দেরাদুন, 20 অগস্ট: বাসের ভিতরে অনাথ নাবালিকাকে গণধর্ষণ করার অভিযোগ ৷ ঘটনার তদন্তে সিট গঠন করল উত্তরাখণ্ড পুলিশ ৷ আট সদস্যের বিশেষ তদন্তকারী দলের নেতৃত্বে রয়েছেন পুলিশ সুপার প্রমোদ কুমার ৷ গণধর্ষণের ঘটনায় ইতিমধ্যে পুলিশ পাঁচ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে ৷
সিনিয়র সুপারিনটেনডেন্ট অফ পুলিশ (এসএসপি) অজয় সিং বলেছেন, "মামলার সংবেদনশীলতার কথা বিচার করে এবং পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত নিশ্চিত করার জন্য সিট গঠন করা হয়েছে । দিল্লি থেকে দেরাদুন পর্যন্ত উত্তরাখণ্ড পরিবহণ কর্পোরেশনের বাসের পুরো যাত্রার ফুটেজ সংগ্রহ করার জন্য আমরা একটি নজরদারি দল গঠন করেছি ৷ নাবালিকার সঙ্গে ঘটনাটি ঘটার আগে সে ওই বাসে ভ্রমণ করেছিল ।"
গণধর্ষণের ঘটনার তদন্তে গঠিত বিশেষ দলে রয়েছেন পুলিশ সুপার প্রমোদ কুমার, সার্কেল অফিসার সদর অনিল যোশী, সার্কেল অফিসার প্রেম নগর রিনা রাঠোর, ইন্সপেক্টর কমল কুমার, ইন্সপেক্টর শঙ্কর সিং বিষ্ট, মহিলা সাব ইন্সপেক্টর জ্যোতি কান্যাল, মহিলা সাব-ইন্সপেক্টর বিনিয়তা চৌহান এবং সাব-ইন্সপেক্টর আশিস কুমার ।
পুলিশ জানিয়েছে, 12 অগস্ট একটি বাস দিল্লির কাশ্মীরি গেট থেকে বিকেল 4টে 30 মিনিটে ছেড়েছিল এবং রাত 10টা 30 মিনিটের দিকে দেরাদুনে পৌঁছেছিল । ওই বাসেই উত্তরপ্রদেশের 16 বছরের কিশোরীকে আইএসবিটি পার্কিং লটে গণধর্ষণ করা হয়েছিল বলে অভিযোগ । সকালে একজন প্রহরী তাকে দেখতে পান এবং রাজ্য শিশু কল্যাণ কমিটিকে (সিডব্লিউসি) খবর দেন ৷ এরপরেই নাবালিকাকে ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার করে তারা ।
সিডব্লিউসি তাকে চারদিন ধরে কাউন্সেলিং করে এবং বিস্তারিত তথ্য পাওয়ার পর পকসো আইন-সহ একাধিক ধারায় 17 অগস্ট একটি মামলা নথিভুক্ত করে । এরপরেই পুলিশ তদন্তে নেমে পাঁচ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে ৷ পুলিশ জানিয়েছে, সিসিটিভি ফুটেজের ভিত্তিতে ওই পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে ৷ পরে তারা সবাই নিজেদের অপরাধের কথা স্বীকার করেছে বলে পুলিশের দাবি ।