মাদুরাই, 2 মার্চ: একই পরিবারের চারজন সদস্য়ের রহস্যজনক মৃত্যু ৷ মৃত চারজনের দু’জন স্বামী-স্ত্রী ৷ বাকি দু’জন মৃত দম্পতির দুই নাবালিকা কন্যা ৷ ঘটনাটি ঘটেছে ৷ তামিলনাড়ুর মাদুরাইয়ের অনুপ্পানাড়ি আম্বেদকর নগরে ৷ শুক্রবার এই ঘটনাটি সামনে আসে ৷ প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশের অনুমান, স্বামী-স্ত্রী আত্মঘাতী হন ৷ আত্মহত্যার আগে দুই নাবালিকা কন্যাকে খুন করেন ৷ তবে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানতে ময়নাতদন্তের রিপোর্টের অপেক্ষা করছে পুলিশ ৷
পুলিশ জানিয়েছে, শুক্রবার মাদুরাইয়ের সিলাইমান এলাকায় ভাইগাই নদীর সেতুর নিচে বছর 40 এর এক ব্যক্তির মৃতদেহ উদ্ধার হয় ৷ মৃতের কাছ থেকে একটি সুইসাইড নোটও উদ্ধার হয় ৷ সেখানে লেখা ছিল যে বারবার অসুস্থতার জেরেই তিনি এই চরমপথ বেছে নিয়েছেন ৷
সেই সুইসাইড নোট থেকেই পুলিশ জানতে পারে যে মৃতের নাম সেন্থিলকুমার ৷ সেখানে তাঁর বাড়ির ঠিকানাও ছিল ৷ সেই মতো পুলিশ অনুপ্পানাড়ি আম্বেদকর নগরে হাজির হয় ৷ কিন্তু সেন্থিলকুমারের বাড়ি গিয়ে পুলিশ আরও তিনটি মৃতদেহ উদ্ধার করে ৷ সেই দেহগুলির একটি সেন্থিলকুমারের স্ত্রী ভিরা সেলভির ৷ আর বাকি দু‘টি দেহ সেন্থিলকুমার ও ভিরা সেলভির দুই নাবালিকা কন্যা ধনুশ্রী ও মেঘাশ্রীর ৷ পুলিশ জানিয়েছে, ধনুশ্রীর বয়স 13 ৷ আর মেঘাশ্রীর বয়স মাত্র আট বছর ৷
পুলিশ দেহগুলি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায় ৷ আপাতত মৃত্যুর কারণ জানতে ময়নাতদন্তের রিপোর্টের অপেক্ষা করছেন তদন্তকারীরা ৷ এদিকে এই ঘটনা সামনে আসার পর ওই এলাকায় হইচই পড়েছে ৷ অনেকেই বিস্মিত৷ স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে পুলিশ জানতে পেরেছে, ভিরা সেলভি মাদুরাইয়ের সরকারি পর্যবেক্ষণ হোমে শিক্ষক হিসাবে কর্মরত ছিলেন ৷ দুই নাবালিকার মধ্যে ধনশ্রী অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী ছিল ৷ আর মেঘাশ্রী পড়ত চতুর্থ শ্রেণিতে ৷
তামিলনাড়ুর থেপ্পাকুলাম থানার পুলিশ ঘটনার তদন্ত করছে ৷ প্রাথমিকভাবে পুলিশ মনে করছে, অবসাদ থেকেই চরম পদক্ষেপ করেছেন সেন্থিলকুমার ও তাঁর পরিবারের অন্য সদস্যরা ৷ তবে এর পিছনে অন্য কোনও রহস্য আছে কি না, সেটাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ ৷
আরও পড়ুন: