অমরাবতী, 22 ফেব্রুয়ারি: বেকার যুবক ও ছাত্রদের সমস্যার সমাধানের দাবিতে বৃহস্পতিবার ওয়াইএস শর্মিলা রেড্ডি কংগ্রেস কর্মীদের 'চলো সচিবালয়' প্রতিবাদের ডাক দেন ৷ তারই আগের রাতে গৃহবন্দি এড়াতে কংগ্রেস অফিসেই রাত কাটালেন ওয়াইএস শর্মিলা ৷ ইতিমধ্যেই সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া এক ছবিতে দেখা যাচ্ছে কংগ্রেস অফিসের মাটিতে শুয়ে রয়েছেন শর্মিলা ৷ আজ কংগ্রেসের 'চলো সচিবালয়' কর্মসূচি ঠেকাতে পুলিশ সর্বত্র কংগ্রেস নেতাদের গৃহবন্দি করছে। তাই এমনটা বুঝেই কংগ্রেস নেত্রী পার্টি অফিসে রাত কাটানোর সিদ্ধান্ত নেন ৷
এই কর্মসূচি থামাতে কংগ্রেস পার্টি অফিসে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। চারদিকে ব্যারিকেড বসানো হয়েছে। এপিপিসি সভাপতি শর্মিলাকে আটক করা হয়েছে অন্ধ্ররত্ন ভবনে। এরপরই কংগ্রেস দলীয় কার্যালয়ে উত্তেজনা সৃষ্টি হয় ৷ 'চলো সচিবালয়' এই কর্মসূচিতে অংশ নিতে বুধবার সন্ধেয় বিজয়ওয়াড়া পৌঁছন শর্মিলা। কিন্তু শর্মিলাকে আম্পাপুরম, বাপুলাপাদু মণ্ডলে কেভিপি রামচন্দ্র রাওয়ের বাসভবনে থাকেন ৷ তারপরই সেখান থেকে পার্টি অফিসে যান ৷
রাতে পার্টি অফিসে কাটানোর পর করে সকালে চলো সচিবালয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। এরপরই কংগ্রেস নেতাদের গ্রেফতার করে গৃহবন্দি করে রাখে পুলিশ। কংগ্রেস নেতা মাস্তানভালি এবং রুদ্র রাজুকে ইতিমধ্য়েই গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এদিকে এই ঘটনায় কংগ্রেস নেত্রী শর্মিলা এক্সে রাজ্যের সরকারকে নিশানা করে লিখেছেন, "আমরা যদি বেকারদের পক্ষ নিয়ে প্রতিবাদের সুর চড়াই, তাহলে কি গৃহবন্দি করার চেষ্টা করা হবে?" সঙ্গেই তিনি এও লিখেছেন, "এটা কি লজ্জাজনক নয়, একজন মহিলা হয়ে, পুলিশকে এড়াতে এবং গৃহবন্দি এড়াতে কংগ্রেসের পার্টি অফিসে রাত কাটাতে বাধ্য হচ্ছি।"
দাদা জগন মোহন রেড্ডির হাত ছেড়ে হাত শিবিরে যোগ দিয়েছিলেন ওয়াইএসশর্মিলা, তারপরেই অন্ধ্রপ্রদেশের কংগ্রেসের প্রধান পদে বসানো হয় তাঁকে। শর্মিলা যেদিন কংগ্রেস শিবিরে যোগ দেন সেদিন তিনি বলেছিলেন, রাহুল গান্ধিকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চান, সেই কারণেই হাত শিবিরের যোগদান তাঁর।
আরও পড়ুন: