রোহতক(হরিয়ানা), 3 ফেব্রুয়ারি: শুক্রবার এক অনাথ পাত্রীর ধুমধাম করে বিয়ে হল হরিয়ানায়। তবে এই বিয়ে ছিল সবদিক থেকেই বিশেষ।বিয়ের যাবতীয় আয়োজন করেছিল জেলা প্রশাসন। সেশন জজ নীরলা কুলওয়ান্ত এবং ডিসি অজয় কুমার বিয়েতে পৌঁছে বর ও কনেকে আশীর্বাদ করেন । শহরের এক শিল্পপতি দম্পতি মেয়েটির কন্যাদান করেছেন । হরিয়ানার রাজ্য শিশু কল্যাণ পরিষদের চেয়ারপার্সন রঞ্জিতা মেহতাও বিয়ের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন । পাশাপাশি, বিজেপি নেতা অজয় খুন্দিয়া কনের মামা হিসাবে বিয়েতে এসেছিলেন ।
জানা গিয়েছে, কনের নাম করিশ্মা ৷ বয়স 19 বছর । করিশ্মার বাবা-মা তাঁকে ছোট বয়সে অনাথ আশ্রমে রেখে গিয়েছিলেন । এরপর করিশ্মা একটি অনাথ আশ্রমে প্রতিপালিত হন । আগে তিনি বাহাদুরগড়ে থাকতেন । এরপর তিনি রোহতক বাল ভবনে অবস্থিত অনাথ আশ্রমে থাকতে শুরু করেন । এখানে থেকে করিশমা দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেছেন ।
করিশ্মার বিয়ের জন্য পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছিল। বিয়ের জন্য 10 জন পাত্র আগ্রহ দেখান । ওই পাত্রদের সাক্ষাৎকারের জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয় । এই কমিটির চেয়ারম্যান করা হয় সিটিএম মুকুন্দ তানওয়ারকে । কমিটি ছেলে ও মেয়েকে মুখোমুখি বসিয়ে ইন্টারভিউ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে। বাছাই করা দু'জন ছেলের মধ্যে রোহতকের রাঙ্কাপুরার নিক্কু গুলিয়াকে নির্বাচিত করা হয় । নিক্কু একটি টেলিকম কোম্পানিতে সুপারভাইজার । বাবা পরিবহণ দফতরে কাজ করেন ও মা গৃহবধূ ।
বিয়ের কার্ড ও আমন্ত্রণপত্র ছাপিয়েছিলেন ডিসি রোহতক । শুক্রবার বাল ভবন প্রাঙ্গণেই বিয়ের অনুষ্ঠান হয় । এই বিয়ের যাবতীয় খরচ বহন করেছে মাইক্রো ফাউন্ডেশন । কনে করিশমা জানান, প্রশাসনের রূপে তিনি পুরো পরিবারকে পেয়ে গিয়েছেন । তিনি বলেন, "এখানকার সব সদস্য আমার পরিবারের মতো ।" বর নিক্কু জানান, তিনি জানতে পেরেছেন করিশ্মা অনাথ । তা সত্ত্বেও তিনি বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেন । পরিবারের সদস্যরাও এতে রাজি ।
ডিসি বলেন, "আজ আমি খুব খুশি । করিশ্মা এবার নতুন বাড়ি ও পরিবার পাবে ।" রঞ্জিত মেহতা জানিয়েছেন, সব প্রক্রিয়া মেনে বিয়ে হয়েছে ৷ ছেলে পক্ষের তরফে বিয়ের আবেদন মূল্যায়ন করে জেলা প্রশাসন কমিটি । এই বিয়েতে মেয়ের মামা হওয়ায় ছিলেন বিজেপি নেতা অজয় খুন্দিয়া। তিনি বলেন, "এটা প্রশাসনের ভালো উদ্যোগ । বিয়েতে অনাথ মেয়ের মামা হওয়ার সৌভাগ্য হওয়ায় আমি খুব খুশি ।"
আরও পড়ুন: