আগ্রা, 27 জুন: 14 দিন আগে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ভারতীয় মার্চেন্ট নেভি অফিসার অনিল কুমারের। কর্মসূত্রে তিনি চিনে যান ৷ তাঁর দেহ এখনও সে দেশেই রয়ে গিয়েছে ।দেহ আগ্রার বাড়িতে ফিরিয়ে আনার জন্য প্রশাসনের কাছে আর্জি জানিয়েছেন প্রয়াত অফিসারের স্ত্রী। দেহ ফিরিয়ে আনার জন্য সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন আগ্রার বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক ড. এসপি সিং বাঘেল ৷ বুধবার দিল্লিতে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলেছেন তিনি ৷
সাংসদ বলেছেন, "মার্চেন্ট নেভি অফিসার অনিল কুমারের স্ত্রী সোশাল মিডিয়া পোস্টের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী এবং বিদেশমন্ত্রীর কাছে সাহায্য চেয়েছেন । এই বিষয়ে তথ্য পাওয়ার পর আমি বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে কথা বলেছি ।হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে বিদেশমন্ত্রীকে মার্চেন্ট নেভি অফিসার অনিল কুমারের সমস্ত তথ্যও দিয়েছি । আগ্রার বাসিন্দা অনিল কুমারের দেহ যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ভারতে নিয়ে আসার ব্যবস্থা করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছি । এ নিয়ে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছেন ।"
আগ্রার শাহগঞ্জ থানা এলাকার চাণক্য পুরীর সাই ধাম রেসিডেন্সির বাসিন্দা অনিল কুমার মার্চেন্ট নেভিতে চিফ ইঞ্জিনিয়ার পদে কর্মরত ছিলেন । তাঁর স্ত্রী পেশায় শিক্ষিকা অঞ্জুলতা জানান, অনিল কুমার এমভিজিএইচ নাইটিংগেলের চিফ ইঞ্জিনিয়ার ছিলেন। তাঁর জাহাজটি ড্রাইডকিংয়ের জন্য চিনের ঝেজিয়াং প্রদেশের ঝাউশান শহরে ছিল । 11 জুন গভীর রাতে অনিলের স্বাস্থ্যের অবনতি হলে তাঁকে স্থানীয় ঝাউশান হাসপাতালে ভর্তি করা হয় । রাতভর চিকিৎসার পর অনিল কুমারকে সকালে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয় । কিন্তু বিকেলে অনিলের বুকে ব্যথা শুরু হয় এবং তাঁকে আবার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় অনিলের মৃত্যু হয়
অঞ্জুলতা বলেন, "আমি আমার স্বামীর কোম্পানি, ভারতীয় দূতাবাস ও অন্যান্য কর্মকর্তাদের সঙ্গে ক্রমাগত যোগাযোগ করছি । যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আমার স্বামীর দেহ ভারতে ফিরিয়ে আনার জন্য সবাইকে অনুরোধ জানিয়েছি ৷ কিন্তু 14 দিন হয়ে গেলে কিছুই হল না । চিনে বসবাসকারী ভারতীয় নাগরিক নম্রতা উপাধ্যায়ও চিনা কর্তৃপক্ষ এবং ভারতীয় দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন । তাতেও কিছু লাভ হয়নি ৷ তিনিও তাঁর সাধ্যমতো আমার স্বামীর দেহ দেশে পাঠানোর জন্য সাহায্য করছেন । কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে এই বিষয়টি বিদেশ মন্ত্রকের কাছে তুলে ধরা হয়েছে । দেখা যাক এরপর কী হয় ৷"