নয়াদিল্লি, 23 জুলাই: বাজেট তাদের প্রত্যাশার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হয়েছে ৷ 2024-25 অর্থবছরের কেন্দ্রীয় বাজেট নিয়ে এমনই ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া জানাল শিল্পমহল ৷ কনফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ান ইন্ডাস্ট্রি (সিআইআই) দৃঢ়ভাবে দাবি করেছে যে, বাজেট শুধু আরও কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবে তা-ই নয়, বরং অর্থনীতিকেও চাঙ্গা করবে ।
ইটিভি ভারতের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে সিআইআই চেয়ারম্যান সঞ্জীব পুরী বলেন যে, এই বাজেটটি চাকরিভিত্তিক । তাঁর মতে, সংস্কারে জোর দিয়েছে সরকার, আর এটাই উল্লেখযোগ্য কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবে এবং অর্থনীতিকে উদ্দীপিত করবে । সঞ্জীব আরও বলেন, ইন্টার্নশিপের মতো উদ্যোগগুলি শিল্পগুলিতে দক্ষ কর্মী সরবরাহ করবে ৷ অন্যদিকে, কৃষিতে এবং মহিলাদের জন্য নতুন পদক্ষেপগুলি দীর্ঘমেয়াদি বৃদ্ধিকে উৎসাহিত করবে বলেও মত তাঁর ।
সিআইআই-এর ডিরেক্টর জেনারেল চন্দ্রজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় ইটিভি ভারতকে জানিয়েছেন যে, বাজেট প্রত্যাশা পূরণ করেছে এবং সামনের দিকে চলার দিশা দিয়েছে ৷ এসএমই এবং এমএসএমই সেক্টর আরও নতুন চাকরি তৈরি করতে পারবে । ইপিএফও অবদানের সম্প্রসারণও কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে সহায়তা করবে বলে মনে করেন তিনি ।
আবাসন ক্ষেত্র
আনারক গ্রুপের চেয়ারম্যান অনুজ পুরীর মতে, "ভারতের বিস্তৃত ক্ষেত্রকে কভার করেছে এই বাজেট ৷ মোদি 3.0-এর প্রথম কেন্দ্রীয় বাজেট এমএসএমই, কর্মসংস্থান, দক্ষতা, যুব এবং মধ্যবিত্তের উপর জোর দিয়েছে ৷ বিভিন্ন ক্ষেত্র এই বাজেট নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেবে ৷ রিয়েল এস্টেটের দৃষ্টিকোণ থেকে দেখলে, ভারতের জিডিপির প্রায় 3.4% অর্থাৎ 11.11 লক্ষ কোটি টাকা বরাদ্দের সঙ্গে উন্নত পরিকাঠামোয় সরকারের অবিরত ফোকাস রিয়েল এস্টেটের বৃদ্ধিকে চালিত করবে ।"
তিনি আরও বলেন যে, গ্রামীণ এবং শহুরে কর্মসংস্থান সৃষ্টির উপর জোর দেওয়ার বিষয়টি যদি কার্যকর হয় তাহলে, সাশ্রয়ী মূল্যের আবাসনের চাহিদাকে উদ্দীপিত করতে পারে, যা অতিমারির পর থেকে দুর্বল ছিল । এই পদক্ষেপটি শুধুমাত্র প্রধান শহরগুলিতেই নয়, টিয়ার 2 এবং 3 শহরগুলিতেও আবাসনের চাহিদা বাড়িয়ে তুলতে পারে ৷
অর্থনীতিবিদদের দৃষ্টিভঙ্গি
রেটিং এজেন্সি আইসিআরএ-এর প্রধান অর্থনীতিবিদ তথা রিসার্চ অ্যান্ড আউটরিচের প্রধান অদিতি নায়ার বলেন, "কেন্দ্রীয় বাজেটে মূলধন ব্যয় অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে এবং রাজস্ব ঘাটতি জিডিপির 4.9%-এ নামিয়ে আনা হয়েছে, যা আইসিআইএ-এর অনুমানের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ, যদিও ঋণের পরিমাণ কম হয়েছে । 2026 অর্থবছরে রাজস্ব ঘাটতি জিডিপির 4.5% এর নিচে নামিয়ে আনার ফের আশ্বাস দেওয়ার বিষয়টি ইতিবাচক । মজার বিষয় হল, নতুন মধ্য-মেয়াদী রাজস্ব একত্রীকরণের পথটি রাজস্ব ঘাটতি-থেকে-জিডিপি অনুপাতের সংকোচন অব্যাহত রাখার পরিবর্তে ঋণ-থেকে-জিডিপি অনুপাত হ্রাসে সহায়ক হবে ৷ এই পদ্ধতি সরকারকে উচ্চ মূলধন ব্যয়ের পরিকল্পনা করতে এবং একটি অনিশ্চিত বৈশ্বিক পরিবেশে জলবায়ু লক্ষ্যগুলিকে পূরণে সহয়োগিতা করবে ।"