কলকাতা/মালদা, 20 জুন: সোনালি যুগের অবসান ঘটিয়ে তেরো দিন আগে প্রয়াত হয়েছেন রামোজি রাও ৷ পদ্মবিভূষণ রামোজি রাও গত 8 জুন অগণিত অনুগামীকে চোখের জলে ভাসিয়ে অমৃতলোকে পাড়ি দিয়েছেন ৷ আইকনিক এই মিডিয়া ব্যারনের বয়স হয়েছিল 87 বছর ৷ বিশ্বের সবথেকে বড় ফিল্ম সিটি তথা 'সিনেমা সেটে'র প্রতিষ্ঠাতা, তেলুগু সংবাদ ও বিনোদন নেটওয়ার্ক ইটিভির প্রধান, ইনাডু সংবাদপত্র, ইটিভি ভারতের প্রতিষ্ঠাতা ও উষাকিরণ মুভিজ কোম্পানিরও কর্ণধার ছিলেন তিনি ৷ বৃহস্পতিবার তাঁকে দেশজুড়ে শ্রদ্ধা জানানো হয় ৷
দেশের সবথেকে বড় সিনেমা সেট 'রামোজি ফিল্ম সিটি'তে সারা দেশের বিভিন্ন ভাষার বহু ছবির শুটিং হয়েছে। এছাড়া তাঁর ফিল্ম ডিস্ট্রিবিউশনের ব্যবসাও রয়েছে। বিভিন্ন ক্ষেত্রেই তাঁর বিনিয়োগ রয়েছে। এক কথায় তাঁর চলে যাওয়া বিভিন্ন ক্ষেত্রেরই বড় ক্ষতি ৷ দেশের সংবাদ ও বিনোদন মাধ্যমকে উচ্চতার শিখরে পৌঁছে দিয়েছিলেন তিনি। তাঁর প্রয়াণের মধ্য দিয়েই অবসান ঘটেছে একটি যুগের।
এদিন তাঁকে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিটি রাজ্যে ফুল ও মালায় শ্রদ্ধা জানান ইটিভি ভারত নেটওয়ার্কের কর্মীরা ৷ তাঁকে ঘিরে নানা অভিজ্ঞতার কথা শোনান রামোজি রাওয়ের সহযোদ্ধারা ৷ কর্মীদের কথায় উঠে আসে নানা স্মৃতিকথা। কর্মীদের চিরকাল সন্তান ভেবেছেন তিনি ৷ তাঁর দেখানো পথ যাতে সন্তানসম কর্মীরা আরও প্রশস্ত করতে পারেন, সেই দিশাও দেখিয়েছেন তিনিই ৷ এদিন কলকাতা ও মালদার ইটিভি নেটওয়ার্কের কার্যালয়ে তাঁকে তাঁর পছন্দের খাবার 'গাজরের হালুয়া ও মাইসোর পাক' নিবেদন করা হয় ৷
রামোজি ফিল্ম সিটিতে রয়েছে একাধিক শুটিং ফ্লোর। আর সেগুলিকে নানা নামে চিহ্নিত করে গিয়েছেন তিনি। কোনওটি মহানায়ক উত্তম কুমারের নামে, আবার কোনওটা তেলুগু অভিনেতা এনটি রামা রাওয়ের নামে ৷ কোনওটা আবার শিবাজি গণেশনের নামে, নাগেশ্বরের নামও রয়েছে সেখানে ৷ রামোজি রাও তাঁর সন্তানসম কর্মীদের জন্য লিখেছেন অনুপ্রেরণার উইল। তিনি খোলা চিঠিতে লিপিবদ্ধ করেছেন কর্মীদের জন্য নানাবিধ কর্তব্যের কথা ৷ সেইকথা উইলে সৎভাবে পরিশ্রম করে চলার কথা বলেছেন তিনি। শূন্য থেকে কীভাবে মহীরুহ হয়ে ওঠা যায়, তাও প্রমাণ করেছিলেন তিনিই ৷ কর্মীদেরও সেই পথে হাঁটার উপদেশ দিয়েছেন মিডিয়া ব্যারন রামোজি রাও।