নয়াদিল্লি, 13 নভেম্বর: বিধানসভা নির্বাচনের আগে অজিত পাওয়ারের এনসিপি শিবিরকে নিজের পায়ে দাঁড়ানোর পরামর্শ দিল সুপ্রিম কোর্ট ৷ মহারাষ্ট্রে বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারে অজিত পাওয়ারের নেতৃত্বে থাকা ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টি, শরদ পাওয়ারের এনসিপি'র প্রতীক ঘড়ি চিহ্ন ব্যবহার করেছে ৷ দলের মূল প্রতিষ্ঠাতা শরদ পাওয়ারের ছবি থেকে শুরু করে ভিডিয়োও দেখা গিয়েছে তাদের প্রচারে ৷ এমনই দাবি ঘিরে মামলা দায়ের হয়েছিল সর্বোচ্চ আদালতে ।
অজিত পাওয়ারের এনসিপি'র এক নেতা শরদ পাওয়ারের একটি ভিডিয়ো ক্লিপ ব্যবহার করে নির্বাচনী প্রচার করেছেন ৷ এনিয়ে শীর্ষ আদালতে মামলা করেছিলেন প্রবীণ নেতা তথা এনসিপি (এসসিপি) প্রতিষ্ঠাতা শরদ পাওয়ার ৷ সেই মামলার শুনানিতে বুধবার বিচারপতি সূর্য কান্ত এবং বিচারপতি উজ্জ্বল ভুঁইয়ার বেঞ্চ, শরদ পাওয়ার এবং ভাইপো অজিত পাওয়ারের নেতৃত্বে থাকা দুই এনসিপিকে আদালতে সময় নষ্ট না করে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে মনোনিবেশ করতে বলে ৷
অজিত পাওয়ারের পক্ষে প্রবীণ আইনজীবী বলীবীর সিংকে বেঞ্চ বলে, "আপনার দলকে বলুন, তারা যেন শরদ পাওয়ারের পুরনো বা নতুন কোনও ছবি বা ভিডিয়ো ব্যবহার না করে ৷ ওই দলের মতাদর্শ আপনাদের থেকে আলাদা ৷ নিজেদের পায়ে দাঁড়ানোর চেষ্টা করুন ৷" অজিত পাওয়ারের নেতৃত্বে থাকা এনসিপিকে আদালতের আরও নির্দেশ, তারা যেন দলীয় কর্মী থেকে শুরু করে নেতাদের সুপ্রিম কোর্টের এই বক্তব্য নোটিশ পাঠিয়ে জানিয়ে দেয় ৷
এদিন শরদ পাওয়ারের তরফে আদালতে উপস্থিত ছিলেন প্রবীণ আইনজীবী অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি। তিনি বলেন, "ভারতীয় নাগরিকরা খুব বুদ্ধিমান ৷ তাঁরা খুব ভালোভাবে জানেন কে শরদ পাওয়ার আর কে অজিত পাওয়ার ! তাঁদের সহজে বোকা বানানো সম্ভব নয় ৷"
1999 সালে শরদ পাওয়ার ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টি গঠন করেন ৷ সেই সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন লোকসভার অধ্যক্ষ পূর্ণ সাংমা এবং তারিক আনওয়ার ৷ 2023 সালের জুলাই মাসে শরদ পাওয়ারের ভাইপো অজিত পাওয়ার ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টি ভেঙে বেরিয়ে আসেন ৷ সেই সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন একাধিক এনসিপি বিধায়ক ৷ অজিত পাওয়ারের নেতৃত্বে আরেকটি এনসিপি গঠিত হয় ৷ তারা মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডের বিজেপি-শিবসেনা সরকারকে সমর্থন করে ৷ পরে উপমুখ্যমন্ত্রী হন অজিত পাওয়ার ৷