গাদগ (কর্ণাটক), 23 এপ্রিল: সম্পত্তি বিক্রির ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন বাবা ও সৎ মা ৷ তাই তাঁদেরকে রাস্তা থেকে সরাতে সুপারি কিলারদের ভাড়া করে ছেলে ৷ তবে ঘটনাক্রমে ভাড়াটে গুণ্ডাদের টার্গেট মিস হয়ে যায় ৷ তাদের হাতে খুন হতে হয় যুবকের সৎ ভাই ও তিন আত্মীয়কে ৷ ঘটনাটি ঘটেছে কর্ণাটক গাদগ পৌরসভা এলাকায় ৷ পুলিশ আটজন অভিযুক্তকে এই ঘটনায় গ্রেফতার করেছে ৷
জানা গিয়েছে, 19 এপ্রিল ভোরে গাদগ পৌরসভার সহ-সভাপতি প্রকাশ বাকালের ছেলে কার্তিক-সহ একই পরিবারের চার সদস্যকে অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয় ৷ তাঁদের ঘরের দরজা না খুলে পুলিশকে খবর দেওয়ায় প্রাণে বেঁচে যান প্রকাশ ও তাঁর স্ত্রী সুনন্দা বাকাল । বাড়ির দোতলায় ঘরে ঘুমিয়ে ছিলেন পরশুরাম, তাঁর স্ত্রী ও মেয়ে ৷ তাঁদেরকে খুন করা হয় । নিহত তিনজনই কপালের বাসিন্দা এবং তাঁরা বাকালে পরিবারের আত্মীয় । মৃত কার্তিক বাকালের বাগদান অনুষ্ঠানে যোগ দিতেই আত্মীয়রা এসেছিলেন ।
পুলিশ তদন্তে নেমে জানতে পারে, এই ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত বিনায়ক বাকালে প্রকাশের প্রথম স্ত্রীর ছেলে। বিনায়ক বাকি অভিযুক্ত ফাইরোজ কাজী-সহ সহ পাঁচজনের একটি দলকে 65 লক্ষ টাকার বিনিময়ে বাবা প্রকাশ বাকালে ও সৎ মা সুনন্দাকে হত্যা করতে সুপারি দিয়েছিল । তার জন্য 2 লক্ষ টাকা অগ্রিমও দেওয়া হয় ।
পুলিশ সূত্রে খবর, সম্প্রতি প্রকাশ বাকালে ও ছেলে বিনায়কের মধ্যে ব্যবসা নিয়ে বিরোধ হয় । এদিকে কয়েক মাস আগে বিনায়ক তার বাবা প্রকাশের কথা না শুনে কিছু সম্পত্তি বিক্রি করে দিয়েছিলেন । প্রকাশ বাকালে বিনায়কের এই কাজে ক্ষুব্ধ হন ও তাদের মধ্যে এই নিয়ে বচসাও বাধে । সম্পত্তি বিক্রির বিরোধিতা করায় বাবা প্রকাশ ও সৎ মা সুনন্দাকে তাই হত্যা করার পরিকল্পনা করেছিল বিনায়ক । কিন্তু পরিবর্তে আত্মীয় ও তাঁর ভাইকে খুন করে ফেলে সুপারি কিলাররা ।
জানা গিয়েছে, পুলিশ তদন্তে নেমে ঘটনাস্থল থেকে অভিযুক্তদের পালানোর সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে । সেই ভিডিয়ো খতিয়ে দেখে 72 ঘণ্টার মধ্যে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে পুলিশ ৷ তাদের জেরা করায় গোটা ঘটনা সামনে আসে ৷ মামলার তদন্তকারীদের জন্য 5 লক্ষ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছে পুলিশের তরফে ।
আরও পড়ুন: