হায়দরাবাদ, 7 সেপ্টেম্বর: জীবনে উন্নতি আনতে হোক বা ব্য়বসায় শ্রীবৃদ্ধি করতে গণপতি বঙ্গ জীবনের অঙ্গ হয়ে গিয়েছেন ৷ তবে অস্থির এই সময়ে শিক্ষা, স্বাস্থ্য নিয়ে যে ব্যবসা চলছে, তা নিয়ে মুখর অভিনেত্রী অপরাজিতা আঢ্য ৷ আরজি করের বিচার চেয়ে তিনি মনে করছেন, এই অরাজকতায় সিদ্ধিদাতাকেই প্রয়োজন ৷ গণেশ চতুর্থীতে প্রার্থনা অভিনেত্রীর ৷
এদিন তিনি সোশাল মিডিয়ায় লেখেন, "বঙ্গ জীবনের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গী ভাবে জড়িয়ে আছেন যে গণপতি, তার সঙ্গে চতুর্থীর চেয়ে হালখাতাকে মিলিয়ে ফেলতেই বেশি সচ্ছন্দ্য বোধহয় অধিকাংশ বাঙালীর।... তবে আজ যে সময়ে দাঁড়িয়ে গণেশ চতুর্থী এসে দরজায় কড়া নাড়ল, তখন ব্যবসা শব্দটা শুনলেই শরীর (গা)টা ঘিনঘিনিয়ে উঠছে! শিক্ষা, স্বাস্থ্য, নিরাপত্তা, সবকিছু নিয়ে যে ব্যবসার আসর সারা বাংলার ভাগ্যাকাশে, বারংবার মনে হচ্ছে আজ সিদ্ধিদাতাকেই প্রয়োজন!"
অভিনেত্রী আরও বলেন, "ক্ষমতাশীল চেয়ারের নিচে অরাজকতার মূষিক (পড়ুন ইঁদুর) কুট কুট করে কেটে ছিন্নভিন্ন করছে সমাজ… সিদ্ধিদাতা কোথায়? মস্তিকের অন্ধকারে মানবিকতার লেশমাত্র দেখি না রাষ্ট্র নামক যন্ত্রের সামনে। এই কী সংস্কৃতি? বঙ্গীয় বৈভব? বিশ্ববাংলার আস্ফালন? গণতন্ত্রের গণেশ উলটে গেছে খুন, কারচুপি, ধর্ষণের আড়ালে সে তো কবেই! তবে আর কিসের প্রজ্ঞা? কি বা সিদ্ধিদাতার উদযাপন? শুধু ব্যবসা? তার বাইরে বাকিগুলো নাহলেও চলবে?"
এরপরেই আরজি করের ন্যায়বিচার চেয়েছেন অভিনেত্রী অপরাজিতা ৷ তিনি লেখেন, "সুখ করণীয়, দুখ হরণীয় গণপতি তুমি কী দেখছ না, তোমার কোটি কোটি সন্তান আজ রাজপথে, শুধু একটু নৈতিকতার আশায়?!প্রার্থনার চেয়ে বড় সত্যি আমার কাছে কিছুই নেই, তাই প্রার্থনা করি, এই সমষ্টিগত মহা দুঃসময় যেন কাটিয়ে উঠি আমরা, অন্ধকার যেন নিপাত যায় অতিব নির্লজ্জতায় সিদ্ধিরূপী, ন্যায়রূপী মহান আলোর সামনে!"
অভিনেত্রী বলেন, "নিশিদিন সব কিছু হোক তিলোত্তমার, হোক সেই প্রতিটি অবহেলিত জীব কূলের যাদের মানুষ বা মনুষ্যেতর বিভেদ নেই তোমার কাছে। হে গণপতি, শুধু ব্যবসায়িক প্রতীক নয়, তুমি ন্যায়রূপ সিদ্ধি দান কর; এই সম্পদ আজ সবচেয়ে বেশি প্রয়োজনীয়।"