হায়দরাবাদ, 16 জুন: উত্তর কলকাতার গোয়াবাগান এলাকায় মিঠুন চক্রবর্তীর বাড়ি যে কেউ দেখিয়ে দিতে পারেন নিমেষে ৷ বাংলার সেই ছেলে ভাগ্য অন্বেষণে মুম্বই পাড়ি দেন ৷ তারপর অভিনেতা হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠার লড়াই শুরু করেছিলেন ৷ সেই যুদ্ধে তাঁকে আজ মহাগুরুর স্থান দিয়েছে ৷ হিন্দি ও বাংলাকে তিনি যে মাত্রায় নিয়ে গিয়েছেন, তা সিনেপ্রেমীদের মনে নির্দিষ্ট জায়গা করে নিয়েছে ৷ তবে তাঁর ফিল্মি কেরিয়ারের লড়াই বা জার্নি কম-বেশি অনেক সাক্ষাৎকারেই উঠে এসেছে ৷ এটা হয়তো অনেকেই জানেন না, নিজের জন্মদিন পালন করতে পছন্দ করেন না মহাগুরু ৷
ঘনিষ্ঠ এক সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, জন্মদিনের দিন বেঙ্গালুরুতে রয়েছেন মিঠুন ৷ সেখানে তাঁর একটি হোটেল তৈরি হচ্ছে ৷ সেই কাজ দেখতেই সেখানে রয়েছেন তিনি ৷ অবশ্য জন্মদিন হোক বা অন্য কোনও দিন বাঙালি খাবার খেতেই বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন মহাগুরু ৷ ঘনিষ্ঠ সূত্রে জানা যায়, শুটিংয়ে হোক বা অন্য কোথাও গেলে হোটেলের বাঙালি খাবারই তিনি পছন্দ করেন ৷ তবে মিঠুন নাকি সবচেয়ে বেশি খেতে পছন্দ করেন বিউলির ডাল, আলু পোস্ত ও কাতলা মাছের পাতলা ঝোল ৷
শুধু তাই নয়, শরীরে হালকা মধুমেহ-র লক্ষণ দেখা গেলেও মিষ্টি খেতে নাকি প্রচণ্ড পছন্দ করেন মহাগুরু ৷ যার মধ্যে প্রথমেই রয়েছে বাংলার রসগোল্লা ৷ তবে হ্যাঁ, শহরের ফাঁপা বা স্পঞ্জের রসগোল্লা একদমই পছন্দ করেন না তিনি ৷ বরং গ্রামবাংলার সলিড রসগোল্লাই নাকি মিঠুনের বেশি পছন্দ ৷ সম্প্রতি অসুস্থতার জন্য হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছিল অভিনেতাকে ৷ তারপর থেকে নিজের খাওয়া-দাওয়া নিয়ে অনেকটাই নাকি সচেতন হয়েছেন ৷ ডায়েটে ব্যালেন্স রেখে চলছেন ৷
তবে মজার বিষয়, নিজের জন্মদিন কখনওই পালন করতে পছন্দ করেন না মিঠুন চক্রবর্তী ৷ ঘনিষ্ঠ সূত্রে জানা গিয়েছে, তাঁর জন্মদিনে কখনও কেক কাটা হয় না ৷ এমনকী, ছেলে-স্ত্রী-পুত্রবধূ কখনও কেক কেটে জন্মদিন পালন করেন না ৷
শুধু তাই নয়, তাঁর কাছের বন্ধু, সহকর্মীরাও জানেন আর যাইহোক, মিঠুনের জন্মদিন কেক কেটে উদযাপন করা যাবে না ৷ ঘনিষ্ঠ সূত্র মতে, "এটায় নাকি দাদার কোনও সুপারস্টিশন রয়েছে ৷ দাদা এগুলো ঠিক পছন্দ করেন না ৷ তবে কেন, তাও খুলে বলেননি ৷ তবে বাড়িতে থাকলে জন্মদিনের একটা খাওয়া-দাওয়া হয় ৷" যাইহোক, দিনের শেষে মহাগুরু জন্মদিন যেভাবেই পালন করুন না কেন, তিনি সুস্থ থাকুন, ভালো থাকুন এই প্রার্থনা রইল ইটিভি ভারতের তরফ থেকেও ৷