ETV Bharat / bharat

ইস্যুবিহীন ভোটে ক্ষুব্ধ জনগণ! প্রতিদ্বন্দ্বী মাত্র 6, জয়ের ব্যবধান কমবে মোদির ? - PM Narendra Modi

Varanasi Lok Sabha Election Result: নরেন্দ্র মোদি তৃতীয়বারের জন্য প্রধানমন্ত্রী হবেন ৷ যে কোনও সংস্থার বুথ ফেরত সমীক্ষা এখন এটাই বলছে ৷ বারাণসী লোকসভায় তাঁর জয়ের ব্যবধান কেমন হবে ? তিনি কি হারতে পারেন ? ইটিভি ভারতকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে এইসব প্রশ্নের উত্তর দিলেন কাশী হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপক হেমন্ত কুমার মালব্য ৷

author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Jun 2, 2024, 10:36 PM IST

Varanasi Lok Sabha Election Result
বারাণসী লোকসভায় প্রধানমন্ত্রী মোদির ফলাফল কী হবে ? (ছবি সৌজন্য: ভারতীয় জনতা পার্টির এক্স হ্যান্ডেল)

বারাণসী, 2 জুন: বুথ ফেরত সমীক্ষা বলছে কেন্দ্রে সরকার গড়বে বিজেপি ৷ এদিকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জিতলেও তাঁর মার্জিন কি কমবে ? ভোটগণনা 4 জুন ৷ এমন অঘটন ঘটলেও ঘটতে পারে বলে মনে করছে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ মহলের একাংশ ৷ কারণ, এবার বারাণসী লোকসভা কেন্দ্রে ভোট পড়েছে 56.35 শতাংশ, যা আগের বার ছিল 57.13 শতাংশ ৷ ভোট শতাংশ হ্রাসের প্রভাব পড়তে পারে মোদির ভাগ্যে ৷ এই অনুমান কাশী হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপক হেমন্ত কুমার মালব্যর ৷ ইটিভি ভারতকে তিনি জানালেন, কোনও না কোনওভাবে এবার বারাণসী লোকসভার বিজেপি প্রার্থী মোদিকে এই কম ভোটের দাম দিতে হবে ৷

2024 সালের লোকসভা ভোটে বারাণসী থেকে 10 লক্ষ ভোটে জিতবেন প্রধানমন্ত্রী মোদি, দাবি করেছে ভারতীয় জনতা পার্টি ৷ তবে বারাণসীতে তা সম্ভব হবে বলে মনে করছেন না অধ্যাপক মালব্য ৷ এর আগের দুই লোকসভা নির্বাচনে নরেন্দ্র মোদি বিশাল মার্জিনে জয়ী হয়েছিলেন ৷ 2014 সালে বারাণসী কেন্দ্র থেকে প্রথমবার লোকসভা ভোটে দাঁড়ান নরেন্দ্র মোদি ৷ সেবার তাঁর বিরুদ্ধে প্রার্থী হয়েছিলেন আম আদমি পার্টির প্রধান অরবিন্দ কেজরিওয়াল ৷ তাঁকে মোদি 3.72 লক্ষ ভোটে পরাজিত করেন ৷ তাঁর প্রাপ্ত ভোট ছিল 56.37 শতাংশ ৷ এরপর 2019-এর ভোটেও নরেন্দ্র মোদি 4.59 লক্ষ ভোটে প্রতিপক্ষকে ধরাশায়ী করে দ্বিতীয়বার প্রধানমন্ত্রী হন ৷ তাঁর প্রাপ্ত ভোটের হার ছিল 63.6 শতাংশ ৷

এই কম ভোটের কারণ প্রচারে কোনও ইস্যু ছিল না বিজেপির কাছে ৷ আর তাতেই এই সর্বভারতীয় দলটির বিরুদ্ধে মানুষের মোহভঙ্গ হয়েছে ৷ এছাড়া গতবার সমাজবাদী পার্টি ও বিএসপি জোটবদ্ধ হয়ে প্রার্থী দিয়েছিল ৷ তাতে মোদির জয়ের ব্যবধান অনেকটাই বৃদ্ধি পেয়েছিল ৷ এবার সেই জোট নেই ৷ বিএসপি জোট ভেঙে বেরিয়ে গিয়েছে ৷ তাছাড়া জনগণ বুঝেছে যে, নেতারা কোনও ইস্যু নিয়ে কথা বলেনি ৷ তাই লোকজন ভোট দিতে চায়নি ৷

অধ্যাপক মালব্য ভোটের হার হ্রাস পাওয়ার তিনটি প্রধান কারণ উল্লেখ করেছেন ৷ প্রথমত, ইস্যুবিহীন ভোট, দ্বিতীয় এই ইস্যু না-থাকার কারণে মানুষজনের চটে যাওয়া, তৃতীয়ত বিজেপি বিরোধী 'ইন্ডিয়া' জোট বেশ ভালো প্রস্তুতি নিয়েছে ৷ তবে নরেন্দ্র মোদির সমর্থনে যে ভোট পড়েনি, তা নয় ৷ উলটো দিকে একটি বিশেষ শ্রেণি 'ইন্ডিয়া' জোটের প্রার্থীকে সমর্থন করেছে ৷ যোগীরাজ্যে বিভিন্ন ধর্ম, শ্রেণির মানুষের বসবাস ৷ তাই এর প্রভাব বিজেপির ক্ষতি করতে পারে ৷

প্রধানমন্ত্রী মোদি যদি জয়ী হন, তাহলে তাঁর জয়ের ব্যবধান খুব একটা কিছু বাড়বে না ৷ অন্ততপক্ষে 10 লক্ষ হবে না ৷ এবার তা 20-25 হাজার হতে পারে ৷ বারাণসীতে আগের বারের তুলনায় কম ভোট পড়েছে, তাই সেই 10 লক্ষ ব্যবধানে জয়ের আশা করা যায় না ৷ এই ক্ষেত্রে সমাজের বুদ্ধিজীবী শ্রেণির একটা বড় ভূমিকা রয়েছে বলে মনে করছেন অধ্যাপক মালব্য ৷ বারাণসীতে বুদ্ধিজীবীদের ঠিকানা কাশী হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয় ৷ সেখানে 37 শতাংশ ভোট পড়েছে ৷ এতেই পরিষ্কার যে, সমাজে অন্যদের তুলনায় বেশি লেখাপড়া জানা মানুষরাই নিজেদের কর্তব্য পালনে অনীহা দেখায় ৷ বারাণসীর মতো শহরে কমপক্ষে 60 শতাংশ ভোট পড়ার কথা ৷ তা অবশ্য হয় না ৷

কাশী হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মনে করেন, এবারের নির্বাচনে বারাণসী থেকে মোদির বিরুদ্ধে মাত্র 6 জন লড়ছেন ৷ এটা মোদির জন্য কিছুটা স্বস্তির ৷ কারণ, তাতে ভোট কাটার সম্ভাবনা কমে যাবে ৷ 2014 সালের নির্বাচনে মোদির বিরুদ্ধে 41 জন দাঁড়িয়েছিলেন ৷ তাঁদের মধ্যে 19 জন নির্দল প্রার্থী ৷ 2019 সালে সেই সংখ্যা কিছুটা কমে 26 হয় ৷ তাঁদের মধ্যে 8 জন নির্দল ছিলেন ৷ 2024 সালের লোকসভা নির্বাচনেও প্রথম দিকে 41 জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন ৷ তাঁদের মধ্য়ে একজন মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেন ৷ পরে দেখা যায়, মাত্র 7 জন বারাণসী থেকে লড়ছেন ৷

বারাণসীতে এবার ভোটের হার 56.35 শতাংশ ৷ এর অন্তর্গত সাতটি বিধানসভার মধ্যে বারাণসী উত্তরে 54.55 শতাংশ, বারাণসী দক্ষিণে 57.7 শতাংশ, বারাণসী ক্যান্টনমেন্টে 51.47 শতাংশ, সেবাপুরী বিধানসভায় 60.93 শতাংশ, রোহণিয়ায় 58.77 শতাংশ ভোট পড়েছে ৷

বারাণসী, 2 জুন: বুথ ফেরত সমীক্ষা বলছে কেন্দ্রে সরকার গড়বে বিজেপি ৷ এদিকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জিতলেও তাঁর মার্জিন কি কমবে ? ভোটগণনা 4 জুন ৷ এমন অঘটন ঘটলেও ঘটতে পারে বলে মনে করছে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ মহলের একাংশ ৷ কারণ, এবার বারাণসী লোকসভা কেন্দ্রে ভোট পড়েছে 56.35 শতাংশ, যা আগের বার ছিল 57.13 শতাংশ ৷ ভোট শতাংশ হ্রাসের প্রভাব পড়তে পারে মোদির ভাগ্যে ৷ এই অনুমান কাশী হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপক হেমন্ত কুমার মালব্যর ৷ ইটিভি ভারতকে তিনি জানালেন, কোনও না কোনওভাবে এবার বারাণসী লোকসভার বিজেপি প্রার্থী মোদিকে এই কম ভোটের দাম দিতে হবে ৷

2024 সালের লোকসভা ভোটে বারাণসী থেকে 10 লক্ষ ভোটে জিতবেন প্রধানমন্ত্রী মোদি, দাবি করেছে ভারতীয় জনতা পার্টি ৷ তবে বারাণসীতে তা সম্ভব হবে বলে মনে করছেন না অধ্যাপক মালব্য ৷ এর আগের দুই লোকসভা নির্বাচনে নরেন্দ্র মোদি বিশাল মার্জিনে জয়ী হয়েছিলেন ৷ 2014 সালে বারাণসী কেন্দ্র থেকে প্রথমবার লোকসভা ভোটে দাঁড়ান নরেন্দ্র মোদি ৷ সেবার তাঁর বিরুদ্ধে প্রার্থী হয়েছিলেন আম আদমি পার্টির প্রধান অরবিন্দ কেজরিওয়াল ৷ তাঁকে মোদি 3.72 লক্ষ ভোটে পরাজিত করেন ৷ তাঁর প্রাপ্ত ভোট ছিল 56.37 শতাংশ ৷ এরপর 2019-এর ভোটেও নরেন্দ্র মোদি 4.59 লক্ষ ভোটে প্রতিপক্ষকে ধরাশায়ী করে দ্বিতীয়বার প্রধানমন্ত্রী হন ৷ তাঁর প্রাপ্ত ভোটের হার ছিল 63.6 শতাংশ ৷

এই কম ভোটের কারণ প্রচারে কোনও ইস্যু ছিল না বিজেপির কাছে ৷ আর তাতেই এই সর্বভারতীয় দলটির বিরুদ্ধে মানুষের মোহভঙ্গ হয়েছে ৷ এছাড়া গতবার সমাজবাদী পার্টি ও বিএসপি জোটবদ্ধ হয়ে প্রার্থী দিয়েছিল ৷ তাতে মোদির জয়ের ব্যবধান অনেকটাই বৃদ্ধি পেয়েছিল ৷ এবার সেই জোট নেই ৷ বিএসপি জোট ভেঙে বেরিয়ে গিয়েছে ৷ তাছাড়া জনগণ বুঝেছে যে, নেতারা কোনও ইস্যু নিয়ে কথা বলেনি ৷ তাই লোকজন ভোট দিতে চায়নি ৷

অধ্যাপক মালব্য ভোটের হার হ্রাস পাওয়ার তিনটি প্রধান কারণ উল্লেখ করেছেন ৷ প্রথমত, ইস্যুবিহীন ভোট, দ্বিতীয় এই ইস্যু না-থাকার কারণে মানুষজনের চটে যাওয়া, তৃতীয়ত বিজেপি বিরোধী 'ইন্ডিয়া' জোট বেশ ভালো প্রস্তুতি নিয়েছে ৷ তবে নরেন্দ্র মোদির সমর্থনে যে ভোট পড়েনি, তা নয় ৷ উলটো দিকে একটি বিশেষ শ্রেণি 'ইন্ডিয়া' জোটের প্রার্থীকে সমর্থন করেছে ৷ যোগীরাজ্যে বিভিন্ন ধর্ম, শ্রেণির মানুষের বসবাস ৷ তাই এর প্রভাব বিজেপির ক্ষতি করতে পারে ৷

প্রধানমন্ত্রী মোদি যদি জয়ী হন, তাহলে তাঁর জয়ের ব্যবধান খুব একটা কিছু বাড়বে না ৷ অন্ততপক্ষে 10 লক্ষ হবে না ৷ এবার তা 20-25 হাজার হতে পারে ৷ বারাণসীতে আগের বারের তুলনায় কম ভোট পড়েছে, তাই সেই 10 লক্ষ ব্যবধানে জয়ের আশা করা যায় না ৷ এই ক্ষেত্রে সমাজের বুদ্ধিজীবী শ্রেণির একটা বড় ভূমিকা রয়েছে বলে মনে করছেন অধ্যাপক মালব্য ৷ বারাণসীতে বুদ্ধিজীবীদের ঠিকানা কাশী হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয় ৷ সেখানে 37 শতাংশ ভোট পড়েছে ৷ এতেই পরিষ্কার যে, সমাজে অন্যদের তুলনায় বেশি লেখাপড়া জানা মানুষরাই নিজেদের কর্তব্য পালনে অনীহা দেখায় ৷ বারাণসীর মতো শহরে কমপক্ষে 60 শতাংশ ভোট পড়ার কথা ৷ তা অবশ্য হয় না ৷

কাশী হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মনে করেন, এবারের নির্বাচনে বারাণসী থেকে মোদির বিরুদ্ধে মাত্র 6 জন লড়ছেন ৷ এটা মোদির জন্য কিছুটা স্বস্তির ৷ কারণ, তাতে ভোট কাটার সম্ভাবনা কমে যাবে ৷ 2014 সালের নির্বাচনে মোদির বিরুদ্ধে 41 জন দাঁড়িয়েছিলেন ৷ তাঁদের মধ্যে 19 জন নির্দল প্রার্থী ৷ 2019 সালে সেই সংখ্যা কিছুটা কমে 26 হয় ৷ তাঁদের মধ্যে 8 জন নির্দল ছিলেন ৷ 2024 সালের লোকসভা নির্বাচনেও প্রথম দিকে 41 জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন ৷ তাঁদের মধ্য়ে একজন মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেন ৷ পরে দেখা যায়, মাত্র 7 জন বারাণসী থেকে লড়ছেন ৷

বারাণসীতে এবার ভোটের হার 56.35 শতাংশ ৷ এর অন্তর্গত সাতটি বিধানসভার মধ্যে বারাণসী উত্তরে 54.55 শতাংশ, বারাণসী দক্ষিণে 57.7 শতাংশ, বারাণসী ক্যান্টনমেন্টে 51.47 শতাংশ, সেবাপুরী বিধানসভায় 60.93 শতাংশ, রোহণিয়ায় 58.77 শতাংশ ভোট পড়েছে ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.