ওয়াশিংটন, 27 নভেম্বর: ভারতের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক কারও অজানা নয় ৷ ভারতীয়দের প্রতি তিনি যথেষ্ট শ্রদ্ধাশীল বলেই বিবেচনা করা হয় ৷ শপথগ্রহণের আগে আমেরিকার স্বাস্থ্য বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ পদ সেই ভারতীয় বংশোদ্ভুতকেই বেছে নিলেন আমেরিকার নতুন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ৷ আমেরিকার শীর্ষস্থানীয় স্বাস্থ্য গবেষণা সংস্থা 'ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ হেল্থ'-এর প্রধান পদে ডাঃ জয় ভট্টাচার্যকে বেছে নিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প ৷
উল্লেখ্য, এই প্রথম ট্রাম্প 2.0 সরকারের শীর্ষ আধিকারিক স্থানে জায়গা করে নিলেন একজন ভারতীয় ৷ এর আগে মার্কিন প্রশাসনের নতুন তৈরি 'ডিপার্টমেন্ট অফ গভার্নমেন্ট এফিসিয়েন্সি'-এর শীর্ষস্থানে ইলন মাস্কের সঙ্গে যুগ্মভাবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে আরও এক ভারতীয় বংশোদ্ভুত বিবেক রামাস্বামীকে ৷
এই প্রসঙ্গে আমেরিকার নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেন, "ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ হেল্থের ডিরেক্টর পদে পিএইচডি ডাঃ জয় ভট্টাচার্যকে বেছে নিয়েছি ৷ জুনিয়র রবার্ট এফ কেনেডির সঙ্গে সহযোগীতায় কাজ করবেন তিনি ৷ আমার আশা, নতুন আবিষ্কারের মাধ্য়মে আমেরিকার স্বাস্থ্য পরিষেবাকে উন্নত করতে সবরকম চেষ্টা করবেন ডাক্তার ও গবেষক জয় ভট্টাচার্য ৷"
কে এই জয় ভট্টাচার্য ?
আমেরিকার বিখ্যাত স্বাস্থ্য গবেষক হওয়ার পাশাপাশি একজন অর্থনীতিবিদ হলেন জয় ভট্টাচার্য ৷ 1968 সালে কলকাতার এক বাঙালি পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন তিনি ৷ উচ্চশিক্ষার জন্য আমেরিকায় পারি দেন তিনি ৷ এরপর স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা সম্পূর্ণ করেন জয় ভট্টাচার্য ৷ বর্তমানে স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় এবং আমেরিকার ন্যাশনাল ব্যুরো অফ ইকনমিক রিসার্চের সঙ্গে যুক্ত 56 বছর বয়সি জয় ভট্টাচার্য । চিকিৎসা বিজ্ঞানে এমডি ডিগ্রি রয়েছে তাঁর। এছাড়া স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে পিএইচডি করেছেন তিনি। স্বাস্থ্য এবং অর্থনীতিতে তাঁর অভিজ্ঞতা আমেরিকার স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় নতুন দিশা দেখাতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা ৷
করোনা সংক্রমণের সময় তৎকালীন মার্কিন প্রশাসনের তীব্র কটাক্ষ করেন জয় ভট্টাচার্য ৷ "গ্রেট ব্যারিংটন ডিক্লারেশন" নামে একটি খোলা চিঠিতে করোনা মহামারীর মোকাবিলায় তৎকালীন সরকারের ভূমিকা নিয়ে তীব্র সমালোচনাও করেন তিনি ৷