ETV Bharat / bharat

জামাকাপড় ইস্ত্রি করেন না? অজান্তেই এতদিন ধরে পরিবেশের উপকার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ - Wrinkles Acche Hain - WRINKLES ACCHE HAIN

Wrinkles Acche Hain: ইস্ত্রি ছাড়া জামাকাপড় পরতে পারেন না ? পরিবেশের ভালোর জন্য একদিনের জন্য হলেও অভ্যাসটা একটু বদলাতে পারেন ৷ কারণ তা জলবায়ু পরিবর্তনে সাহায্য করে ৷

Iron
ইস্ত্রি ছাড়া জামাকাপড় জলবায়ু পরিবর্তনে সাহায্য করে (ইটিভি ভারত)
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : May 9, 2024, 5:03 PM IST

নয়াদিল্লি: জামা কাপড় ইস্ত্রি না-করলে তা নাকি জলবায়ু পরিবর্তনে সাহায্য করে ৷ এমনটাই বলছেন আইআইটি বম্বের অধ্যাপক চেতন সিং সোলাঙ্কি ৷ 'রিঙ্কলস আচ্ছে হ্যায়' নামক একটি উদ্যোগের মাধ্যমে তাঁরা দেখেছেন যে, একদিন ইস্ত্রি না করলে প্রায় 1,25,000 কেজি কার্বন নির্গত হওয়া থেকে বিরত থাকা যায় ৷

তাই এখন থেকে সোমবারে কাউন্সিল অফ সায়েন্টিফিক অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিসার্চ (CSIR) কর্মীরা ইস্ত্রি ছাড়া পোশাক পরতে পারে ৷ যদিও সিএসআইআর স্পষ্ট করেছে যে, সিএসআইআর সদর দফতর দ্বারা তাদের ল্যাবগুলিতে কর্মীদের ইস্ত্রি করা পোশাক পরা থেকে বিরত থাকার জন্য এখনও কোনও সার্কুলার বা অফিসিয়াল বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়নি।

23 এপ্রিল ধরিত্রী দিবসের দিন একটি পোস্টে সিএসআইআর সদর দফতরে জলবায়ু ঘড়ি ইনস্টল করার পর একটি বক্তৃতায় নিজের মতামত প্রকাশ করেছিলেন আইআইটি বম্বের অধ্যাপক চেতন সোলাঙ্কি ৷ তখনই তিনি জানান, 'রিঙ্কলস আচ্ছে হ্যায়' উদ্যোগের লক্ষ্য হল শক্তি সঞ্চয়, পরিবেশ রক্ষা এবং জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কে সচেতনতা ছড়িয়ে দেওয়ার বিষয়ে সবাইকে মনে করিয়ে দেওয়া ।

শক্তি স্বরাজ আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা চেতন সিং সোলাঙ্কি আরও বলেন, "আমরা প্রতি সোমবার প্রায় 1,25,000 কেজি কার্বন নিঃসরণ সাশ্রয় করছি ৷ জলবায়ু পরিবর্তনের সবচেয়ে সহজ সমাধানগুলির মধ্যে একটি হল নট-ডুয়িং-সামথিং' (এনডিএস) অর্থাৎ, নিয়ন্ত্রণ ৷ আমাদের 'রিঙ্কলস আচ্ছে হ্যায়' প্রচার জোরদার হচ্ছে । এতে আমরা সোমবার মানুষকে ইস্ত্রিহীন জামাকাপড় পরতে বলছি।"

যখন লক্ষ লক্ষ মানুষ একই কাজ করে, তখন বিপুল কার্বন নিঃসরণ সাশ্রয় হয় এবং এটি ফ্যাশনেবল হয়ে ওঠে। বর্তমানে প্রতি সোমবার 6 লাখ 25 হাজার মানুষ এই উদ্যোগে সামিল হচ্ছেন । আমরা প্রতি সোমবার প্রায় 1,25,000 কেজি কার্বন নিঃসরণ সাশ্রয় করছি । আশা করি, এই বছরের শেষ নাগাদ 1 কোটিরও বেশি মানুষ সোমবার এই 'রিঙ্কলস আচ্ছে হ্যায়' আবেদনে সাড়া দেবেন ৷

বিষয়টি নিয়ে একজন আধিকারিক জানান যে, সিএসআইআর তার সমস্ত ল্যাবগুলিতে 10 শতাংশ বিদ্যুত খরচ কমানোর পরিকল্পনা করছে । প্রফেসর সোলাঙ্কি সম্প্রতি জলবায়ু পরিবর্তন এবং এর খারাপ প্রভাব সম্পর্কে সচেতনতা ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য CSIR সদর দফতরের উপরে ভারতের বৃহত্তম জলবায়ু ঘড়ি ইনস্টল করেছেন।

আরও পড়ুন :

  1. এল নিনো ও লা নিনোর যুগলবন্দি ভারতের জলবায়ু ধরনের উপরও প্রভাব ফেলে
  2. অতিরিক্ত তাপ-ঘূর্ণিঝড় থেকে ফসল বাঁচতে কৃষকদের হাতিয়ার 'বিশেষ গন্ধ'!

নয়াদিল্লি: জামা কাপড় ইস্ত্রি না-করলে তা নাকি জলবায়ু পরিবর্তনে সাহায্য করে ৷ এমনটাই বলছেন আইআইটি বম্বের অধ্যাপক চেতন সিং সোলাঙ্কি ৷ 'রিঙ্কলস আচ্ছে হ্যায়' নামক একটি উদ্যোগের মাধ্যমে তাঁরা দেখেছেন যে, একদিন ইস্ত্রি না করলে প্রায় 1,25,000 কেজি কার্বন নির্গত হওয়া থেকে বিরত থাকা যায় ৷

তাই এখন থেকে সোমবারে কাউন্সিল অফ সায়েন্টিফিক অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিসার্চ (CSIR) কর্মীরা ইস্ত্রি ছাড়া পোশাক পরতে পারে ৷ যদিও সিএসআইআর স্পষ্ট করেছে যে, সিএসআইআর সদর দফতর দ্বারা তাদের ল্যাবগুলিতে কর্মীদের ইস্ত্রি করা পোশাক পরা থেকে বিরত থাকার জন্য এখনও কোনও সার্কুলার বা অফিসিয়াল বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়নি।

23 এপ্রিল ধরিত্রী দিবসের দিন একটি পোস্টে সিএসআইআর সদর দফতরে জলবায়ু ঘড়ি ইনস্টল করার পর একটি বক্তৃতায় নিজের মতামত প্রকাশ করেছিলেন আইআইটি বম্বের অধ্যাপক চেতন সোলাঙ্কি ৷ তখনই তিনি জানান, 'রিঙ্কলস আচ্ছে হ্যায়' উদ্যোগের লক্ষ্য হল শক্তি সঞ্চয়, পরিবেশ রক্ষা এবং জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কে সচেতনতা ছড়িয়ে দেওয়ার বিষয়ে সবাইকে মনে করিয়ে দেওয়া ।

শক্তি স্বরাজ আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা চেতন সিং সোলাঙ্কি আরও বলেন, "আমরা প্রতি সোমবার প্রায় 1,25,000 কেজি কার্বন নিঃসরণ সাশ্রয় করছি ৷ জলবায়ু পরিবর্তনের সবচেয়ে সহজ সমাধানগুলির মধ্যে একটি হল নট-ডুয়িং-সামথিং' (এনডিএস) অর্থাৎ, নিয়ন্ত্রণ ৷ আমাদের 'রিঙ্কলস আচ্ছে হ্যায়' প্রচার জোরদার হচ্ছে । এতে আমরা সোমবার মানুষকে ইস্ত্রিহীন জামাকাপড় পরতে বলছি।"

যখন লক্ষ লক্ষ মানুষ একই কাজ করে, তখন বিপুল কার্বন নিঃসরণ সাশ্রয় হয় এবং এটি ফ্যাশনেবল হয়ে ওঠে। বর্তমানে প্রতি সোমবার 6 লাখ 25 হাজার মানুষ এই উদ্যোগে সামিল হচ্ছেন । আমরা প্রতি সোমবার প্রায় 1,25,000 কেজি কার্বন নিঃসরণ সাশ্রয় করছি । আশা করি, এই বছরের শেষ নাগাদ 1 কোটিরও বেশি মানুষ সোমবার এই 'রিঙ্কলস আচ্ছে হ্যায়' আবেদনে সাড়া দেবেন ৷

বিষয়টি নিয়ে একজন আধিকারিক জানান যে, সিএসআইআর তার সমস্ত ল্যাবগুলিতে 10 শতাংশ বিদ্যুত খরচ কমানোর পরিকল্পনা করছে । প্রফেসর সোলাঙ্কি সম্প্রতি জলবায়ু পরিবর্তন এবং এর খারাপ প্রভাব সম্পর্কে সচেতনতা ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য CSIR সদর দফতরের উপরে ভারতের বৃহত্তম জলবায়ু ঘড়ি ইনস্টল করেছেন।

আরও পড়ুন :

  1. এল নিনো ও লা নিনোর যুগলবন্দি ভারতের জলবায়ু ধরনের উপরও প্রভাব ফেলে
  2. অতিরিক্ত তাপ-ঘূর্ণিঝড় থেকে ফসল বাঁচতে কৃষকদের হাতিয়ার 'বিশেষ গন্ধ'!
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.