লখনউ, 28 নভেম্বর: আট বছর একসঙ্গে থাকার পর লিভ-ইন পার্টনারকে খুন ৷ পলাতক অভিযুক্ত টেম্পোচালক ৷ ঘটনাটি ঘটেছে লখনউয়ের নেওয়াজপুর বিবিডিতে ৷ শিলের নোড়া দিয়ে মাথা ও মুখে আঘাত করে মহিলাকে খুন করা হয়েছে বলে পুলিশের অনুমান ৷
ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত পলাতক । বাড়িওয়ালা মহিলার স্বামীকে খবর দেন । অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ টেম্পোচালকের বিরুদ্ধে খুনের মামলা দায়ের করেছে । অভিযুক্তের খোঁজে শুরু হয়েছে তল্লাশি । পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তের ভাইকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে ।
সীতাপুরের বাসিন্দা তথা মহিলার স্বামী ওই যুবক জানান, তিনি চুক্তিতে পরিচ্ছন্নতা কর্মী । তাঁর স্ত্রী অঞ্জলি (42) একটি হাসপাতালে ঝাড়ুদার ছিলেন । তাঁদের দু'জনেরই পাঁচটি সন্তান । গত আট বছর ধরে সীতাপুরেরই বাসিন্দা টেম্পো চালক দেবার সঙ্গে বিবিডি এলাকায় একটি ভাড়া বাড়িতে বসবাস করতেন অঞ্জলি ।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বাড়িওয়ালা দেখেন অঞ্জলি ও দেবার মধ্যে মারামারি চলছে । তাদেরকে থামতে বলে তিনি ঘরে চলে যান ৷ কিছুক্ষণ পর চিৎকার শুনতে পান তিনি । তখন ঘরে পৌঁছে দেখেন অঞ্জলি রক্তে ভিজে পড়ে আছে । তার মাথায় ও মুখে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে । পাশে একটা রক্তমাখা নোড়া পড়ে ছিল । দেবা সেখান থেকে পালিয়ে যায় । এরপর বাড়িওয়ালার ছেলে বিষয়টি মহিলার স্বামীকে জানায় । খবর পেয়ে স্বামী ঘটনাস্থলে পৌঁছলেও ততক্ষণে মহিলার মৃত্যু হয় ।
গোটা বিষয়ে এসিপি বিভূতিখণ্ড রাধা রমনের বক্তব্য, তদন্তে জানা গিয়েছে ওই মহিলার দুই মেয়ের বিয়ের পর থেকে দেবা তাকে গ্রামে চলে যাওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছিল । দেবার যুক্তি ছিল যে সে প্রতি মাসে 1500 টাকা করে রুম ভাড়া দিতে পারছে না । এদিকে গ্রামে যাওয়ার আগে ওই মহিলা দেবাকে কোর্ট ম্যারেজ করতে বলছিলেন । এই নিয়ে অনেক দিন ধরেই দু'জনের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল । এই বিবাদের জেরে দেবা তার লিভ-ইন পার্টনার অঞ্জলিকে খুন করে । মহিলার স্বামীর অভিযোগের ভিত্তিতে দেবার বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু করা হয়েছে এবং অভিযুক্তদের খোঁজ চলছে ।