বড়ন্তি (পুরুলিয়া), 19 জুলাই: পাহাড়, জল আর সবুজের টানে শয়ে শয়ে পর্যটক ছুটে আসেন পুরুলিয়ার বড়ন্তিতে। শীতে যেমন বহু পর্যটক আসেন পুরুলিয়ার লাল পলাশের টানে, তেমনি বর্ষায় অনন্য রূপ বড়ন্তি। মেঘ যেন প্রতি মুহূর্তে রং বদলায় এখানে। এই প্রকৃতির টানে নিজের নতুন গানের শুটিংয়ে পুরুলিয়ার বড়ন্তিতে ছুটে এলেন ক্যাকটাসের অভিজিৎ বর্মন, যিনি পরিচিত 'পটা' নামেই। শুটিংয়ের ফাঁকে ইটিভি ভারতের প্রতিনিধি তারক চট্টোপাধ্যায়ের মুখোমুখি পটা।
পটা: খুব ভালো লাগছে। কারণ একটা জায়গায় শুট করতে এসে, প্রকৃতি যখন তার আলো আমাদের উপর বিছিয়ে দিচ্ছে, কিছু শটে আমরা দারুণ আলো পেয়েছি। আর বিশ্বজিৎদার সঙ্গীতের প্রতি আলাদা নাড়ীর টান। তাই ওনার সঙ্গে কাজ করতে আরও ভালো লাগছে।
ইটিভি ভারত: মফস্বল থেকে এমন একটা কাজ হচ্ছে। আসানসোলের কম্পোজারের একটা কাজে আপনি গাইছেন । কীভাবে শুরু হল এই কাজ?
পটা: এখানে কে শহরে থাকছেন না কে মফস্বলে থাকছেন সেটা বড় কথা নয়। আসল হল, ভেতর থেকে গান বাজনা করার ইচ্ছেটা কার কতটা রয়েছে। আমার অনেক বন্ধু আছেন যারা শহরতলিতে থাকেন, গ্রামে থাকেন। তাঁদের সঙ্গে দেখা করতে যাই। হই-হুল্লোড় করি। শুটিংয়েও খুব হই-হুল্লোড় করেছি ৷
ইটিভি ভারত: বড়ন্তির সূর্যাস্ত বড় সুন্দর। কিন্তু সোলো আর্টিস্টরা অপ্রিয় সত্য বলে অনেকে দাবি করছে, যে বাংলা ব্যান্ডের অস্তমিত হচ্ছে। তাঁদের কি বলবেন?
পটা: তাঁদের আমি ক্ষমা করে দিই। সোলো আর্টিস্ট তো চিরকালই ছিল। আমরাও কোথাও গিয়ে সোলো। কিন্তু ব্যান্ড একটা কনসেপ্ট। সেই কনসেপ্ট অনুযায়ী চলা। নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করা। সিনেমার গান না গেয়ে নিজেদের গান নিয়ে দাঁড়ানো। সেটা খুব কঠিন। সেই 'রাফ এন্ড টাফ' জায়গায় আমরাই থাকতে পারি। যাঁরা অন্য কথা বলছে, তাঁরা বোকা। ক্ষমা করে দেওয়া উচিত।