নিজামাবাদ (তেলেঙ্গানা), 25 জানুয়ারি: নিজামাবাদে জোড়া খুনের ঘটনায় চাঞ্চল্যকর তথ্য তেলেঙ্গানা পুলিশের হাতে ৷ এক হাজার টাকার জন্য দুই সঙ্গীকে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ ৷ ঘটনায় অমর খান এবং রিয়াজ খান নামে দুই যুবককে গ্রেফতার করেছে নিজামাবাদ পুলিশ ৷
এ নিয়ে নিজামাবাদের এসিপি রাজা ভেঙ্কট রেড্ডি বলেন, "ধৃত দুই অভিযুক্ত অমর খান (33) এবং রিয়াজ খান (27) মহম্মেদিয়া কলোনির বাসিন্দা ৷ আর তাঁদেরই দুই সঙ্গী মহম্মদ বাহাদুর (40) এবং সৈয়দ ইউসুফ (44), তাঁরা একসঙ্গে বিভিন্ন শ্মশানঘাটে চিতাভস্ম থেকে সোনা ও রুপোর মতো মূল্যবান সামগ্রী চুরি করতেন ৷"
অভিযোগ, গত 18 জানুয়ারি অমর, রিয়াজ এবং বাহদুর তিনজনে নিজামসাগর খালের কাছে অবস্থিত শ্মশানে যান ৷ সেখানে মূল্যবান সামগ্রী খোঁজার চেষ্টা করেন ৷ তার জন্য তিনজনে মিলে 1 হাজার টাকা খরচও করেন ৷ কিন্তু, চিতাভস্ম থেকে তাঁরা কিছুই পাননি ৷ এর জেরে তিনজনেই হতাশ হন ৷ এরপর তাঁরা মদ্যপান করেন এবং গুপানপল্লি শ্মশানে যান ৷ কিন্তু, সেখানেও কিছুই খুঁজে পাননি তাঁরা ৷
পুলিশ ধৃতদের জেরা করে জানতে পেরেছে, তিনজনের মধ্যে ব্যাপক বচসা হয় হাজার টাকা অপচয় হওয়ায় ৷ অভিযোগ, সেই রাগে অমর এবং রিয়াজ লাঠি নিয়ে মহম্মদ বাহাদুরের মাথায় আঘাত করেন ৷ ঘটনাস্থলেই রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়েন তিনি ৷ এরপর বাহাদুরের দেহ পুলাং স্ট্রিম এলাকায় লোপাট করে দেন নিজেদের অপরাধ ধামাচাপা দিতে ৷
এই ঘটনার পরেরদিন অমর এবং রিয়াজের চতুর্থ সঙ্গী সৈয়দ ইউসুফ তাঁদের কাছে বাহাদুর সম্পর্কে জানতে চান ৷ কিন্তু, তাঁদের অস্বাভাবিক আচরণে সন্দেহ হয় ইউসুফের ৷ এতে অমর এবং রিয়াজ আশঙ্কা করেন ইউসুফ তাঁদের অপরাধ ফাঁস করে দিতে পারেন ৷ অভিযোগ, সেই আশঙ্কায় দু’জনে মিলে ইউসুফকেও খুনের পরিকল্পনা করেন ৷ 19 জানুয়ারি বাবানসাহেব পাহাড় এলাকার ঝিলে দুই অভিযুক্ত তাঁকে স্নান করতে নিয়ে যান ৷ সেখানেই ইউসুফকে ডুবিয়ে মারা হয় বলে অভিযোগ ৷
পরে ইউসুফের দেহ ভেসে উঠলে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেন ৷ তদন্তকারীরা অস্বাভাবিক মৃত্যুর অভিযোগ দায়ের করে তদন্ত শুরু করেন ৷ ততক্ষণে পুলিশ পুলাং স্ট্রিম এলাকা থেকে বাহাদুরের দেহ উদ্ধার করে ৷ তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারেন, বাহাদুর এবং ইউসুফ দুই বন্ধু ৷ আর তাঁদের আরও দুই সঙ্গী অমর এবং রিয়াজ ৷ চারজনের মোবাইল লোকেশন এবং অন্যান্য তথ্য খতিয়ে দেখে পুলিশ দু’জনকে আটক করে ৷ জিজ্ঞাসাবাদে তাঁরা পুলিশকে খুনের অভিযোগ স্বীকার করেন বলে জানিয়েছেন, নিজামাবাদের এসিপি ৷ আদালতে তোলা হলে দু’জনকে জেল হেফাজতে পাঠিয়েছেন বিচারক ৷