ETV Bharat / entertainment

কঙ্গনার মন্তব্যের দায়ভার নিতে নারাজ বিজেপি, এবার কী করবেন অভিনেত্রী? - Kangana Ranaut - KANGANA RANAUT

Kangana Ranaut Controversy: ফের বিতর্কে জড়িয়েছেন অভিনেত্রী তথা মান্ডির সাংসদ কঙ্গনা রানাওয়াত ৷ কৃষক বিক্ষোভ নিয়ে মন্তব্যের জেরে বিজেপির অন্দরেই বিতর্কের মুখে পড়েছেন বলিউড কুইন ৷ অভিনেত্রীর মন্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতি জারি বিজেপির ৷

Kangana Ranaut Controversy
বিজেপিতেই কোণঠাসা 'কুইন' কঙ্গনা (সোশাল মিডিয়া)
author img

By ETV Bharat Entertainment Team

Published : Aug 26, 2024, 6:32 PM IST

হায়দরাবাদ, 26 অগস্ট: বলিউড কুইন কঙ্গনা যখনই মুখ খোলেন জন্ম দেন বিতর্কের ৷ এবারও তার ব্যতিক্রম নয় ৷ সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে কৃষক আন্দোলন নিয়ে মত প্রকাশ করেন কঙ্গনা ৷ সেখানে তিনি জানান, ভারত সরকার যদি তখন কড়া পদক্ষেপ না নিত তাহলে দেশের অবস্থাও নাকি বাংলাদেশের মতো হত। অভিনেত্রী তথা মান্ডির সাংসদের এই মন্তব্যের বিরোধিতা করে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে বিজেপি। বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, অভিনেত্রীর মন্তব্যের সঙ্গে একমত নন তাঁরা ৷

কী লেখা হয়েছে বিজেপি বিবৃতিতে?

সোমবার বিকালে বিজেপির তরফে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয় ৷ সেখানে বলা হয়, "বিজেপির সাংসদ কঙ্গনা রানাওয়াত কৃষক আন্দোলন নিয়ে যে মন্তব্য করেছেন তা পার্টির কথা নয়। ভারতীয় জনতা পার্টি কঙ্গনা রানাওয়াতের এই মতামতের সঙ্গে সহমত নয়। পার্টির তরফে পার্টির নীতিগত বিষয়ে বলার জন্য কঙ্গনা রানাওয়াতের না অনুমতি আছে আর না আছে অধিকার।" পাশাপাশি এদিন বিজেপির তরফে অভিনেত্রীকে ভবিষ্যতের জন্য সাবধানও করা হয় বিবৃতিতে ৷ সেখানে বলা হয়, "ভারতীয় জনতা পার্টির তরফে কঙ্গনা রানাওয়াতকে জানানো হচ্ছে তিনি যেন ভবিষ্যতে আর এমন কোনও বক্তব্য না রাখেন।"

বলিউড কুইন ঠিক কী বলেছিলেন?

সাক্ষাৎকারের সেই ভিডিয়ো ভাইরাল সোশাল মিডিয়ায় ৷ সেখানে অভিনেত্রী বলেন, " বাংলাদেশে যা ঘটেছে তা এই দেশেও ঘটতে দেরি হত না। যদি আমাদের শীর্ষ নেতৃত্ব বিষয়টা শক্ত হাতে না সামলাতো। এখানে যে কৃষক আন্দোলন হয়েছিল, সেই অন্দোলনের সময়ও অনেক দেহ মিলেছে। ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। আর যখন কৃষি আইন প্রত্যাহার করে নেওয়া হল, তখন গোটা দেশ অবাক হয়ে গিয়েছিল। কৃষকরাও ভাবতে পারেননি যে সত্যিই এই আইন প্রত্যাহার করে নেওয়া হবে। ওটা অনেক বড় পরিকল্পনা করা হয়েছিল। ঠিক যেমনটা বাংলাদেশে ঘটেছে।"

তিনি আরও বলেন, "কিছু কৃষক আইন প্রত্যাহারের পরও আন্দোলন চালিয়ে গিয়েছেন। এ ধরনের আন্দোলনের পিছনে আপনার কী মনে হয় কৃষকদের হাত আছে! নাহ, এটা আমেরিকার ষড়যন্ত্র। এধরনের বিদেশি শক্তি এভাবেই ষড়যন্ত্র করতে থাকে। আর এখানকার কিছু লোকজন ভাবে, দেশের যা অবস্থা হচ্ছে হোক, তাতে তাঁদের কী! কিন্তু তাঁরা জানেন না যদি দেশের অবনতি হয়, তাহলেও আপনারও অবনতি হবে ৷ এত সুবুদ্ধি থাকলে সমস্যা মিটেই যেত।"

অভিনেত্রীর এই মন্তব্যের পরেই নেটপাড়ায় শুরু হয়েছে বিতর্ক ৷ কংগ্রেস নেতা কাজ কুমার ভেরকা ঘটনায় তদন্তের দাবি জানিয়েছেন পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবৎ মানের কাছে ৷ পাশাপাশি, কঙ্গনাকে ডিব্রুগড় জেলে পাঠানো হোক, বলে দাবি জানিয়েছেন তিনি ৷ কঙ্গনার মন্তব্যের সমালোচনা করেছে আম আদমি পার্টিও ৷ অন্যদিকে, কঙ্গনা রানাওয়াতের আসন্ন ছবি ইমার্জেন্সি নিয়ে তীব্র আপত্তি জানিয়েছে শিরোমণি গুরুদ্বার প্রবন্ধক কমিটি। পরিচালক সমিতি ছবিটির ওপর নিষেধাজ্ঞা চেয়েছে। এখন দেখার, অভিনেত্রী তথা সাংসদ কঙ্গনার তরফ থেকে কোনও নতুন বিবৃতি আসে কি না ৷

হায়দরাবাদ, 26 অগস্ট: বলিউড কুইন কঙ্গনা যখনই মুখ খোলেন জন্ম দেন বিতর্কের ৷ এবারও তার ব্যতিক্রম নয় ৷ সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে কৃষক আন্দোলন নিয়ে মত প্রকাশ করেন কঙ্গনা ৷ সেখানে তিনি জানান, ভারত সরকার যদি তখন কড়া পদক্ষেপ না নিত তাহলে দেশের অবস্থাও নাকি বাংলাদেশের মতো হত। অভিনেত্রী তথা মান্ডির সাংসদের এই মন্তব্যের বিরোধিতা করে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে বিজেপি। বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, অভিনেত্রীর মন্তব্যের সঙ্গে একমত নন তাঁরা ৷

কী লেখা হয়েছে বিজেপি বিবৃতিতে?

সোমবার বিকালে বিজেপির তরফে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয় ৷ সেখানে বলা হয়, "বিজেপির সাংসদ কঙ্গনা রানাওয়াত কৃষক আন্দোলন নিয়ে যে মন্তব্য করেছেন তা পার্টির কথা নয়। ভারতীয় জনতা পার্টি কঙ্গনা রানাওয়াতের এই মতামতের সঙ্গে সহমত নয়। পার্টির তরফে পার্টির নীতিগত বিষয়ে বলার জন্য কঙ্গনা রানাওয়াতের না অনুমতি আছে আর না আছে অধিকার।" পাশাপাশি এদিন বিজেপির তরফে অভিনেত্রীকে ভবিষ্যতের জন্য সাবধানও করা হয় বিবৃতিতে ৷ সেখানে বলা হয়, "ভারতীয় জনতা পার্টির তরফে কঙ্গনা রানাওয়াতকে জানানো হচ্ছে তিনি যেন ভবিষ্যতে আর এমন কোনও বক্তব্য না রাখেন।"

বলিউড কুইন ঠিক কী বলেছিলেন?

সাক্ষাৎকারের সেই ভিডিয়ো ভাইরাল সোশাল মিডিয়ায় ৷ সেখানে অভিনেত্রী বলেন, " বাংলাদেশে যা ঘটেছে তা এই দেশেও ঘটতে দেরি হত না। যদি আমাদের শীর্ষ নেতৃত্ব বিষয়টা শক্ত হাতে না সামলাতো। এখানে যে কৃষক আন্দোলন হয়েছিল, সেই অন্দোলনের সময়ও অনেক দেহ মিলেছে। ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। আর যখন কৃষি আইন প্রত্যাহার করে নেওয়া হল, তখন গোটা দেশ অবাক হয়ে গিয়েছিল। কৃষকরাও ভাবতে পারেননি যে সত্যিই এই আইন প্রত্যাহার করে নেওয়া হবে। ওটা অনেক বড় পরিকল্পনা করা হয়েছিল। ঠিক যেমনটা বাংলাদেশে ঘটেছে।"

তিনি আরও বলেন, "কিছু কৃষক আইন প্রত্যাহারের পরও আন্দোলন চালিয়ে গিয়েছেন। এ ধরনের আন্দোলনের পিছনে আপনার কী মনে হয় কৃষকদের হাত আছে! নাহ, এটা আমেরিকার ষড়যন্ত্র। এধরনের বিদেশি শক্তি এভাবেই ষড়যন্ত্র করতে থাকে। আর এখানকার কিছু লোকজন ভাবে, দেশের যা অবস্থা হচ্ছে হোক, তাতে তাঁদের কী! কিন্তু তাঁরা জানেন না যদি দেশের অবনতি হয়, তাহলেও আপনারও অবনতি হবে ৷ এত সুবুদ্ধি থাকলে সমস্যা মিটেই যেত।"

অভিনেত্রীর এই মন্তব্যের পরেই নেটপাড়ায় শুরু হয়েছে বিতর্ক ৷ কংগ্রেস নেতা কাজ কুমার ভেরকা ঘটনায় তদন্তের দাবি জানিয়েছেন পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবৎ মানের কাছে ৷ পাশাপাশি, কঙ্গনাকে ডিব্রুগড় জেলে পাঠানো হোক, বলে দাবি জানিয়েছেন তিনি ৷ কঙ্গনার মন্তব্যের সমালোচনা করেছে আম আদমি পার্টিও ৷ অন্যদিকে, কঙ্গনা রানাওয়াতের আসন্ন ছবি ইমার্জেন্সি নিয়ে তীব্র আপত্তি জানিয়েছে শিরোমণি গুরুদ্বার প্রবন্ধক কমিটি। পরিচালক সমিতি ছবিটির ওপর নিষেধাজ্ঞা চেয়েছে। এখন দেখার, অভিনেত্রী তথা সাংসদ কঙ্গনার তরফ থেকে কোনও নতুন বিবৃতি আসে কি না ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.