লখনউ, 29 জানুয়ারি: ঘর দেখানোর নাম করে দুই বোনকে গণধর্ষণ ৷ অভিযুক্ত 5 যুবক ৷ লখনউয়ের মাদিয়ানভ এলাকার ঘটনা ৷ নির্যাতিতার অভিযোগ, পুলিশের কাছে গেলে অভিযোগ নিতে অস্বীকার করে পুলিশ ৷ এরপরই নির্যাতিতার পরিবারের পক্ষ থেকে লখনউয়ের মহিলা কমিশন, মুখ্যমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্র সচিবের কাছেও বিষয়টি জানানো হয়েছে ৷ পুলিশের দাবি ওই যুবকদের ফাঁসানো হচ্ছে, তাই অভিযোগ নেওয়া হয়নি ৷
প্রশাসনের দ্বারস্থ নির্যাতিতারা: রায়বেরেলির বাসিন্দা নির্যাতিতা তরুণী প্রশাসনের কাছে লেখা একটি চিঠিতে সমস্ত ঘটনার কথা জানান ৷ সেই চিঠিতেই উল্লেখ করেন, বাবা-মা এবং নাবালিকা বোনের সঙ্গে ভাড়া থাকতেন তিনি ৷ সম্প্রতি বাড়িওয়ালার ছেলের বিয়ে ঠিক হওয়ায় ঘর খালি করা কথা বলা হয় বাড়িওয়ালার তরফে ৷ তাই নতুন ঘরের খোঁজে ছিলেন তাঁরা ৷ এরই মধ্যে এক ব্যক্তির সঙ্গে দেখা হয় দুই বোনের ৷ ওই ব্যক্তি তাদের ঘর খুঁজে দেবে বলে জানায় ৷ তাও নামমাত্র টাকায় ৷ ওই ব্যক্তির কথা মতো স্থানীয় কাপুরথালা চকের কাছে তার সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিল দুই বোন ৷ সেখানে গিয়ে তাঁরা দেখতে ওই ব্যক্তির সঙ্গে তার তিন বন্ধুও আছে ৷ তাদের মধ্যে একযুবক ওই নির্যাতিতাকে 10হাজার টাকার বিনিময়ে চাকরির টোপ দেয় ৷ সে আরও জানায়, ওই সংস্থায় চাকরি করলে একটি ঘরও পাওয়া যাবে থাকার জন্য ৷
ঘর দেখানোর অজুহাত : নির্যাতিতার অভিযোগ, ঘরের খোঁজে এক গাড়ি চালক দুই বোনকে কাপুরথালা চক এলাকায় পৌঁছে দেয়। নিদির্ষ্ট জায়গায় পৌঁছতেই দেখতে পায় আগে থেকেই চার যুবক সেখানে উপস্থিত হয়ে গিয়েছে ৷ এরপরই অভিযুক্তরা দু'জনকে চা খাওয়ায় ৷ এরপরই দুই বোন অজ্ঞান হয়ে যায়। জ্ঞান ফিরতেই দু'জন বুঝতে পারে তাঁরা নির্যাতনের স্বীকার ৷ অভিযোগ, মাদক মিশ্রিত চা-খাইয়ে চার যুবক ও গাড়ি চালক দুই বোনকে গণধর্ষণ করে। সেকথা জানাজানি হলে প্রাণনাশের হুমকি দেয় অভিযুক্তরা ৷ যদিও নির্যাতিতারা থানায় একাধিকবার অভিযোগ জানানো হলেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
ঘটনা প্রসঙ্গেই মাদিয়াভ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জানান, বিষয়টি তদন্তাধীন ৷ তবে এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। ফুটেজ-সংগ্রহের চেষ্টা করা হচ্ছে ঘটনাটির সত্যতা যাচাই কারার জন্য ৷ অভিযোগ প্রমাণিত হলে দোষীদের শাস্তি হবে বলেও জানান ৷
আরও পড়ুন: