হায়দরাবাদ, 20 অগস্ট: টলিউড তারকাদের পর এবার সঙ্গীতশিল্পীরা আরজি কর ঘটনার প্রতিবাদে রাস্তায় নেমেছেন ৷ বিগত কয়েকদিন ধরে কলকাতার রাজপথে ও সোশাল মিডিয়ায় দাবি একটাই 'জাস্টিস চাই' ৷ এই সবকিছুর মধ্যে কটাক্ষের মুখে পড়েছেন টলিপাড়ার 'খোকা' অর্থাৎ অনির্বাণ ভট্টাচার্য ৷ তাঁর নীরবতা নিয়ে প্রযোজক রাণা সরকারও সোশাল মিডিয়ায় প্রশ্ন তোলেন ৷ এবার অভিনেতার পাশে দাঁড়ালেন 'ইন্দুবালা ভাতের হোটেল'-এর পরিচালক দেবালয় ভট্টাচার্য ৷
মঙ্গলবার সোশাল মিডিয়ায় তিনি লেখেন, "অনির্বাণ ভট্টাচার্য কেন নীরব। তাই নিয়ে দেখছি নানা ক্ষোভ। তিনি একজন শিল্পী। তাঁর কাজ নয় গিয়ে মিডিয়ার সামনে বক্তব্য রাখা। তাঁর কাজ তাঁর কাজে, নাটক সিনেমাতে তাঁর বক্তব্য রাখা। সেটা না করতে পারলে তাঁকে দুষতে পারেন। সেলিব্রিটি দিয়ে আন্দোলন হয় না।"
এরপর তিনি লেখেন, "সর্বপ্রথম এই সবটা থেকে সেলেব্রিটিদের কোট-আনকোট ব্যান করা উচিত। ফুটেজ কামী ইজ দ্য নিউ সেক্সুয়ালিটি ৷ আমরা শিল্পী। আমরা আমাদের কাজ কম-বেশি করার চেষ্টা করি। হয়তো পারি না। ইতিহাস তার বিধান দেবে। মানুষ প্রতিবাদ করুক। সেলিব্রেটিরা ফানুস। আসিবে যাইবে ফুটেজ পাইবে। নেতা কই? কেন সেলেবদের কথা বলতে দেওয়া হচ্ছে। এটা সম্পূর্ণ একটি পলিটিক্যাল লড়াই। সেলেবরা বলছে কারণ সুশীল সমাজে কোনও নেতা নেই। বিপক্ষ নেই। ব্রিটিশ ভারতের বিরুদ্ধে গান্ধীর কথা শুনতো লোকে ফিয়ারলেস নাদিয়া (Fearless Nadia)-র বাইট নিত না। নিলে ট্রোল হত আমি নিশ্চিত।"
স্পষ্ট ভাষায় পরিচালক দেবালয় বলেন, "আমরা বিরোধী দল (opposition) বানাতে পারিনি। আমাদের নেতা নেই, মুখপাত্র নেই। আমাদের কণ্ঠস্বর গরু নামক রচনা ৷ এর জন্য আমরা দায়ী। কর্মফল। আর এর মধ্যে কেউ চেগে গিয়ে চিৎকার করল। আসছে বছর আবার হবে। বুঝতে পারেনি। ক্ষমা করে দেবেন তাঁদের।"
প্রসঙ্গত, প্রযোজক রাণা সরকার দু'দিন আগেই সোশাল মিডিয়া অনির্বাণ ভট্টাচার্যের ছবি শেয়ার করে নিরুদ্দেশ সম্পর্কে ঘোষণা করেন ৷ সেখানে তিনি জানান, আরজি কর ঘটনার পর থেকে খোকা নিখোঁজ ৷ সন্ধান পেলে জানাবেন ৷ তারপর পরিচালক দেবালয়ের এই মন্তব্য সামনে আসে ৷