নয়াদিল্লি, 8 এপ্রিল: ভূপতিনগর নিয়ে তৃণমূলের ধরনায় ব্য়াপক উত্তেজনা দিল্লিতে ৷ দিল্লির নির্বাচন কমিশনের সদর দফতরের সামনে পুলিশের সঙ্গে ধুন্ধুমার তৃণমূল নেতাদের ৷ ধরনাকে ছত্রভঙ্গ করতে বল প্রয়োগ করে পুলিশ ৷ কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলিকে অপব্য়বহারের অভিযোগে এবং এনআইএ-এর সঙ্গে বিজেপির যোগকে সামনে রেখে সোমবার নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয় তৃণমূল কংগ্রেস ৷
তাদের দাবি, এন আইএ-র এসপি ধন রাম সিং-কে অপসারণ করা হোক ৷ তিনি বিজেপির সুবিধা করে দেওয়ার জন্য় কাজ করছেন বলে অভিযোগ করে তৃণমূল ৷ কমিশনের ফুল বেঞ্চের সঙ্গে দেখা করেন তৃণমূলের 10 জন সাংসদের একটি দল ৷ নেতৃত্বে ছিলেন রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক ও'ব্রায়েন । আলোচনার পর কমিশনের বাইরে এসে ধরনায় বসেন তাঁরা ৷ 24 ঘণ্টা ধরনায় বসে থাকার ঘোষণা করেন তাঁরা ৷ কিন্তু কিছুক্ষণ পর তাঁদের ছত্রভঙ্গ করতে আসরে নামে দিল্লি পুলিশ ৷ প্রথমে তৃণমূলের প্রতিনিধিদের বুঝিয়ে তোলার চেষ্টা করে পুলিশ । তাতে কাজ না হওয়ায় বল প্রয়োগ করে তাদের গাড়িতে তোলা হয় ।
ডেরেক বলেন, "বিকেল সাড়ে চারটের সময় আমরা নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে দেখা করি। আমাদের একটাই দাবি ছিল, ইডি-সিবিআই এবং এনআইএ-র অধিকর্তাদের সরিয়ে দিতে হবে। সাক্ষাৎ সেরে কমিশনের বাইরে ধরনায় বসি। সেখান থেকে পুলিশ আমাদের তুলে দেয়। এটা গনতন্ত্রের হত্যা। আমাদের ওখান থেকে গায়ের জোরে পুলিশ গাড়িতে তুলে নিয়ে যায়। প্রায় দেড় ঘণ্টা আমাদের রাস্তায় ঘোরানো হয়। এরপর নিয়ে আসা হয় মন্দিরমার্গ থানায়। আমাদের ধরনা চলবে। থানায় হোক বা থানরা বাইরে আমার আমাদের লড়াই চালিয়ে যাব। আমাদের নেত্রী দোলা সেনের পায়ে লেগেছে। আঘাত বেশ গুরুতর। তবু সকলে মনে রাখবেন আমরা তৃণমূল কংগ্রেস। আমাদের লড়াই এত সহজে থামবে না। "
তৃণমূল নেতা শান্তনু সেন বলেন, " আমরা শান্তিপূর্ণ ধারনায় বসেছিলাম । অথচ পুলিশ আমাদের বল প্রয়োগ করে জোর করে ভ্যানে তুলে নেয়। নির্বাচন কমিশন এবং দিল্লি পুলিশ মানুষের দাবিকে মান্যতা দিতে চাইছে না ৷ সে কারণেই গণতান্ত্রিক দাবিকে অগ্রাহ্য করে আমাদের জোর করে তুলে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়।" ৷
গত কয়েকদিন ধরেই বিজেপি-এনআইএ-র যোগসাজসের অভিযোগ তুলে সরব হয় তৃণমূল কংগ্রেস। এই প্রতিনিধি দলে ছিলেন তৃণমূলের রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক ও'ব্রায়েন, সাংসদ নাদিমুল হক, দোলা সেন, সাকেত গোখলে, সাগরিকা ঘোষ, তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক বিবেক গুপ্ত, প্রাক্তন সংসদ অর্পিতা ঘোষ, শান্তনু সেন, আবির রঞ্জন বিশ্বাস এবং তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সহ-সভাপতি সুদীপ রাহা ।
আরও পড়ুন: