নয়াদিল্লি, 19 মার্চ: নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন বা সিএএ (সিটিজেনশিপ অ্য়ামেন্ডমেন্ট অ্য়াক্ট) বলবৎ করা নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে জবাব চাইল সুপ্রিম কোর্ট ৷ আগামী তিন সপ্তাহের মধ্যে কেন্দ্রকে জবাব দিতে হবে বলে জানিয়েছে শীর্ষ আদালত ৷ আগামী 9 এপ্রিল এই নিয়ে পরবর্তী শুনানি হবে ৷
গত 11 মার্চ সিএএ লাগু করার বিজ্ঞপ্তি জারি করে কেন্দ্রীয় সরকার ৷ সেই বিজ্ঞপ্তির উপর স্থগিতাদেশ চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে একাধিক আবেদন জমা পড়ে ৷ মঙ্গলবার সেই নিয়ে শুনানি হয় দেশের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে ৷ সেখানে সুপ্রিম কোর্ট আবেদনকারীদের দাবি মেনে সিএএ-এর উপর স্থগিতাদেশ দিতে অস্বীকার করে ৷ তবে এই নিয়ে কেন্দ্রের বক্তব্য জানতে চায় ৷
প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন ওই বেঞ্চে বিচারপতি জেবি পার্দিওয়ালা এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্রও ছিলেন ৷ তাঁদের সামনে কেন্দ্রের পক্ষ থেকে সলিসিটার জেনারেল তুষার মেহতা জানান, 20টি আবেদনের জবাব দিতে চার সপ্তাহ সময় প্রয়োজন ৷ পাশাপাশি তিনি জানান, এই আইনে কারও নাগরিকত্ব ছিনিয়ে নেওয়া হবে না ৷ শেষে সুপ্রিম কোর্ট তিন সপ্তাহের সময় দেয় কেন্দ্রকে ৷ আগামী 9 এপ্রিল ওই মামলার শুনানি হবে ৷ তার মধ্যেই কেন্দ্রকে এই নিয়ে জবাব দিতে হবে ৷
উল্লেখ্য, 2019 সালের শেষে শীতকালীন অধিবেশন নাগরিকত্ব সংশোধীন বিল লোকসভা ও রাজ্যসভায় পাশ করায় কেন্দ্রীয় সরকার ৷ পরে রাষ্ট্রপতি তা আইনে পরিণত করেন ৷ কিন্তু এই নিয়ে দেশের বিভিন্ন অংশে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে ৷ অনেকে অভিযোগ করেন যে এই আইন আসলে এনআরসি-র প্রথম ধাপ৷ মানুষের নাগরিকত্ব কাড়তে এই আইন তৈরি হয়েছে ৷
যদিও কেন্দ্রের যুক্তি ছিল যে প্রতিবেশী দেশের ধর্মীয় সংখ্যালঘু, যাঁরা 2014 সালের 31 ডিসেম্বরের মধ্যে ভারতে এসেছেন, তাঁদের নাগরিত্ব দেওয়া হবে ৷ কারও নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ার জন্য এই আইন তৈরি হয়নি ৷ নানা কারণে এই আইন লাগু করেনি কেন্দ্র ৷ গত 11 মার্চ ওই আইন লাগুর বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয় কেন্দ্রের তরফে ৷ তার পরই সুপ্রিম কোর্টে মামলা হয় ৷
সংবাদসংস্থা - পিটিআই
আরও পড়ুন: