হায়দরাবাদ, 15 এপ্রিল: সলমন খানের গ্যালাক্সি অ্যাপার্টমেন্টের বাইরে গুলি চালানোর ঘটনায় দু'জন দুষ্কৃতীর মধ্যে একজন গুরুগ্রামের বাসিন্দা ৷ এমনটাই খবর পাওয়া গিয়েছে দিল্লি পুলিশ সূত্রে । রবিবার ভোরে দু'জন অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তি বাইকে করে এসে গ্যালাক্সির সামনে গুলি চালায় ৷ ওই দু'জন দুষ্কৃতী বান্দ্রার গ্যালাক্সি অ্যাপার্টমেন্টের বাইরে চার রাউন্ড গুলি চালিয়ে পালিয়ে যায়। সিসিটিভি ফুটেজে গোটা ঘটনাটি ধরা পড়েছে ৷ বান্দ্রার একজন পুলিশ আধিকারিক জানান, আইপিসি ধারা 307 (খুনের চেষ্টা) এবং অস্ত্র আইনের অধীনে অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে একটি এফআইআর নথিভুক্ত করা হয়েছে ।
দিল্লি পুলিশ সূত্রে খবর, দু'জন দুষ্কৃতীরর মধ্যে যাকে গুরুগ্রামের বাসিন্দা বলে সন্দেহ করা হচ্ছে সে হরিয়ানায় একাধিক হত্যা ও ডাকাতির সঙ্গে জড়িত ৷ মার্চ মাসে গুরুগ্রাম-ভিত্তিক ব্যবসায়ী সচিন মুঞ্জালকে হত্যার দায়ে অভিযুক্ত ওই ব্যক্তি ৷ ওই ঘটনায় তাকে খুঁজছে পুলিশ ৷ বিদেশে বসবাসকারী গ্যাংস্টার রোহিত গোদারা সোশাল মিডিয়া পোস্টে মুঞ্জালের হত্যার দায় স্বীকার করেছিল। গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোই, তার ভাই আনমোল এবং গোল্ডি ব্রারের ঘনিষ্ঠ সহযোগী রোহিত গোদারা ।
রবিবার সলমন খানের বাড়ির বাইরে গুলি চলার কয়েক ঘণ্টা পরে সোশাল মিডিয়ায় আনমোল বিষ্ণোই এই ঘটনার দায় স্বীকার করে এবং বলিউড অভিনেতাকে সতর্ক করে ৷ সে বলে, "এটি কেবল ট্রেলার ।" গত বছরের মার্চ মাসে সলমন খানকে প্রাণে মারার হুমকি দেওয়া হয় ৷ তাঁর অফিসে হুমকি দিয়ে ই-মেল আসে ৷ এরপরেই মুম্বই পুলিশ লরেন্স বিষ্ণোই এবং গোল্ডি ব্রার ও অন্য একজনের বিরুদ্ধে এফআইআর করেছিল ।
এই ঘটনার পর সলমন খানের নিরাপত্তাও বাড়িয়েছিল মুম্বই পুলিশ ৷ তিনি এখন 'ওয়াই ক্যাটাগরি'র নিরাপত্তা পান ৷ সবসময় পুলিশের 11 জনের বিশেষ বাহিনী থাকে বলিউডের ভাইজানের নিরাপত্তা বলয়ে ৷ এছাড়াও একজন কম্যান্ডো এবং দু'জন পিএসও রয়েছেন অভিনেতার নিরাপত্তা বলয়ে ৷ রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় পুলিশের দু'টি গাড়ি সলমনের গাড়িকে এসকর্ট করে নিয়ে যায় ৷ এছাড়াও ব্যক্তিগত নিরাপত্তা রয়েছে ৷ এমনকী সলমন যে গাড়িতে যান সেটিও সম্পূর্ণ বুলেটপ্রুফ ৷ তারপরেও রাস্তায় নয় তবে তাঁর বাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটল ৷
আরও পড়ুন: