মুম্বই, 2 এপ্রিল: বিমান কর্মী নেই! তাই সোমবার হঠাৎ ভিস্তারার একটি বা দু'টি নয়, 50টি বিমান পরিষেবা বাতিল হল! সূত্রের খবর, মঙ্গলবার এই বাতিল হওয়া বিমানের আরও বৃদ্ধি পেতে পারে বলে আশঙ্কা ৷ এই সংখ্যা 70 হতে পারে ৷ বিমানচালকরা তাঁদের মাসিক বেতন নিয়ে খুশি নন ৷ তাই এমন সংকট দেখা দিয়েছে ৷ এদিকে এই পরিস্থিতিতে অসামরিক বিমান নিয়ন্ত্রক সংস্থা ডিজিসিএ ভিস্তারাকে নির্দেশ দিয়েছে, প্রতিদিন কত বিমান বাতিল হচ্ছে এবং বিমান ছাড়তে দেরি হচ্ছে, প্রত্যেক দিন তার হিসেব দিতে হবে ৷ ডিজিসিএ এই অবস্থার উপর কড়া নজর রাখছে বলেও জানিয়েছে ৷
ভিস্তারার এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, গত কয়েক দিনে বহু বিমান পরিষেবা বাতিল করতে হয়েছে ৷ এর নেপথ্যে বিমান কর্মীর অভাব-সহ একাধিক কারণ আছে ৷ এই বাতিল নিয়ে একটি বিবৃতি জারি করেছে বিমান সংস্থা ভিস্তারা ৷ তারা জানিয়েছে, "আমরা সাময়িক বিমানের সংখ্যা কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি ৷ আমাদের নেটওয়ার্কে যোগাযোগ ব্যবস্থা ঠিকঠাক রাখতেই এই সিদ্ধান্ত ৷"
বিমান পরিষেবা বাতিলের কারণে ক্ষমা চেয়ে নিয়েছে ভিস্তারা ৷ তবে ঠিক কত সংখ্যক বিমান বাতিল হতে পারে, তা বিস্তারিত জানায়নি তারা ৷ ওই মুখপাত্র আরও জানিয়েছেন, যত দ্রুত সম্ভব পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা হচ্ছে ৷ যাতে খুব তাড়াতাড়ি নিয়মিত বিমান পরিষেবা চালু করা যায় ৷ এদিকে সূত্রে জানা গিয়েছে, বিমান সংস্থা ভিস্তারায় পাইলট বা বিমানচালকের সংকট দেখা দিয়েছে ৷ এই সংস্থা সম্প্রতি একটি নতুন চুক্তি করেছে ৷ এতে বিমানচালকদের মাসিক বেতন উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে ৷ আর তাতেই চটেছেন পাইলটরা ৷
তবে ভিস্তারা যাত্রীদের এই অসুবিধে মেটানোর জন্য কাজ করছে ৷ তাই দেশের মধ্যে কয়েকটি রুটে B787-9 ড্রিমলাইনারের মতো বিশালবপু কয়েকটি এয়ারক্রাফ্ট চালু করেছে ৷ এতে অনেক বেশি সংখ্য়ায় যাত্রীদের নিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে ৷
আরেকটি সূত্রে জানা গিয়েছে, ফার্স্ট অফিসার মর্যাদার পাইলটরা অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে কাজে আসছেন না ৷ এদিকে তাঁদের মাসিক বেতন উল্লেখযোগ্য হারে কমানো হয়েছে ৷ তাই পর্যাপ্ত বিমানচালক না-থাকায় এই বিশাল সংখ্যক বিমান বাতিল করতে বাধ্য হচ্ছে ভিস্তারা ৷ এই সূত্র আরও জানাচ্ছে, বেতনের সঙ্গে যুক্ত বেশকিছু খাতে টাকার পরিমাণ কমিয়ে দিয়েছে বিমান সংস্থাটি ৷ তবে অন্যদিকে, ঘণ্টা পিছু উড়ানে যে উপরি টাকা পাওয়া যায়, সেই অর্থ কিন্তু যথেষ্ট পরিমাণেই বৃদ্ধি করেছে ভিস্তারা ৷ তাও সুরাহা হয়নি ৷ বাতিল হচ্ছে একের পর এক বিমান পরিষেবা ৷ (পিটিআই)
আরও পড়ুন: