কলকাতা, 9 মে: মার্চের পর এপ্রিলেও দাম বাড়ল ভেজ থালির ৷ গত বছরের এপ্রিলের তুলনায় এবারে 8 শতাংশ বেড়েছে নিরামিষ খাবারের দর ৷ অন্যদিকে, নন-ভেজ থালির দাম কমেছে 4 শতাংশ ৷ এমনই তথ্য সম্প্রতি উঠে এসেছে ক্রিসিলের মার্কেট ইন্টেলিজেন্স অ্যান্ড অ্যানালিটিজেন্স রিসার্চের রিপোর্টে ৷
গত অর্থবর্ষে পেঁয়াজ, টমেটো এবং আলুর দাম যথাক্রমে 41, 40 এবং 38 শতাংশ বৃদ্ধির কারণে ভেজ থালির দাম বেড়েছে । পাশাপাশি, পশ্চিমবঙ্গে রবি শস্যের চাষ উল্লেখযোগ্য হ্রাস পাওয়ার কারণে পেঁয়াজের যোগান কম ছিল। তাছাড় আলুর ফলন কম হওয়ায় ভেজ থালির দাম বৃদ্ধির অন্যতম কারণ । এই সবজিগুলির কম যোগানের ফলে, চালের দাম (ভেজ থালি খরচের 13 শতাংশ হিসাবে) এবং ডালের দাম (9 শতাংশ) যথাক্রমে 14 শতাংশ এবং 20 শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে । ভাত ভারতীয় পরিবারের প্রধান খাদ্য ।
জিরা, লঙ্কা এবং উদ্ভিজ্জ তেলের দাম যথাক্রমে 40 শতাংশ, 31 শতাংশ এবং 10 শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। গত আর্থিক বছরে মুরগির মাংসের দাম বছরে 12 শতাংশ হ্রাসের কারণে আমিষ থালির দাম কমেছিল । তবে ওই মাসগুলিতে ভেজ থালির দাম স্থিতিশীল ছিল এবং আমিষ থালির দাম 3 শতাংশ বেড়েছিল ৷
বাড়িতে একটি থালি তৈরির গড় খরচ উত্তর, দক্ষিণ, পূর্ব এবং পশ্চিম ভারতে বিদ্যমান সবজি ও খাদ্য শস্যের মূল্যের উপর ভিত্তি করে গণনা করা হয় । থালির দামের মাসিক পরিবর্তন সাধারণ মানুষের ব্যয়কে প্রতিফলিত করে । ক্রিসিল মার্কেট ইন্টেলিজেন্স অ্যান্ড অ্যানালিটিক্সের ডিরেক্টর – রিসার্চ পুষান শর্মা বলেছেন, "2023 সালের নভেম্বর থেকে নিরামিষ এবং আমিষ থালির দাম ভিন্ন থাকছে । নিরামিষ থালি বছরের পর বছর দামী হয়েছে, আর আমিষ থালি সস্তা হচ্ছে । যখন পেঁয়াজ, আলু এবং টমেটোর মতো সবজির দাম বেড়েছে তখন আমিষ থালি সস্তার কারণ মূলত মাংসের দাম হ্রাস ।"
আরও পড়ুন: