ধানবাদ, 4 ফেব্রুয়ারি: চম্পাই সোরেন ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার পর এ বার পালা আস্থা ভোটের ৷ আর এই আস্থা ভোটে জেতার ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী কংগ্রেস ৷ দলের শীর্ষ নেতা জয়রাম রমেশ রবিবার বলেন যে, ইন্ডিয়া ব্লকের দলগুলিই ঝাড়খণ্ড বিধানসভার 81-সদস্যের আস্থা ভোটে জয়ী হবে ৷
রমেশের কথায়, "81 আসনের বিধানসভায় আমাদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা আছে...এমনকি হেমন্ত সোরেনকেও বিশেষ আদালত (তার ভোট দেওয়ার জন্য) অনুমতি দিয়েছে । এটি ইডির একটি ষড়যন্ত্র । আমরা আস্থা ভোটে জিতব এটা পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে । শুরু থেকেই মোদি সরকার ইডি, সিবিআই এবং আয়কর বিভাগকে ইন্ডিয়া জোটের সদস্যদের বিরুদ্ধে অপব্যবহার করে আসছে । এগুলি এখন আর স্বতন্ত্র প্রতিষ্ঠান নয় ৷"
উল্লেখ্য, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের দায়ের করা পিটিশনের শুনানির জন্য 5 ফেব্রুয়ারি দিনটি নির্ধারণ করেছে ঝাড়খণ্ড হাইকোর্ট । জমি কেলেঙ্কারির মামলায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট হেমন্তকে গ্রেফতার করার পর সেই গ্রেফতারিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন শিবু সোরেনের ছেলে ৷ এর আগে, শুক্রবার জমি কেলেঙ্কারি মামলার শুনানিতে হেমন্তকে পাঁচ দিনের জন্য ইডি হেফাজতে পাঠিয়েছিল হাইকোর্ট ৷
বেশ কয়েকবার তলব ও জিজ্ঞাসাবাদের পর গত বুধবার রাতে জেএমএম প্রধানকে ইডি গ্রেফতার করে ৷ ঝাড়খণ্ডের রাজনৈতিক চাপানউতোরের মধ্যে শুক্রবার রাঁচির রাজভবনে মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেন চম্পাই সোরেন ৷ গ্রেফতার হওয়ার আগে তাঁকেই পরিষদীয় দলের নেতা হিসেবে বেছে গিয়েছিলেন হেমন্ত সোরেন ৷
প্রসঙ্গত, ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তাঁর গ্রেফতারির প্রতিবাদে সুপ্রিম কোর্টেরও দ্বারস্থ হয়েছিলেন ৷ তবে শীর্ষ আদালত তাঁর আবেদন গ্রহণ করতে অস্বীকার করে এবং তাঁকে তাঁর আবেদন নিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হতে নির্দেশ দেয় ৷
বর্তমানে 81 সদস্যের ঝাড়খণ্ড বিধানসভায় ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার 29টি আসন, তাদের মিত্র কংগ্রেসের 17টি এবং আরজেডি ও সিপিআই (এমএল)-এর একটি করে আসন রয়েছে । সবমিলিয়ে ইন্ডিয়া ব্লকের মোট 43 জন বিধায়কের সমর্থনে আস্থা ভোটের বৈতরণী পেরনোর সংখ্যা রয়েছে চম্পাই সোরেনের কাছে ৷ তবে বাস্তবে তাই ঘটবে, নাকি হঠাৎ নয়া কোনও নাটকীয় ঘটনার সাক্ষী থাকবে ঝাড়খণ্ড, তার উত্তর দেবে সময় ৷ (এএনআই)
আরও পড়ুন: