কলকাতা, 13 জুন: এই মুহূর্তে আলোচনার শীর্ষে বিধায়ক তথা অভিনেতা সোহম চক্রবর্তী ৷ তাঁর ঘটানো সাম্প্রতিক একটি ঘটনায় সতীর্থদেরও নিন্দার মুখে পড়েছেন মাস্টার বিট্টূ থুড়ি সোহম ৷ রেস্তরাঁর মালিককে প্রহারের অভিযোগে আজ তিনি হিরো থেকে এক ধাক্কায় চলে এসেছেন ভিলেনের জায়গায় ৷ এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে মুখ খুললেন অভিনেতা তথা বিজেপি বিধায়ক হিরণ চট্টোপাধ্যায়, অভিনেতা ভাস্বর চট্টোপাধ্যায় থেকে পায়েল সরকার ও রূপাঞ্জনা মিত্ররা ৷
- হিরণ চট্টোপাধ্যায় বলেন, "এই সোহম সেই সোহম নয়। এই সোহম আমার বন্ধু নয়। এই সোহমকে আমি চিনি না। এই সোহম ক্ষমতার অপব্যবহারকারী সোহম ৷ তৃণমূল কংগ্রেসের থেকে পাওয়া ঔদ্ধত্যের নেতা। যে কাজটা সোহম করল তা নিঃসন্দেহে অপরাধ। একজন নিরীহ ব্যবসায়ীকে বেধড়ক মেরে যে মানসিকতার পরিচয় দিল তা নিন্দনীয়। বাকিটা পুলিশ প্রশাসন আর সাধারণ মানুষ বুঝে নিক একজন সাধারণ অভিনেতা তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে ক্ষমতা পেলে কী করতে পারে।"
- অভিনেতা ভাস্বর চট্টোপাধ্যায় বলেন, "অত্যন্ত নিন্দনীয় ঘটনা। সোহমকে অনেকদিন ধরেই চিনি ৷ ও এভাবে রিঅ্যাক্ট করতে পারে জানা ছিল না আমার। ভিডিয়োটা দেখার পর আমি হতবাক হয়েছি। এক ভদ্রলোককে ওভাবে ধাক্কা মেরে মাটিতে ফেলে দিয়ে মারছে। এটা সোহমকে মানায় না। ওর ইমেজটা হিরোর। ওই হিরো ইমেজটাই মানুষ মনে রেখে দিয়েছে। অনেকদিন ধরে কাজ করছে ইন্ডাস্ট্রিতে। তা সে চাইল্ড আর্টিস্ট হিসেবে হোক বা হিরো হিসেবে। এই কাজটা ওর ইমেজে ছাপ ফেলতে পারে। মানুষ এটা ভালোভাবে নেননি। তার উপরে সোহম জনপ্রতিনিধি। তাই ওর নিজেকে কন্ট্রোল করা উচিত ছিল। কাজটা ঠিক হয়নি।"
- অভিনেত্রী পায়েল সরকার বলেন, "এই নিয়ে অনেক কথা চলছে। সোহম তো ক্ষমাও চেয়েছে। আমার মনে হয় হিট অফ দ্য মোমেন্ট ঘটেছে এটা। সোহম ওই ধরনের মানুষ নয়। তবে, যেহেতু পাবলিক ফিগার তাই আরেকটু সংযত হওয়া দরকার ছিল। গায়ে হাত তোলা ঠিক হয়নি।"
- অভিনেত্রী রূপাঞ্জনা মিত্র বলেন, "এই ঘটনা এই প্রথম না। আগেও ঘটেছে। পাবলিক যাদের জনপ্রতিনিধি করে জায়গা করে দিয়েছে তারাই সেই জায়গাটার অপব্যবহার করে। এই ঘটনা নতুন না। আমার সঙ্গেও ঘটেছে এরকম অভব্যতা। তবে, সোহমকে যতদূর চিনি ও খুব নরম মনের এবং ভদ্র ব্যবহার ওর। নিশ্চয়ই এমন কিছু ঘটেছে যা ওঁকে সেই সময়ে উত্যক্ত করেছে। তাছাড়া সোহম তো ক্ষমা চেয়েছে। একজন মানুষ ভুল বুঝতে পেরে ক্ষমা চাইলে সে ছোট হয়ে যায় না। বরং তার পথ আরও সতর্ক হয়।"