ETV Bharat / bharat

নির্মম! পিটিয়ে ছাত্রীর হাত ভেঙে দিলেন শিক্ষক - KOTA SCHOOL TEACHER BEATS STUDENT

ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দেন রাজস্থানের শিক্ষামন্ত্রী মদন দিলাওয়ার ৷ অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ ৷

KOTA SCHOOL TEACHER BEATS STUDENT
তদন্তের নির্দেশ শিক্ষামন্ত্রীর (প্রতীকী চিত্র)
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Oct 20, 2024, 3:13 PM IST

কোটা, 20 অক্টোবর: স্কুলের ক্লাসরুমে গালিচা পাতার নির্দেশ দিয়েছিলেন শিক্ষক ৷ সেই নির্দেশ মানার চেষ্টাও করে 10 বছরের খুদে পড়ুয়া। কিন্তু সঠিকভাবে সেই কাজ করতে পারেনি ৷ অভিযোগ, এই অপরাধে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রীর হাত ভেঙে দিলেন শিক্ষক ৷ ঘটনাটি ঘটেছে রাজস্থানের কোটার তেলিয়া খেদি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে ৷

ছাত্রীর পরিবারের অভিযোগ:

অভিযুক্ত শিক্ষকের নাম আব্দুল আজিজ ৷ ছাত্রীর পরিবারের অভিযোগ, তাদের মেয়েকে গালিচা পাতার নির্দেশ দেন অভিযুক্ত শিক্ষক ৷ কিন্তু কাজ পছন্দ না হওয়ায় পঞ্চম শ্রেণির ওই ছাত্রীর উপর বেজায় চটে যান শিক্ষক ৷ এরপর হাতের সামনে থাকা একটি লাঠি দিয়ে খুদেকে পেটাতে শুরু করেন ৷ তাতেই হাত ভেঙে যায় 10 বছরের বাচ্চা মেয়েটির ৷ স্কুল থেকে কাঁদতে কাঁদতে বাড়ি এসে পুরো ঘটনাটি তার বাবা-মাকে জানায় বাচ্চাটি ৷

শিক্ষামন্ত্রীর নির্দেশ:

মেয়ের কাছে সমস্ত ঘটনা শুনে আসকালি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানের কাছে অভিযোগ জানান বাবা-মা ৷ ঘটনাচক্রে সেই সময় স্থানীয় একটি ক্যাম্পে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী মদন দিলাওয়ার ৷ ছাত্রীর বাবা-মাকে সঙ্গে নিয়ে শিক্ষামন্ত্রীর কাছে যান পঞ্চায়েত প্রধান ৷

তাঁকে অভিযোগ জানাতেই ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দেন শিক্ষামন্ত্রী দিলাওয়ার ৷ ডেপুটি পুলিশ সুপার ঘনশ্যাম মিনাকে তদন্তের দায়িত্ব দেন তিনি ৷ নির্দেশ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে দাঁড়িয়ে একটি 'জিরো এফআইআর' দায়ের করেন ডেপুটি এসপি ৷ এরপর সেই অভিযোগ-পত্র পাঠানো হয় স্থানীয় মোদক পুলিশ স্টেশনে ৷

ঘটনার তদন্ত:

ঘটনা প্রসঙ্গে মোদক থানার আধিকারিক যোগেশ কুমার বলেন, "ডেপুটি সুপারের কাছ থেকে অভিযোগ-পত্র পাওয়া মাত্রই তদন্ত শুরু করা হয়েছে ৷ অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে ৷" শিক্ষামন্ত্রী জানান, ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে ৷ এদিকে, শিক্ষামন্ত্রীর নির্দেশ পাওয়ার পর ঘটনার আলাদা তদন্ত শুরু করেছেন কোটার জেলা শিক্ষা আধিকারিক সতীশ যোশিও ৷

জিরো এফআইআর

মণিপুরে সাম্প্রতিক হিংসার পর ভারতীয় আইন ব্যবস্থায় এই শব্দটির ব্যবহার বেড়েছে। আইনের পরিভাষায় জিরো এফআইআরের বিশেষ অর্থ আছে। একটি ঘটনায় প্রশাসনের যে কোনও আধিকারিক এই ধরনের এফআইআর দায়ের করতে পারেন। সাধারণত যে ঘটনা যে নির্দিষ্ট এলাকায় ঘটে সেখানকার থানায় সেই অভিযোগ দায়ের হয়। সেখানকার থানা তদন্ত শুরু করে। এই ধরনের এফআইআর অন্যত্র দায়ের হতে পারে । পরে নির্দিষ্ট থানায় যায়। এই ঘটনাতেও প্রাথমিকভাবে সেই ধরনের এফআইআর-ই দায়ের হয়েছে।

আরও পড়ুন:

সিআরপিএফ স্কুলের কাছে বিস্ফোরণ ! তদন্তে মিলল ক্রুড বোমার অংশ

জঙ্গলে নাবালকের দেহ উদ্ধার, নরবলির অভিযোগ পরিবারের

কোটা, 20 অক্টোবর: স্কুলের ক্লাসরুমে গালিচা পাতার নির্দেশ দিয়েছিলেন শিক্ষক ৷ সেই নির্দেশ মানার চেষ্টাও করে 10 বছরের খুদে পড়ুয়া। কিন্তু সঠিকভাবে সেই কাজ করতে পারেনি ৷ অভিযোগ, এই অপরাধে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রীর হাত ভেঙে দিলেন শিক্ষক ৷ ঘটনাটি ঘটেছে রাজস্থানের কোটার তেলিয়া খেদি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে ৷

ছাত্রীর পরিবারের অভিযোগ:

অভিযুক্ত শিক্ষকের নাম আব্দুল আজিজ ৷ ছাত্রীর পরিবারের অভিযোগ, তাদের মেয়েকে গালিচা পাতার নির্দেশ দেন অভিযুক্ত শিক্ষক ৷ কিন্তু কাজ পছন্দ না হওয়ায় পঞ্চম শ্রেণির ওই ছাত্রীর উপর বেজায় চটে যান শিক্ষক ৷ এরপর হাতের সামনে থাকা একটি লাঠি দিয়ে খুদেকে পেটাতে শুরু করেন ৷ তাতেই হাত ভেঙে যায় 10 বছরের বাচ্চা মেয়েটির ৷ স্কুল থেকে কাঁদতে কাঁদতে বাড়ি এসে পুরো ঘটনাটি তার বাবা-মাকে জানায় বাচ্চাটি ৷

শিক্ষামন্ত্রীর নির্দেশ:

মেয়ের কাছে সমস্ত ঘটনা শুনে আসকালি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানের কাছে অভিযোগ জানান বাবা-মা ৷ ঘটনাচক্রে সেই সময় স্থানীয় একটি ক্যাম্পে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী মদন দিলাওয়ার ৷ ছাত্রীর বাবা-মাকে সঙ্গে নিয়ে শিক্ষামন্ত্রীর কাছে যান পঞ্চায়েত প্রধান ৷

তাঁকে অভিযোগ জানাতেই ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দেন শিক্ষামন্ত্রী দিলাওয়ার ৷ ডেপুটি পুলিশ সুপার ঘনশ্যাম মিনাকে তদন্তের দায়িত্ব দেন তিনি ৷ নির্দেশ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে দাঁড়িয়ে একটি 'জিরো এফআইআর' দায়ের করেন ডেপুটি এসপি ৷ এরপর সেই অভিযোগ-পত্র পাঠানো হয় স্থানীয় মোদক পুলিশ স্টেশনে ৷

ঘটনার তদন্ত:

ঘটনা প্রসঙ্গে মোদক থানার আধিকারিক যোগেশ কুমার বলেন, "ডেপুটি সুপারের কাছ থেকে অভিযোগ-পত্র পাওয়া মাত্রই তদন্ত শুরু করা হয়েছে ৷ অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে ৷" শিক্ষামন্ত্রী জানান, ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে ৷ এদিকে, শিক্ষামন্ত্রীর নির্দেশ পাওয়ার পর ঘটনার আলাদা তদন্ত শুরু করেছেন কোটার জেলা শিক্ষা আধিকারিক সতীশ যোশিও ৷

জিরো এফআইআর

মণিপুরে সাম্প্রতিক হিংসার পর ভারতীয় আইন ব্যবস্থায় এই শব্দটির ব্যবহার বেড়েছে। আইনের পরিভাষায় জিরো এফআইআরের বিশেষ অর্থ আছে। একটি ঘটনায় প্রশাসনের যে কোনও আধিকারিক এই ধরনের এফআইআর দায়ের করতে পারেন। সাধারণত যে ঘটনা যে নির্দিষ্ট এলাকায় ঘটে সেখানকার থানায় সেই অভিযোগ দায়ের হয়। সেখানকার থানা তদন্ত শুরু করে। এই ধরনের এফআইআর অন্যত্র দায়ের হতে পারে । পরে নির্দিষ্ট থানায় যায়। এই ঘটনাতেও প্রাথমিকভাবে সেই ধরনের এফআইআর-ই দায়ের হয়েছে।

আরও পড়ুন:

সিআরপিএফ স্কুলের কাছে বিস্ফোরণ ! তদন্তে মিলল ক্রুড বোমার অংশ

জঙ্গলে নাবালকের দেহ উদ্ধার, নরবলির অভিযোগ পরিবারের

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.