কোলার, 20 জানুয়ারি: রামলালার মূর্তিতে কী ধরনের পাথর ব্যবহার হবে ? তা ঠিক করেছেন বিজ্ঞানীরা ৷ এই পাথরের উপর নির্ভর করছে মূর্তি, মন্দিরের স্থায়িত্ব ৷ কোন পাথর কোথায় কীভাবে ব্যবহার করা হবে, সেই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কর্ণাটকের কোলারের বিজ্ঞানী ডঃ রজন বাবু ৷ তিনি কোলার গোল্ড ফিল্ডের ন্যাশনাল ইনস্টিটউট অফ রক মেকানিক্সের প্রধান বিজ্ঞানী ৷ এমনকী যে পাথর দিয়ে রামলালার মূর্তি তৈরি হয়েছে, তাও ঠিক করে দিয়েছেন তিনি ৷ সেই পাথর দিয়েই রামলালার মূর্তি গড়েছেন মাইসোরের ভাস্করশিল্পী অরুণ যোগীরাজ ৷
রামমন্দিরের পরতে পরতে জড়িয়ে রয়েছেন এনআইআরএমের প্রধান বিজ্ঞানী ডঃ রজন ৷ মন্দিরের গাত্রে পাথরের কারুকার্য, বিভিন্ন নকশায় ব্যবহৃত পাথর, রামমন্দিরের মেঝেতে ব্যবহৃত পাথর, রামলালার মূর্তিতে সূক্ষ্ম খোদাই কাজের পাথর- এই সব কিছুই তিনি নিজে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ৷ রামমন্দির তৈরির সময় নিজে দাঁড়িয়ে থেকে সব কাজকর্ম খতিয়ে দেখেছেন ৷
অযোধ্যায় রামমন্দির নির্মাণে বিভিন্ন রাজ্য থেকে পাথর এসেছে ৷ সেই সব রাজ্যে গিয়ে পাথরগুলি বাছাই করেছেন ডঃ রজন বাবু নিজে ৷ প্রথমে সংশ্লিষ্ট খাদান থেকে পাথরের নমুনা এনে তা এনআইআরএমে পরীক্ষা করা হয়েছে ৷ পরীক্ষার ফলাফলে সন্তুষ্ট হলে তবেই তা রামমন্দির নির্মাণে ব্যবহারের জন্য ছাড়পত্র দিয়েছেন বিজ্ঞানী ৷ তাই বলা যায়, রামমন্দির তৈরিতে সারা দেশের অন্যতম প্রযুক্তিবিদ, ইঞ্জিনিয়ার, একাধিক ভাস্করশিল্পীর ভূমিকা রয়েছে ৷
রামমন্দিরের পাথর সংগ্রহ: কর্ণাটকের চিক্কাবল্লপুর, সদরহল্লি, দেবানাহল্লি, অন্ধ্রপ্রদেশ ও তেলেঙ্গানার ওয়ারাঙ্গল ও করিম নগর থেকেই মূলত রামমন্দির নির্মাণের পাথর এসেছে ৷ রাজস্থানের মাকরানা পাথর দিয়ে মেঝে তৈরি হয়েছে ৷ দেওয়ালে ব্যবহার হয়েছে বায়ানা স্যান্ডস্টোন ৷ আর কর্ণাটকের মাইসোরের কৃষ্ণা শীলা স্টোন দিয়ে রামলালার মূর্তিতে খোদাইকার্য করা হয়েছে ৷
পাথরে ইন্টারলকিং সিস্টেম: পাথরে পাথরে ইন্টারলকিং সিস্টেম প্রযুক্তি নিয়ে বিজ্ঞানী রজন বাবু বলেন, "রামমন্দির নির্মাণে উন্নতমানের পাথর ব্যবহার করা হয়েছে ৷ পাথরে পাথরে ইন্টারলকিং সিস্টেমের উপর গড়ে উঠেছে এই মন্দির ৷ এর ফলে এই মন্দিরটি 1 হাজার বছর টিকে থাকতে পারবে ৷ আর প্রাকৃতিক কারণ যেমন বজ্রপাত, বৃষ্টি, ভূমিকম্পের ফলে রামমন্দিরের কোনও ক্ষতি হবে না ৷"
আরও পড়ুন: