ETV Bharat / bharat

মুঘল আমলের মসজিদে সমীক্ষাকে ঘিরে সংঘর্ষে মৃত বেড়ে 6, এখনও বন্ধ ইন্টারনেট - UP SAMBHAL VIOLENCE

উত্তরপ্রদেশের সম্ভলে মসজিদে সমীক্ষাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনায় মৃত বেড়ে হয়েছে 6 ৷ পুলিশের দাবি, জনজীবন স্বাভাবিক হচ্ছে ৷ এখনও বন্ধ ইন্টারনেট ৷

Mosque of Mughal Empire in Sambhal Uttar Pradesh
মুঘল আমলের এই মসজিদে সমীক্ষাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ (ছবি সৌজন্য: এএনআই ভিডিয়ো)
author img

By PTI

Published : Nov 26, 2024, 8:31 PM IST

সম্ভল (উত্তরপ্রদেশ), 26 নভেম্বর: আদালতের নির্দেশে মসজিদের সমীক্ষা করতে গিয়ে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে উত্তরপ্রদেশের সম্ভলে ৷ মুঘল আমলে নির্মিত একশো বছরেরও বেশি প্রাচীন শাহি জামা মসজিদে সমীক্ষা করতে গিয়েছিলেন কর্মীরা ৷ তখনই স্থানীয়রা তাঁদের লক্ষ্য করে ইট-পাথর ছোড়ে বলে অভিযোগ ৷ পুলিশও পাল্টা লাঠিচার্জ করে, টিয়ার গ্যাস ছোড়ে ৷ এই সংঘর্ষে মৃতের সংখ্যা বেড়ে 6 হয়েছে ৷

জেলাশাসক চিরাগ গয়াল বলেন, "বিক্ষোভকারীরা বাড়িতে তৈরি পিস্তল দিয়ে গুলি করছিল ৷ তার মধ্যে পড়ে 6 জনের মৃত্যু হয়েছে ৷ পুলিশ শুধুমাত্র টিয়ারগ্যাস এবং রাবার বুলেট ছুড়েছিল ৷"

এরপর দু'দিন কেটে গিয়েছে ৷ ধীরে ধীরে পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক হচ্ছে, দাবি পুলিশ প্রশাসনের ৷ মঙ্গলবার মোরাদাবাদের ডিভিশনাল কমিশনার অউনজানেয়া কুমার সিং বলেন, "সম্ভলের অবস্থা এখন স্বাভাবিক ৷ যেখানে হিংসার ঘটনা ঘটেছিল, সেই জায়গায় কিছু দোকান এখনও বন্ধ ৷ এছাড়া বেশির ভাগ দোকানই খুলেছে ৷ তবে ওই এলাকাতেও এখন আর তেমন কোনও উত্তেজনা নেই ৷ এলাকার নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে ৷ পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণেই, আরও স্বাভাবিক হচ্ছে ৷" এই দাবি সত্ত্বেও এলাকায় ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে ৷

সম্ভলে ভিন্ন ধর্ম সম্প্রদায়ের মানুষেরা ঐক্য ও সম্প্রীতির বার্তা দিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে ৷ পুলিশ প্রশাসনের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা অবস্থার উপর নজর রাখছেন ৷ পুলিশের পাশাপাশি সংবেদনশীল জায়গাগুলিতে ব়্যাফ নামানো হয়েছে ৷ প্রশাসন এখানে 30 নভেম্বর পর্যন্ত বহিরাগত ও জনপ্রতিনিধিদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে ৷

জেলায় আপাত শান্ত অবস্থা দেখা গেলেও সম্ভলের শাহি জামা মসজিদ এলাকায় লোকজন প্রায় দেখাই যাচ্ছে না ৷ গত 19 নভেম্বর থেকে এখানে ভিতরে ভিতরে চাপা উত্তেজনা চলছিল ৷ এই মসজিদের জায়গায় আগে শিবমন্দির ছিল, এই দাবিতে আদালতে মামলা হয় ৷ এরপর আদালতের নির্দেশে সেদিনই মসজিদের প্রথম সমীক্ষা হয় ৷ পরে 24 নভেম্বর সেখানে সমীক্ষা করতে পৌঁছন কর্মীরা ৷ তখনই ঝামেলা বাধে ৷

মসজিদের সমীক্ষার কাজ শুরু হতেই বিশাল সংখ্যায় মানুষ জড়ো হয়ে স্লোগান দিতে থাকেন ৷ এরপরই নিরাপত্তাকর্মীদের সঙ্গে তাদের সংঘাত ঘটে ৷ গাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটে ৷ পাথর ছোড়া হয় বলে অভিযোগ ৷

পুলিশ এখনও পর্যন্ত 25 জনকে গ্রেফতার করেছে ৷ 7টি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে ৷ এই ঘটনায় 2 হাজার 750 জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে ৷ এছাড়া সম্ভলে সমাজবাদী পার্টির সাংসদ জিয়া-উর-রেহমান বার্ক এবং স্থানীয় বিধায়ক ইকবাল মেহমুদের ছেলে সোহেল ইকবালের ছেলেও সেই তালিকায় রয়েছেন ৷

সম্ভল (উত্তরপ্রদেশ), 26 নভেম্বর: আদালতের নির্দেশে মসজিদের সমীক্ষা করতে গিয়ে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে উত্তরপ্রদেশের সম্ভলে ৷ মুঘল আমলে নির্মিত একশো বছরেরও বেশি প্রাচীন শাহি জামা মসজিদে সমীক্ষা করতে গিয়েছিলেন কর্মীরা ৷ তখনই স্থানীয়রা তাঁদের লক্ষ্য করে ইট-পাথর ছোড়ে বলে অভিযোগ ৷ পুলিশও পাল্টা লাঠিচার্জ করে, টিয়ার গ্যাস ছোড়ে ৷ এই সংঘর্ষে মৃতের সংখ্যা বেড়ে 6 হয়েছে ৷

জেলাশাসক চিরাগ গয়াল বলেন, "বিক্ষোভকারীরা বাড়িতে তৈরি পিস্তল দিয়ে গুলি করছিল ৷ তার মধ্যে পড়ে 6 জনের মৃত্যু হয়েছে ৷ পুলিশ শুধুমাত্র টিয়ারগ্যাস এবং রাবার বুলেট ছুড়েছিল ৷"

এরপর দু'দিন কেটে গিয়েছে ৷ ধীরে ধীরে পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক হচ্ছে, দাবি পুলিশ প্রশাসনের ৷ মঙ্গলবার মোরাদাবাদের ডিভিশনাল কমিশনার অউনজানেয়া কুমার সিং বলেন, "সম্ভলের অবস্থা এখন স্বাভাবিক ৷ যেখানে হিংসার ঘটনা ঘটেছিল, সেই জায়গায় কিছু দোকান এখনও বন্ধ ৷ এছাড়া বেশির ভাগ দোকানই খুলেছে ৷ তবে ওই এলাকাতেও এখন আর তেমন কোনও উত্তেজনা নেই ৷ এলাকার নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে ৷ পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণেই, আরও স্বাভাবিক হচ্ছে ৷" এই দাবি সত্ত্বেও এলাকায় ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে ৷

সম্ভলে ভিন্ন ধর্ম সম্প্রদায়ের মানুষেরা ঐক্য ও সম্প্রীতির বার্তা দিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে ৷ পুলিশ প্রশাসনের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা অবস্থার উপর নজর রাখছেন ৷ পুলিশের পাশাপাশি সংবেদনশীল জায়গাগুলিতে ব়্যাফ নামানো হয়েছে ৷ প্রশাসন এখানে 30 নভেম্বর পর্যন্ত বহিরাগত ও জনপ্রতিনিধিদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে ৷

জেলায় আপাত শান্ত অবস্থা দেখা গেলেও সম্ভলের শাহি জামা মসজিদ এলাকায় লোকজন প্রায় দেখাই যাচ্ছে না ৷ গত 19 নভেম্বর থেকে এখানে ভিতরে ভিতরে চাপা উত্তেজনা চলছিল ৷ এই মসজিদের জায়গায় আগে শিবমন্দির ছিল, এই দাবিতে আদালতে মামলা হয় ৷ এরপর আদালতের নির্দেশে সেদিনই মসজিদের প্রথম সমীক্ষা হয় ৷ পরে 24 নভেম্বর সেখানে সমীক্ষা করতে পৌঁছন কর্মীরা ৷ তখনই ঝামেলা বাধে ৷

মসজিদের সমীক্ষার কাজ শুরু হতেই বিশাল সংখ্যায় মানুষ জড়ো হয়ে স্লোগান দিতে থাকেন ৷ এরপরই নিরাপত্তাকর্মীদের সঙ্গে তাদের সংঘাত ঘটে ৷ গাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটে ৷ পাথর ছোড়া হয় বলে অভিযোগ ৷

পুলিশ এখনও পর্যন্ত 25 জনকে গ্রেফতার করেছে ৷ 7টি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে ৷ এই ঘটনায় 2 হাজার 750 জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে ৷ এছাড়া সম্ভলে সমাজবাদী পার্টির সাংসদ জিয়া-উর-রেহমান বার্ক এবং স্থানীয় বিধায়ক ইকবাল মেহমুদের ছেলে সোহেল ইকবালের ছেলেও সেই তালিকায় রয়েছেন ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.