নয়াদিল্লি, 31 জুলাই: সুপ্রিম কোর্টে শোনা গেল শোলের সংলাপ ৷ সাতের দশকের বিখ্যাত এই বলিউডি ছবিতে গব্বর সিংয়ের প্রভাব বোঝাতে বলা হয়েছিল, 'শো যা নেহিতো গব্বর আ জায়েগা!' মুম্বইয়ের কুখ্যাত গ্যাংস্টার অরুণ গাওলিকে সময়ের আগে মুক্তি দেওয়া সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে এ কথাই বলল শীর্ষ আদালতের ডিভিশন বেঞ্চ ৷ পাশাপাশি অরুণের মুক্তির আবেদনও খারিজ করে দিয়েছে বিচারপতি সূর্যকান্ত এবং দীপঙ্কর দত্তর ডিভিশন বেঞ্চ ৷ বিচারপতিদের পর্যবেক্ষণ, এই সংলাপটি এই মামলার জন্য উপযুক্ত ৷
অরুণের হয়ে সওয়াল করছিলেন প্রবীণ আইনজীবী নিত্যা রামকৃষ্ণণ ৷ আদালতে তাঁর দাবি, একই মামলায় অন্য় একজন আগেই ছাড়া পেয়েছেন ৷ বম্বে হাইকোর্টের সেই সিদ্ধান্ত সবদিক থেকেই সঠিক ছিল ৷ তাছাড়া অরুণের একাধিক শারীরিক সমস্যা আছে ৷ তবে আবেদন খারিজ করে দিয়েছে বেঞ্চ ৷ এপ্রিল মাসে শুনানির সময় বম্বে হাইকোর্ট অরুণকে সময়ের আগে মুক্ত করা যায় কি না, তা ভেবে দেখতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করা করেছিল ৷ এরপর মামলা আসে সুপ্রিম কোর্টে ৷ জুন মাসের 3 তারিখ শীর্ষ আদালত জানায়, এখনই অরুণকে মুক্তি দেওয়া সম্ভব নয় ৷ এদিন সেই নির্দেশই বহাল রইল ৷ আগামী 20 নভেম্বর ফের এই মামলার শুাননি হবে ৷
2006 সালে কারাবন্দিদের মুক্তি দেওয়া সংক্রান্ত একটি নীতি গৃহীত হয়েছিল ৷ সেই নীতি অনুযায়ী কুখ্যাত গ্যাংস্টারকে মুক্তি দেওয়া যায় কি না, তা খতিয়ে দেখতে বলে হাইকোর্ট ৷ এই মামলায় মহারাষ্ট্র সরকারের আইনজীবী রাজা ঠাকরে দাবি করেন অরুণের নামে 10টি খুন-সহ 46টি মামলা আছে ৷ মোট 17 বছর তিনি জেলে ছিলেন ৷ হাইকোর্ট থেকে মামলা আসে সুপ্রিম কোর্টে ৷ এবার 20 নভেম্বর ফের এই মামলার শুাননি হবে ৷