চেন্নাই, 6 জানুয়ারি: ভাষণ না দিয়েই বিধানসভা থেকে বেরিয়ে গেলেন খোদ তামিলনাড়ুর রাজ্যপাল আরএন রবি ৷ সোমবার বিধানসভায় তাঁর প্রথাগত ভাষণ দেওয়ার কথা থাকলেও তিনি বক্তব্য না রেখেই বেরিয়ে যান ৷ তাঁর অভিযোগ, রাজ্যের ডিএমকে সরকার জাতীয় সঙ্গীতকে অসম্মান করেছে।
রাজ্যপাল আরএন রবি সকাল সাড়ে ন'টা নাগাদ প্রথম অধিবেশনের জন্য বিধানসভায় পৌঁছন। তাঁর সঙ্গেই ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিন ৷ তিনি রাজ্যপালকে বিধানসভায় প্রথাগত অভ্যর্থনাও জানান। এরপরই বিধানসভার কার্যপ্রণালী শুরু হয় 'তামিল থাই ভাজথু' দিয়ে, যা প্রতিটি সরকারি অনুষ্ঠান শুরুর আগে এবং সভার প্রথম দিনেও সভার মধ্যে বাজানো হয়। তামিল রাজ্য সঙ্গীত গাওয়ার পর, রাজ্যপালকে ক্ষুব্ধ দেখায়। এরপর তিনি তাঁর ভাষণ না পড়েই বিধানসভার অধিবেশন কক্ষ ত্যাগ করেন। বিধানসভার স্পিকার এম আপ্পাভু ঘোষণা করেন, রাজ্যপাল হাউস কনভেনশন সম্পর্কে যা বলেছেন তাঁর কোনও কিছুই রেকর্ডে থাকবে না।
রাজ্যপালের প্রস্থানের পর, এআইএডিএমকে বিধায়করা প্রতিবাদে নামেন ৷ স্পিকার তাদের আসন গ্রহণ করতে বললেও এআইএডিএমকে বিধায়করা তাঁদের প্রতিবাদ অব্যাহত রাখেন ৷ এরপর তাঁদের বহিষ্কার করেন স্পিকার ৷
রাজভবনের তরফে সোশাল মিডিয়ায় পোস্টে করে বলা হয়েছে, "আজ তামিলনাড়ু বিধানসভায় ভারতের সংবিধান এবং জাতীয় সঙ্গীতের অবমাননা করা হয়েছে। জাতীয় সঙ্গীতকে সম্মান করা আমাদের সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত প্রথম মৌলিক কর্তব্যের মধ্যে একটি। রাজ্যপালের ভাষণের শুরু এবং শেষে এটি সমস্ত রাজ্য আইনসভায় গাওয়া হয়।"
একই সঙ্গে লেখা হয়েছে, "আজ রাজ্যপালের বিধানসভায় আগমনে কেবল তামিল থাই বাজথু গাওয়া হয়েছিল। রাজ্যপাল সম্মানের সঙ্গে সভার সাংবিধানিক কর্তব্যের কথা স্মরণ করিয়ে দেন ৷ স্পিকার এবং মুখ্যমন্ত্রীর কাছে জাতীয় সঙ্গীত গাওয়ার জন্য আন্তরিকভাবে আবেদনও করেন। তবে, তাঁরা তীব্রভাবে তা প্রত্যাখ্যান করেন। এটি গুরুতর উদ্বেগের বিষয়। সংবিধান এবং জাতীয় সঙ্গীতের প্রতি এই ধরণের নির্লজ্জ অসম্মানের জেরে রাজ্যপাল গভীর ক্ষোভের সঙ্গে সভার ত্যাগ করেন ৷"
প্রসঙ্গত, এই নিয়ে দ্বিতীয়বার রাজ্যপাল বিধানসভা থেকে ওয়াক আউট করলেন। 2024 সালের শুরুতে, তাঁর ভাষণ বাদ দেওয়া এবং সরকারের তৈরি করা প্রকৃত বিবৃতি রেকর্ড করার জন্য একটি সরকারি প্রস্তাব গৃহীত হলে তিনি বিধানসভা ত্যাগ করেছিলেন। রাজ্যপাল সরকারি ভাষণের কিছু অংশ বাদ দিয়েছিলেন ৷ যার জেরে রাজ্যপালের ভাষণ বাদ দেওয়া হয়।