কলকাতা, 5 ডিসেম্বর: 30 তম কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে 'ইন্ডিয়ান ল্যাঙ্গোয়েজ ফিল্ম কম্পিটিশন' বিভাগে দেখানো হবে একটিই মাত্র বাংলা ছবি 'ন মাস ন দিন এবং অন্তহীন'। পরিচালক সৌম্যদীপ ঘোষ চৌধুরীর এটিই প্রথম ফিচার ফিল্ম। ছবির বিষয় 'ফ্যান্টম প্রেগন্যান্সি সিউডোসাইসিস'।
সেই ছবি তৈরি করতে গিয়ে কী কী অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হতে হয়েছে পরিচালককে, অভিনেত্রী শ্রেয়া ভট্টাচার্য ও সাগ্নিক মুখোপাধ্যায় কীভাবে নিজেদের চরিত্রের জন্য তৈরি করেন ইটিভি ভারতের সঙ্গে খোলামেলা আড্ডায় উঠে এল সেই সব অজানা কথা ৷
পরিচালক বলেন, "আমি জানতাম এটা শুধুমাত্র পশুদের ক্ষেত্রেই ঘটে। যে সব মহিলা নানা কারণে কনসিভ করতে পারছে না, তাদের মধ্যেই দেখা যায় এই ডিলেমা। তার কাছে প্রেগন্যান্সি সংক্রান্ত যে যে তথ্য থাকে সেই অনুযায়ী তার শারীরিক পরিবর্তন ঘটে। এরপর ডাক্তারের কাছে গিয়ে তারা যখন জানতে পারে যে তেমন কিছুই হয়নি, তখন তারা হতভম্ব হয়। মানসিক চাপও পড়ে তাদের উপরে। এমনই একজন মহিলার চরিত্রে শ্রেয়া ভট্টাচার্য এবং তার স্বামীর চরিত্রে সাগ্নিক মুখোপাধ্যায়।"
গত বছর নভেম্বর মাসে এই ছবির শুটিং শুরু হয়। টানা এক বছর ধরে নানা সময়ে চলেছে শুটিং। ছবিতে 25 জন শিশু ও তাঁদের মায়েদের দেখানো হয়েছে। সব মিলিয়ে প্রায় 100 জন অভিনয় করেছেন এই ছবিতে। শ্রেয়া, সাগ্নিক ছাড়াও দুটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছেন পারমিতা মুখোপাধ্যায়, বৈশাখী রায়। জানা গিয়েছে, গোটা একটি গ্রাম তৈরি করা হয়েছিল এই ছবির জন্য। শুটিংয়ের সময়ে নানা রকমের অভিজ্ঞতা হয়েছে অভিনেতা এবং পরিচালকের। এমনকী হুমকিও এসেছে তাঁদের কাছে।
এই ধরনের ছবি বানাতে গেলে প্রযোজকদের আগ্রহ কতটা দেখা যায়? উত্তরে সৌম্যদীপ বলেন, "এই ধরনের ছবি বলেই নয়, যে কোনও ছবি নিয়ে প্রযোজকের কাছে গেলেই আগে প্রশ্ন থাকে কে কে আছে? বিশেষ বিশেষ কিছু অভিনেতা না থাকলে তাঁরা রাজি হন না।" ছবিটি নিয়ে আশাবাদী সকলেই।