শ্রীনগর, 7 নভেম্বর: ধারা 370 নিয়ে এবার জম্মু-কাশ্মীর বিধানসভার ভিতরেই হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়লেন শাসক-বিরোধী দলের বিধায়করা ৷ বুধবারের পর বৃহস্পতিবারও 370 ধারা নিয়ে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি বিধানসভায় ৷ অন্যদিকে, বিধানসভায় একটি নতুন রেজুলেশন পেশ করেছে পিডিপি এবং পিপলস কনফারেন্স ৷ যেখানে অবিলম্বে 370 এবং 35A ধারাগুলিকে ফের বলবৎ করার দাবি জানানো হয়েছে।
এদনও নির্দল বিধায়ক শেখ খুরশিদ এবং জেলবন্দি সাংসদ ইঞ্জিনিয়ার রশিদের ভাই 370 অনুচ্ছেদ এবং 35A অনুচ্ছেদ পুনর্বহালের দাবি জানান বিধানসভায় ৷ এরপরেই জম্মু ও কাশ্মীর বিধানসভায় হট্টগোল শুরু হয় ৷ তীব্র বিরোধিতায় সোচ্চার হয়েছেন বিজেপি বিধায়করা। পাল্টা স্লোগান দিতে থাকেন শাসক শিবিরের বিধায়করা ৷ যা ক্রমে হাতাহাতির পর্যায়ে পৌঁছয় ৷
বিরোধী দলনেতা সুনীল শর্মা বুধবার পাশ হওয়া অনুচ্ছেদ 370 পুনরুদ্ধারের প্রস্তাবকে বেআইনি বলেছিলেন ৷ পাল্টা এদিন অধিবেশন শুরু হওয়ার পরেই শেখ খুরশিদ একটি ব্যানার নিয়ে হাউজের ওয়েলে এসে প্রদর্শন করতে থাকেন ৷ যেখানে লেখা ছিল, "আমরা 370 এবং 35A ধারা পুনরুদ্ধারের দাবি জানাই।"
তা দেখেই কার্যত তেলে বেগুনে জ্বলে ওঠেন বিজেপি বিধায়করা ৷ খুরশিদকে এদিন পিপলস কনফারেন্সের বিধায়ক সাজাদ লোন এবং পিপলস ডেমোক্রেটিক পার্টি ওয়াহিদ পাড়া-সহ ট্রেজারি বেঞ্চের বিধায়করাও সমর্থন করেছিলেন। অন্যদিকে, বিরোধী দলনেতা সুনীল শর্মা বলেন, "আপনারা বিশেষ মর্যাদার নামে কাশ্মীরের মানুষকে হত্যা করেছেন।" এই অভিযোগে তোলপাড় শুরু হয় বিধানসভায়।
বিজেপি বিধায়ক বিক্রম রান্ধওয়া খুরশিদের হাত থেকে ওই ব্যানার ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করলেই তাদের মধ্যে রীতিমতো হাতাহাতি শুরু হয়ে যায় ৷ বাকি বিজেপি বিধায়করাও এরপর খুরশিদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়েন ৷ তাঁর কাছ থেকে ব্যানার ছিনিয়েও নেওয়া হয়। এরপর হাউজেই ব্যানার ছিঁড়ে ফেলেন বিধায়করা। স্পিকার এরপর 15 মিনিটের জন্য অধিবেশন মুলতবি করে দেন।
অন্যদিকে, পিডিপি এবং পিপলস কনফারেন্সের তরফে জারি করা নতুন প্রস্তাবে জানানো হয়েছে, 2019 সালে আগে জম্মু-কাশ্মীর রাজ্যের যে বিশেষ মর্যাদা ছিল তা ফিরিয়ে আনতে হবে ৷ মোদি সরকার অনুচ্ছেদ 370 বাতিল করে 2019 সালে জম্মু ও কাশ্মীরকে বিশেষ রাজ্যের মর্যাদা দিয়েছে ৷ একই সঙ্গে, রাজ্যটিকে জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখ দুটি পৃথক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে বিভক্ত করেছে।