ETV Bharat / bharat

জ্ঞানবাপী মসজিদের 'ব্যাস তেহখানায়' পুজো চলবে, এলাহাবাদ হাইকোর্টের নির্দেশই বহাল সুপ্রিম কোর্টে - Gyanvapi Mosque

Supreme Court on Gyanvapi Mosque: মুসলিম পক্ষের আবেদনকে নাকচ করে দিল সুপ্রিম কোর্ট ৷ জ্ঞানবাপী মসজিদে পুজো চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেশের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চের ৷ তবে পুজো ও নমাজের ক্ষেত্রে স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে বলা হয়েছে ৷

Supreme Court
Supreme Court
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Apr 1, 2024, 5:15 PM IST

নয়াদিল্লি, 1 এপ্রিল: জ্ঞানবাপী মসজিদের 'ব্যাস তেহখানায়' পুজো পাঠ চালিয়ে যেতে পারবে হিন্দুরা ৷ মুসলিম পক্ষের আবেদন খারিজ করে দিল সুপ্রিম কোর্ট ৷ বারাণসী আদালত ও এলাহাবাদ হাইকোর্টের নির্দেশই বহাল রাখল শীর্ষ আদালত ৷

31 জানুয়ারি বারাণসী আদালত জ্ঞানবাপী মসজিদের 'ব্যাস তেহখানায়' পুজোর অনুমতি দিয়েছিল ৷ সেই রায়ের বিরুদ্ধে এলাহাবাদ হাইকোর্টে দু’টি আবেদন করেছিল মসজিদ কর্তৃপক্ষ ৷ 26 ফেব্রুয়ারি সেই আবেদন খারিজ করে দিয়ে জ্ঞানবাপীর 'ব্যাস তেহখানায়' পুজোর নির্দেশ বহাল রাখে এলাহাবাদ হাইকোর্ট ৷ এরপরেই এলাহাবাদ হাইকোর্টের রায়ের উপর স্থগিতাদেশ চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় মসজিদ কমিটি ৷ শীর্ষ আদালত মুসলিম পক্ষের সেই আবেদন খারিজ করে জ্ঞানবাপী মসজিদের 'ব্যাস তেহখানায়' পুজো চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ বহাল রেখেছে।

দেশের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা এবং মনোজ মিশ্রের নেতৃত্বে তিন বিচারপতির বেঞ্চ বলেছে, "মসজিদ কমিটির আবেদনের ভিত্তিতে নোটিশ জারি করা উপযুক্ত হবে । অর্থাৎ যারা 'ব্যাস তেহখানায়' পুজো দিতে আসবে তারা দক্ষিণ দিক থেকে এবং নমাজের জন্য আসবে তারা মসজিদে উত্তর দিক থেকে প্রবেশ করবে । স্থিতাবস্থা বজায় রাখা গুরুত্বপূর্ণ ৷ যাতে উভয় সম্প্রদায় জারি করা শর্তে ধর্মীয় উপাসনা করতে পারে ৷ "

প্রসঙ্গত, বারাণসীর জ্ঞানবাপী মসজিদ নিয়ে এএসআই সমীক্ষা রিপোর্ট 25 জানুয়ারি প্রকাশ করা হয় ৷ তারপর থেকে এই নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয় ৷ কারণ ওই রিপোর্টে মসজিদ কমপ্লেক্সের মধ্যে হিন্দু দেবদেবীদের মূর্তি ও অন্যান্য মূর্তি থাকার প্রমাণ মিলেছে বলে দাবি করা হয় ৷ এরপর 31 জানুয়ারি মসজিদের 'ব্যাস তেহখানায়' পুজো করার অনুমতি দেয় বারাণসী আদালত ৷ ওই রায়ে বারাণসী আদালত জানিয়েছিল, সাত দিনের মধ্যে জেলা প্রশাসনকে 'ব্যাস তেহখানায়' পুজোর আয়োজন করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে ৷ তবে, সাতদিনের অপেক্ষা করতে হয়নি ৷ 1 ফেব্রুয়ারির সকালেই সেখানে পুজো শুরু হয় ৷

উল্লেখ্য, জ্ঞানবাপী মসজিদের মোট চারটি তেহখানা রয়েছে ৷ যার মধ্যে একটি 'ব্যাস' পরিবারের দখলে রয়েছে ৷ ব্যাসরা সেখানে বসবাস করতেন বলে মন্দির কর্তৃপক্ষের তরফে দাবি করা হয়েছে ৷ সেই মতো ব্যাসদের তরফে আবেদন করা হয়েছিল, যাতে বংশানুক্রমে তাদের সেখানে প্রবেশ ও পুজো করার অনুমতি দেওয়া হোক ৷ বারাণসী আদালত সেই আবেদন মঞ্জুর করে ৷

আরও পড়ুন:

  1. জ্ঞানবাপীর 'ব্যাস তেহখানায়' পুজোর নির্দেশ বহাল রাখল এলাহাবাদ হাইকোর্ট
  2. আদালতের নির্দেশের পরই বৃহস্পতির ভোর থেকে জ্ঞানবাপী মসজিদের ভিতরে শুরু পুজো-পাঠ
  3. জ্ঞানবাপী মসজিদের বেসমেন্টে পুজো দিতে পারবে হিন্দুরা: আদালত

নয়াদিল্লি, 1 এপ্রিল: জ্ঞানবাপী মসজিদের 'ব্যাস তেহখানায়' পুজো পাঠ চালিয়ে যেতে পারবে হিন্দুরা ৷ মুসলিম পক্ষের আবেদন খারিজ করে দিল সুপ্রিম কোর্ট ৷ বারাণসী আদালত ও এলাহাবাদ হাইকোর্টের নির্দেশই বহাল রাখল শীর্ষ আদালত ৷

31 জানুয়ারি বারাণসী আদালত জ্ঞানবাপী মসজিদের 'ব্যাস তেহখানায়' পুজোর অনুমতি দিয়েছিল ৷ সেই রায়ের বিরুদ্ধে এলাহাবাদ হাইকোর্টে দু’টি আবেদন করেছিল মসজিদ কর্তৃপক্ষ ৷ 26 ফেব্রুয়ারি সেই আবেদন খারিজ করে দিয়ে জ্ঞানবাপীর 'ব্যাস তেহখানায়' পুজোর নির্দেশ বহাল রাখে এলাহাবাদ হাইকোর্ট ৷ এরপরেই এলাহাবাদ হাইকোর্টের রায়ের উপর স্থগিতাদেশ চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় মসজিদ কমিটি ৷ শীর্ষ আদালত মুসলিম পক্ষের সেই আবেদন খারিজ করে জ্ঞানবাপী মসজিদের 'ব্যাস তেহখানায়' পুজো চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ বহাল রেখেছে।

দেশের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা এবং মনোজ মিশ্রের নেতৃত্বে তিন বিচারপতির বেঞ্চ বলেছে, "মসজিদ কমিটির আবেদনের ভিত্তিতে নোটিশ জারি করা উপযুক্ত হবে । অর্থাৎ যারা 'ব্যাস তেহখানায়' পুজো দিতে আসবে তারা দক্ষিণ দিক থেকে এবং নমাজের জন্য আসবে তারা মসজিদে উত্তর দিক থেকে প্রবেশ করবে । স্থিতাবস্থা বজায় রাখা গুরুত্বপূর্ণ ৷ যাতে উভয় সম্প্রদায় জারি করা শর্তে ধর্মীয় উপাসনা করতে পারে ৷ "

প্রসঙ্গত, বারাণসীর জ্ঞানবাপী মসজিদ নিয়ে এএসআই সমীক্ষা রিপোর্ট 25 জানুয়ারি প্রকাশ করা হয় ৷ তারপর থেকে এই নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয় ৷ কারণ ওই রিপোর্টে মসজিদ কমপ্লেক্সের মধ্যে হিন্দু দেবদেবীদের মূর্তি ও অন্যান্য মূর্তি থাকার প্রমাণ মিলেছে বলে দাবি করা হয় ৷ এরপর 31 জানুয়ারি মসজিদের 'ব্যাস তেহখানায়' পুজো করার অনুমতি দেয় বারাণসী আদালত ৷ ওই রায়ে বারাণসী আদালত জানিয়েছিল, সাত দিনের মধ্যে জেলা প্রশাসনকে 'ব্যাস তেহখানায়' পুজোর আয়োজন করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে ৷ তবে, সাতদিনের অপেক্ষা করতে হয়নি ৷ 1 ফেব্রুয়ারির সকালেই সেখানে পুজো শুরু হয় ৷

উল্লেখ্য, জ্ঞানবাপী মসজিদের মোট চারটি তেহখানা রয়েছে ৷ যার মধ্যে একটি 'ব্যাস' পরিবারের দখলে রয়েছে ৷ ব্যাসরা সেখানে বসবাস করতেন বলে মন্দির কর্তৃপক্ষের তরফে দাবি করা হয়েছে ৷ সেই মতো ব্যাসদের তরফে আবেদন করা হয়েছিল, যাতে বংশানুক্রমে তাদের সেখানে প্রবেশ ও পুজো করার অনুমতি দেওয়া হোক ৷ বারাণসী আদালত সেই আবেদন মঞ্জুর করে ৷

আরও পড়ুন:

  1. জ্ঞানবাপীর 'ব্যাস তেহখানায়' পুজোর নির্দেশ বহাল রাখল এলাহাবাদ হাইকোর্ট
  2. আদালতের নির্দেশের পরই বৃহস্পতির ভোর থেকে জ্ঞানবাপী মসজিদের ভিতরে শুরু পুজো-পাঠ
  3. জ্ঞানবাপী মসজিদের বেসমেন্টে পুজো দিতে পারবে হিন্দুরা: আদালত
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.