কলকাতা, 22 নভেম্বর: আন্দোলন থেকে সরে গেলেন চিকিৎসক-অভিনেতা কিঞ্জল নন্দ ? তবে, কি অভিনয় জগতে নিজের দর বাড়াতেই আন্দোলনের পুরোভাগে ছিলেন তিনি ? সিনেমার পোস্টার ও বিজ্ঞাপন প্রকাশ্যে আসার পর, এমনই প্রশ্ন সোশাল মিডিয়ায় ঘুরে বেড়াচ্ছে জুনিয়র চিকিৎসক কিঞ্জল নন্দকে ঘিরে ৷
জুনিয়র চিকিৎসক কিঞ্জল নন্দ আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের পিজিটি ৷ এর পাশাপাশি তাঁর আরও একটি পরিচয় হল, তিনি অভিনেতা ৷ একাধিক ফিল্ম ও নাটকে তাঁকে দেখা গিয়েছে অতীতেও ৷ তবে, সেই অভিনয় সত্ত্বাকে সরিয়ে রাখলে, আরজি কর-কাণ্ডে আন্দোলনকারীদের মধ্যে প্রথম সারির একজন তিনি ৷ এই মুহূর্তে তাঁকে নিয়ে ওঠা সব প্রশ্নের জবাব দিলেন চিকিৎসক-অভিনেতা কিঞ্জল ৷
জুনিয়র চিকিৎসক তথা অভিনেতা কিঞ্জল জানান, "আমরা আমাদের কাজে ফিরে গিয়েছি সবাই ৷ এর সঙ্গে আন্দোলনের যোগ নেই ৷ আমার নিজের কাছে পরিষ্কার হওয়ার কিছু নেই ৷ যাঁরা আমাকে দেখেছেন, জানেন, তাঁরা বুঝতে পেরেছেন আমি কেন আন্দোলন করেছি এবং করছি ৷ এখনও আমাদের কলেজে-কলেজে আন্দোলন চলছে ৷ তবে, অভিনয় আমার অন্য আরেকটি দিক ৷ এর সঙ্গে তার কোনও যোগসূত্র নেই ৷ আমরা তো সবাই কাজে ফিরেছি ৷ আমি আমার কাজ করছি ৷ আমি তো কোনও অনৈতিক কাজ করছি না ! আমি যা করেছি তা নিজের যোগ্যতায় ৷"
তিনি এও বলেন, "ওঁদের কথা অনুযায়ী অভিনয়টা ছেড়ে দিতে হবে । বিজ্ঞাপনটি আরজি কর-কাণ্ডে আন্দোলনের অনেক আগেই তৈরি হয়েছে ৷ তবে, এখন সংস্থা সেটা প্রকাশ্যে এনেছে ৷ একটা সংস্থা কবে, কোন বিজ্ঞাপন প্রকাশ্যে আনবে, তা সম্পূর্ণ তাদের সিদ্ধান্ত ৷ আর ওই কাজটা একজন অভিনেতা হিসেবে করেছি ৷"
কিঞ্জল-সহ জুনিয়র ডাক্তারদের নামে ট্রাস্টে 1.70 কোটি টাকা ! উৎস কী, প্রশ্ন কুণালের
উল্লেখ্য, সম্প্রতি কিঞ্জল তাঁর সোশাল মিডিয়ায় দু’টি পোস্টার শেয়ার করেছেন ৷ যার একটি 'পরবাসী' নামে ফিল্মের ৷ যেটি আইএফএফ গোয়া 2024-এর জন্য নির্বাচিত হয়েছে ৷ আরেকটি 'ডিএনডি' নামে পোস্টার সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন তিনি ৷ সেখানে আসন্ন বলে লেখা রয়েছে ৷ সেই সঙ্গে একটি বিজ্ঞাপনের পোস্টারও সামনে এসেছে ৷ আরজি কর আন্দোলনের পরপরই একের পর এক সিনেমা ও বিজ্ঞাপনের পোস্টার প্রকাশ হওয়াতেই কিঞ্জলের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে ৷
4 অক্টোবর কর্মবিরতি তুলে নিয়ে নিজেদের কাজে যোগ দিয়েছিলেন জুনিয়র চিকিৎসকরা ৷ তবে, ঠিক তার পরের দিন থেকে ধর্মতলায় আমরণ অনশনে যোগ দিয়েছিলেন জুনিয়র ডক্টরস ফোরামের 7 প্রতিনিধি ৷ সেই অনশন উঠেছিল 21 অক্টোবর রাতে ৷ তারপর সবাই কাজে ফিরে গিয়েছেন । কিন্তু, এখনও আরজি করের চিকিৎসক ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় বিচার বাকি রয়েছে ৷ পাশাপাশি জুনিয়র ডক্টরস ফোরামে 10 দফা দাবিও পূরণ হওয়া বাকি ৷ তাই অবস্থান উঠলেও আন্দোলন থামেনি ৷ সেই কথাই জুনিয়র চিকিৎসক তথা অভিনেতা আরও একবার উল্লেখ করলেন ৷
সম্প্রতি আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে সাফাই অভিযান করা হয়েছে ৷ হাসপাতাল চত্বর পরিষ্কারের পাশাপাশি, দুর্নীতিগ্রস্ত লোকজনদের সাফাই করার বার্তাই এই কর্মসূচির মাধ্যমে দিয়েছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা ৷ সেখানেও নেতৃত্বে ছিলেন কিঞ্জল নন্দ ৷ এছাড়াও, আরজি কর-কাণ্ডের 100 দিন উপলক্ষে রক্তদান শিবিরেও তাঁকে দেখা গিয়েছিল ৷ তিনি জানালেন, সামনেই জুনিয়র চিকিৎসকদের পরীক্ষা রয়েছে ৷ তাই নিয়ে সকলে ব্যস্ত ৷ তবে, তার মধ্যেও নানা কর্মসূচিতে যোগ দিচ্ছেন বলে জানান কিঞ্জল ৷