মধ্যমগ্রাম, 8 ডিসেম্বর: খাদান ছবির মুক্তি আসন্ন ৷ ছবির প্রোমোশনে বেঙ্গল ট্যুরে মধ্যমগ্রামে পৌঁছন দেব ও তাঁর টিম ৷ ছবির প্রমোশন অনুষ্ঠান ঘিরে চরম বিশৃঙ্খলা। দেবের ঝলক পেতে উপস্থিত অনুরাগীদের মধ্যে শুরু হয় ধাক্কাধাক্কি ৷ উপস্থিত দর্শকদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ লাঠিচার্জ করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে ৷
যার বেশ কিছুক্ষণ অবরুদ্ধ হয়ে থাকে যশোর রোড। যদিও, লাঠিচার্জের কথা অস্বীকার করেছেন বারাসতের এসডিপিও বিদ্যাধর আজিঙ্কা অনন্ত। তাঁর দাবি, "প্রচুর ভিড়ের কারণে কিছুটা হইচই হয়। ভিড় সামলাতে কিছু পদক্ষেপ নিতে হয়েছে।" তবে এর বাইরে কিছুই আর বলতে রাজি হননি ওই পুলিশ আধিকারিক।
অভিনেতা দেবের আলাদাই ফ্যানবেস। ভোটের প্রচার হোক কিংবা ছবির প্রচার, উপচে পড়া ভিড় সব সময়ই নজরে এসেছে। তাঁর আগামী ছবি ‘খাদান’-এর প্রচারেও দেখা গেল সেই একই ছবি। রবিবার সন্ধ্যায় মধ্যমগ্রামের স্টার মল চত্বরে ছবির প্রমোশনে আসেন দেব। ছিলেন অন্যান্য কলাকুশলীরাও। দেবের আসার খবরে এদিন বিকেল থেকেই ভক্তদের ভিড় বাড়তে থাকে সেখানে।
সন্ধ্যার পর সেই ভিড় উপচে পড়ে মলের ঠিক পাশে যশোর রোডে। সেই ভিড় সামাল দিতে গিয়ে রীতিমতো হিমশিম খেতে হয় পুলিশকে। শুরু হয়ে যায় ধাক্কাধাক্কি। যার জেরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। শেষমেশ, লাঠি উঁচিয়ে জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে হয় পুলিশকে। কেউ কেউ লাঠিচার্জের অভিযোগ তুললেও পুলিশ অবশ্য সে কথা অস্বীকার করেছে। স্থানীয় সূত্রের খবর, ভিড়ের চাপে বেশ কিছুক্ষণের জন্য অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে যশোর রোড। তাতে ভোগান্তি বাড়ে পথে বের হওয়া সাধারণ মানুষকে ।
একটা সময় পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছয়, কলকাতাগামী রাস্তা এক দিকে বন্ধ করে আর এক দিক দিয়ে সাধারণ মানুষকে বের করতে হয়। নিয়ন্ত্রণ করতে হয় যান চলাচলও। এদিকে, নির্দিষ্ট সময়ের পর দেব যখন মঞ্চে ওঠেন তখন মঞ্চের ঠিক সামনে অগনিত তাঁর ভক্তের ভিড়। সেই সময় দেব নিজেই মাইক হাতে তুলে নিয়ে বলেন, "আমি জানি সকলে উন্মাদনায় ফুটছেন। তবে এমন কিছু করবেন না যাতে আমাকে এখনই চলে যেতে হয়। অনেক মহিলা, শিশু আছে এখানে। একটাই অনুরোধ ঠেলাঠেলি করবেন না।"
তারপরও ভিড়ের ঠেলায় বিশৃঙ্খলা এড়ানো গেল না। ঠিক সময়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে যে কোনও রকম অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে যেতে পারত বলে মনে করছেন জেলা পুলিশের কর্তারা।