কলকাতা, 5 নভেম্বর: বাংলা সিরিয়ালে তাঁদের মধ্যে কাঁটায় কাঁটায় সম্পর্ক। কিন্তু ক্যামেরা রোলিং বন্ধ হলেই আবার তাঁরা হয়ে যান কাছের দোসর ৷ এই মুহূর্তে যাঁরা 'আনন্দী' ধারাবাহিক দেখেন তাঁরা পরিচিত বিজয়া-নন্দিনীর সম্পর্ক নিয়ে ৷ পর্দার বাইরে তাঁদের বন্ধুত্বের খোঁজ, ধারাবাহিকের নানা খুঁটিনাটি শুনল ইটিভি ভারত ৷
মূলত ধারাবাহিকে, বিজয়ার স্বামীর লভ ইন্টারেস্ট নন্দিনী। বিজয়াকে তাই সহ্য করতে পারেন না নন্দিনী। বিজয়াও তাই। ওদিকে বিজয়ার স্বামী যে নন্দিনীকে তেমন ভালোবাসেন তেমনটাও নয়। একটি নার্সিংহোম চালায় নন্দিনী। এহেন নন্দিনী আপাদমস্তক পুরুষশাসিত পরিবার অর্থাৎ আদিদেবদের পরিবারে এসে ছড়ি ঘোরাতে চান। সেই নন্দিনী চরিত্রে রূপা ভট্টাচার্য এবং বিজয়ার চরিত্রে অনিন্দিতা দাস খুব তাড়াতাড়ি দর্শকদের মনে জায়গা করে নিয়েছেন ।
আদিদেবের মা বিজয়া প্রায় অবহেলিত স্বামীর কাছে। স্বামীর সঙ্গে তেমন সখ্যতা নেই তাঁর। স্বভাবতই নন্দিনীর সঙ্গে তাঁর সতীন সমান সম্পর্ক। যদিও তাঁরা সতীন নন। কিন্তু এই নন্দিনী আর বিজয়া অর্থাৎ রূপা ভট্টাচার্য এবং অনিন্দিতা দাসের অফস্ক্রিন কেমিস্ট্রি বেশ মজাদার।
পর্দায় দু'জনের মধ্যে যতই শত্রুতা থাক না কেন, মেক আপ রুমে তাঁরা এক আত্মা এক প্রাণ। একজনের কলটাইম অন্য বেলায় হলে আরেকজনের আবার মন খারাপ হয়। মজার বিষয় পর্দায় যাঁদের সাপে-নেউলে সম্পর্ক তাঁদের কাকতালীয়ভাবে জন্মদিন 11 ফেব্রুয়ারি।
অনিন্দিতা বলেন, "গল্পটা এমনভাবেই লেখা যে স্বামীকেও ভালোবাসে না বিজয়া। এই ধরনের স্বামীদের ভালোবাসা উচিত নয় মেয়েদের। যে স্বামী অন্যের সামনে স্ত্রীকে মারে, অপমান করে সেই স্বামীকে আবার ভালোবাসা কীসের?"রূপা বলেন, "আমার মনে হয় গল্প কয়েকদিন পর থেকে অন্য কথা বলবে ৷" তবে, সেটা জানার জন্য দেখতে হবে এই ধারাবাহিক।