হুবলি, 7 জুন: অক্টোবর 3 ৷ সাল আলাদা হলেও কর্ণাটকের মুংগুরবাদী দম্পতির জন্মদিন ওই তারিখেই ৷ অদৃষ্টের এমন পরিহাস যে তাদের মৃত্যুর তারিখও একই থেকে গেল ৷ গত 4 জুন ট্রেকিং করতে গিয়ে উত্তরাখণ্ডে তাঁদের মৃত্যু হয় ৷ আজ, শুক্রবার তাঁদের দেহ দিল্লি হয়ে বেঙ্গালুরুতে আনা হয় ৷ ওই দুর্ঘটনায় আরও সাতজনের মৃত্যু হয়েছে ৷ এ দিন তাঁদেরও দেহ আনা হয় বেঙ্গালুরুতে ৷
কর্ণাটক থেকে ট্রেকিং করতে 22 জনের একটি দল উত্তরাখণ্ডের উচ্চ সহস্ত্রাল মানেরি এলাকায় গিয়েছিল । ট্রেকের পর ওই দলের সদস্য়রা যখন ক্যাম্পে ফিরছিলেন, তখন তাঁরা তুষারঝড়ের কারণে খারাপ আবহাওয়ার মধ্য়ে পড়েন ৷ তার জেরেই ন’জনের মৃত্যু হয়৷ 13 জনকে উদ্ধার করা হয় ৷
মৃত ন’জনের মধ্যে ছিলেন বিনায়ক মুংগুরবাদী ও সুজাতা মুংগুরবাদী ৷ এই দম্পতির আলাদা আলাদা বছরে জন্ম হলেও তাঁদের জন্মের মাস ও দিন এক ৷ অক্টোবরের 3 তারিখ তাঁদের জন্ম ৷ 1994 সালে তাঁরা কর্ণাটকের হুবলির বিভিবি কলেজে ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করেন ৷ মেকানিক্যাল বিভাগ থেকে গোল্ড মেডেল পেয়েছিলেন বিনায়ক ৷
তাঁরা হুবলির উনাকল এলাকার বাসিন্দা ছিলেন ৷ চাকরির খোঁজে তাঁরা 1996 সালে বেঙ্গালুরুতে চলে আসেন ৷ বিনায়ক ও সুজাতার এক মেয়ে ও এক ছেলে ৷ মেয়ে অদিতি একটি বেসরকারি সংস্থায় কাজ করেন ৷ আর ছেলে ইশান ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ছেন ৷
বেসরকারি সংস্থায় কাজ করার পাশাপাশি বিনায়ক ‘উত্তর কর্ণাটক স্নেহালোক ট্রাস্ট’ নামে একটি সংস্থা খুলেছিলেন ৷ সেই ট্রাস্টের মাধ্যমে তিনি গত 16 বছর ধরে সমাজসেবার কাজে জড়িত ছিলেন ৷ কোভিডের সময়েও তিনি সারক্ষাণ মানুষের পাশে ছিলেন ৷ চাকরি ও সমাজসেবা ছাড়াও ট্রেকিংরেও শখ ছিল ওই দম্পতির ৷ প্রতিবছরই তাঁরা যেতেন ৷ কিন্তু সেই শখই তাঁদের জীবন কেড়ে নিল ৷
তাঁদের পরিচিত সুরেশ পাটিল ও সুমন পাটিল জানিয়েছেন যে ট্রেকিংয়ে যে দলটি গিয়েছিল, সেই দলে প্রথমে 20 জন ছিলেন ৷ কিন্তু আরও দু’জন যেতে পারবেন, এটা জানতে পেরে বিনায়ক-সুজাতা যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন ৷ তাঁদের সেই সিদ্ধান্তই যে এমন বিপদ ডেকে আনবে, তখন আর কে জানত ?