কলকাতা, 12 সেপ্টেম্বর: আরজি কর ঘটনার প্রতিবাদে উত্তাল বাংলা। তিলোত্তমার মৃত্যুর বিচারের আশায় লড়াই চলছে চলবে। রাজপথে প্রতিবাদে কেউ পা মেলাচ্ছেন কেউ বা সামাজিক মাধ্যমে হচ্ছেন সরব ৷ ঘরবন্দি 'শহর'-এর অনিন্দ্য বোসও তীব্র প্রতিবাদে মুখর হয়েছেন ৷ অসুস্থতার কারণে তিনি সামাজিক মাধ্যমকেই প্রতিবাদের হাতিয়ার বেছে নিয়েছেন ৷
অনিন্দ্যর সঙ্গে এই বিষয়ে যোগাযোগ করলে তিনি ইটিভি ভারতকে বলেন, "শুভ আর অশুভ চেতনার লড়াই চলছে এখানে। একটা গোটা সিস্টেম পচে গিয়েছে। সবার কাছে সবটা জলের মতো পরিষ্কার। তাই গোটা সিস্টেম-এর পরিবর্তন হওয়া দরকার। মানুষের প্রশ্ন করা উচিত সিস্টেমটাকে, যে কী হচ্ছে? নতুন সমাজ গড়ার সময় এসেছে।"
মুখ্যমন্ত্রীর উৎসবে ফেরার ডাক প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "কতটা অমানবিক হলে এমন উক্তি করতে পারেন কেউ ! কতটা রংবাজি আছে কথাটার মধ্যে বলুন তো? মানুষকে পুতুল ভেবে বসে আছেন উনি। উনি বললে মানুষ উৎসবে মাতবেন আর না বললে নয়? কী ঘটনা একটা ঘটে গেল। মেয়েটি আত্মবলিদান দিয়ে আমাদের চোখ খুলে দিয়ে গেল। সততা আর শিরদাঁড়ার খেসারত দিতে হল মেয়েটাকে। আর উনি উৎসবে ফেরার কথা বলছেন ! বিচার মিলল না এখনও।"
নিজের সন্তান-সহ আগামীর কথা ভেবে ভয় পাচ্ছেন অনিন্দ্য ? তিনি বলেন, "এই নর পিশাচদের কাছে আমাদের আগামীকে ছেড়ে দিয়ে যাব? লড়ব না? আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি আমাদের ছেলেমেয়েরাও ভুগছে। যে কোনও কর্মক্ষেত্রে আজ বিপদ ঘুরে বেড়াচ্ছে। তাই গোটা সিস্টেমটার পরিবর্তন দরকার বলব না? আজ আমি এতটা ভোকাল হয়েছি আমারও যে প্রাণের ভয় নেই কে বলতে পারে! কাল যে আমার উপর হামলা হবে না কে বলতে পারে?"
'পরিচালকদের মুখের উপর...'শুটিং সেটে শর্মিলার কীর্তি ফাঁস অমিতাভের
প্রসঙ্গত, চলতি বছরে নতুন থিম তৈরি করার আর্জি জানিয়েছেন অনিন্দ্য। বলেছেন, "সবথেকে বড় অসুর গড়ুন। সিংহটাকে বানান ভিজে বেড়ালের মতো কার্তিক, গণেশ, লক্ষী, সরস্বতী রাখতেও পারেন, নাও রাখতে পারেন।
আর দুর্গা মা? তাঁর অবস্থান, নাই বা বললাম। অমুক দা,তমুক দা...? ও 'উৎসব'-এর মাথা এবং হোতারা? শুনছেন?? এবছর একটা নতুন থিম করুন তো? বোধনের আগে উদ্বোধন যখন করতে পারেন, এটাও আপনারা নিশ্চই পারবেন... আমার দৃঢ় বিশ্বাস।"