে, স্বামীর নাম মুখে আনতে চায় না। আমার তো নিজেকে এখনই ভাসুর ভাসুর লাগছে। pic.twitter.com/bQEvDrL2LV
— Kunal Ghosh (@KunalGhoshAgain) September 16, 2024
ঘটনার সূত্রপাত মৌসুমীর এক বক্তব্যকে ঘিরে ৷ কী বলেছেন তিনি ?
সোশাল মিডিয়ায় এক ভিডিয়ো ভাইরাল হয় ৷ যেখানে তাঁকে বলতে শোনা যায়, "এই যে কুণাল ঘোষ আর ওই যে ছেলেটা আমি নামও ভুলে যাই মাঝে মাঝে দেবাংশু, এদের দুজনের ঘরে বসে বসে লেকচার বেরিয়ে যাবে যেদিন পাবলিকের সামনে পড়বে। সেদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাঁচাতে আসবে না। একদিন তো ডাক্তারের কাছে আসতেই হবে, অসুস্থ সবাই হয় ৷ সেদিন কী হয় ওদের দেখব।"
এই মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষীতে আসরে নামেন কুণাল ও দেবাংশু ৷ কুণাল এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, " হ্যাঁরে দেবাংশু, তোর পাত্রী দেখার কাজটা এগোব? তোর সঙ্গে বেশ মানাবে। রাগের মধ্যেই থাকে অনুরাগের বীজ। তাছাড়া, কেমন সংস্কার মানে, স্বামীর নাম মুখে আনতে চায় না। আমার তো নিজেকে এখনই ভাসুর ভাসুর লাগছে।"
এরপর উত্তরে দেবাংশু ভট্টাচার্য লেখেন, "বলছ তাহলে কুণাল দা ? তুমি খুঁজে দিচ্ছ মানে এত সহজে কি না বলতে পারি! কিন্তু গলা শুনে মনে হচ্ছে বড় দজ্জাল.. টিকবে কি? বিনয় কোঙারের মতো "লাইফ হেল" করে দেবে তো! এ বাবা! এমা.. দাঁড়াও দাঁড়াও.. বিবাহিত তো! সরি..সিরিয়ালে কাজ নেই। ডাক্তারদের আন্দোলনে বিরিয়ানি খেতে গিয়েছে। আমাদের নাম নিয়ে একটু ফুটেজও খাক।"
পাশাপাশি এদিন শ্রীলেখা পরিচালক শুভব্রত চট্টোপাধ্যাের স্ত্রী মারিয়া চট্টোপাধ্যায়ের মন্তব্যেরও তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন ৷ এদিন মারিয়ার একটি পোস্ট তুলে ধরে অভিনেত্রী লেখেন, "এই ভদ্রমহিলা কলকাতার ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির একজন সুপরিচিত পরিচালক শুভব্রত চট্টোপাধ্যায়ের স্ত্রী মাননীয়া মারিয়া চট্টোপাধ্যায়। ইনি জুনিয়র ডাক্তারদের মিথ্যাবাদী বলেছেন এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে তুলনা করে মমতা-কে 'মা' এবং মীনাক্ষীকে 'মীনু মাসি' বলেছেন।"
শ্রীলেখা আরও বলেন, "অন্যান্য সব পেশার মানুষের মতোই, যাঁরা গৃহপরিচারিকার কাজ করেন, আমরা তাঁদের শ্রদ্ধা করি, ইনি কিন্তু সেই শ্রদ্ধার জায়গা থেকে মীনাক্ষীকে 'বাড়ির কাজের মাসি' বলেন নি- এটা বাংলা ভাষা জানা একটি শিশুও বুঝতে পারছে ! জুনিয়র ডাক্তার, রাজ্যের আপামর আন্দোলন কর্মী এবং অবশ্যই রাজ্যের সমস্ত গৃহ পরিচারিকাদের মাননীয় মারিয়া চ্যাটার্জীর মত একজন মমতা অনুরাগীর দৃষ্টিভঙ্গি এবং বক্তব্য জানা প্রয়োজন।"