ETV Bharat / bharat

উত্তরপ্রদেশে মাদ্রাসা বৈধ, সাংবিধানিক ! জানিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট

22 মার্চ এলাহাবাদ হাইকোর্ট মাদ্রাসা আইনকে ‘অসাংবিধানিক’, ধর্মনিরপেক্ষতার নীতির লঙ্ঘন হিসাবে ঘোষণা করে ৷ রাজ্য সরকারকে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের রাজ্যের অন্যান্য বিদ্যালয়ে স্থানান্তরের নির্দেশ দেয় ।

SC upholds validity of UP madrassa law
উত্তরপ্রদেশে মাদ্রাসা বৈধ, সাংবিধানিক ! (ইটিভি ভারত)
author img

By PTI

Published : Nov 5, 2024, 1:53 PM IST

নয়াদিল্লি, 5 নভেম্বর: উত্তরপ্রদেশের মাদ্রাসাগুলি বৈধ এবং সাংবিধানিক ৷ 2004 সালের উত্তরপ্রদেশ বোর্ড অফ মাদ্রাসা শিক্ষা আইনের সাংবিধানিক বৈধতাকে বহাল রাখল সুপ্রিম কোর্ট ৷ খারিজ হয়ে গেল এলাহাবাদ হাইকোর্টের রায় । সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্রের বেঞ্চ জানিয়ে দিল, আইনটি ধর্মনিরপেক্ষতার নীতির লঙ্ঘন করেছে বলে হাইকোর্ট যে রায় দিয়েছিল, তা ঠিক নয় ।

প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘‘আমরা উত্তরপ্রদেশ মাদ্রাসা আইনের বৈধতা বহাল রেখেছি ৷ রাজ্যের আইন প্রণয়ন ক্ষমতার অভাব থাকলেই একটি আইন বাতিল করা যেতে পারে ৷’’ সর্বোচ্চ ন্যায়ালয়ের এই নির্দেশে স্বস্তি পেল যোগী-রাজ্যের মাদ্রাসা শিক্ষক-ছাত্ররা ৷ কারণ এলাহাবাদ হাইকোর্ট মাদ্রাসায় সেমিনারি বন্ধ করার এবং শিক্ষার্থীদের রাজ্যের অন্যান্য বিদ্যালয়ে স্থানান্তরের নির্দেশ দিয়েছিল ।

2004 সালে কার্যকর হয়েছিল উত্তরপ্রদেশ মাদ্রাসা বোর্ড শিক্ষা আইন । সেসময় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন সমাজবাদী পার্টির প্রধান মুলায়ম সিংহ যাদব ৷ কিন্তু যোগী আদিত্যনাথের সরকার ক্ষমতা দখলের পরেই রাজ্যের মাদ্রাসাগুলি নিয়ে সমীক্ষা শুরু করে । মাদ্রাসাগুলিতে কোনও বিদেশি অনুদান আসছে কি না, তা নিয়ে সমীক্ষা শুরু হয় ।

তারপরেই রাজ্যে মাদ্রাসা শিক্ষা আইনের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে এলাহাবাদ হাইকোর্টে মামলা দায়ের হয় । শুনানিতে মামলাকারীর পক্ষেই রায় দেয় হাইকোর্ট ৷ জানিয়ে দেওয়া হয়, ধর্মীয় শিক্ষা সংবিধানের পরিপন্থী ৷ সেই মামলা এসে পৌঁছয় সুপ্রিম কোর্টে ৷ শেষ পর্যন্ত সর্বোচ্চ আদালতের রায়ে স্বস্তিতে রাজ্যের 17 লক্ষ মাদ্রাসা পড়ুয়া ৷

প্রসঙ্গত, উত্তরপ্রদেশে নেপাল সীমান্তবর্তী জেলাগুলিতে বিদেশি অর্থায়নে নির্মিত 13 হাজার অবৈধ মাদ্রাসা বন্ধ করার প্রস্তুতি চলছিল । যোগী আদিত্যনাথের সরকারের নির্দেশে রাজ্যে অবৈধ মাদ্রাসার তদন্ত শেষ করে বিশেষ তদন্তকারী দল ৷ সূত্রের দাবি, সিট তাদের ওই রিপোর্টে দাবি করে, মাদ্রাসাগুলি গত দু’দশকে উপসাগরীয় দেশগুলি থেকে পাওয়া অর্থ দিয়ে তৈরি করা হয়েছে । সুপরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে আদায় করা অর্থ হাওয়ালার মাধ্যমে মাদ্রাসা নির্মাণে পাঠানো হয়েছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে ।

রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, অধিকাংশ মাদ্রাসা অনুদানের টাকায় নির্মাণকাজ সম্পন্ন করার দাবি করলেও দাতাদের নাম জানাতে পারেনি । তদন্তে দেখা গিয়েছে, মোট 23 হাজার মাদ্রাসার মধ্যে পাঁচ হাজারের অস্থায়ী স্বীকৃতির নথি রয়েছে । প্রাথমিক তদন্তের পরে, বিশেষ তদন্তকারী দল সীমান্ত এলাকায় অবস্থিত মাদ্রাসায় প্রায় 100 কোটি টাকার তহবিলের আশঙ্কা প্রকাশ করেছিল । তারপরেই আদিত্যনাথের সরকার রাজ্যে চলমান মাদ্রাসাগুলির উপর একটি সমীক্ষা চালায় । সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে যে, রাজ্যে 16,513টি স্বীকৃত মাদ্রাসা রয়েছে । অপরদিকে, সাড়ে আট হাজার অস্বীকৃত মাদ্রাসাও একইসঙ্গে চলছে । এরপর এই মাদ্রাসাগুলি বিদেশি অর্থায়ন পাচ্ছে বলে অভিযোগ ওঠে।

নয়াদিল্লি, 5 নভেম্বর: উত্তরপ্রদেশের মাদ্রাসাগুলি বৈধ এবং সাংবিধানিক ৷ 2004 সালের উত্তরপ্রদেশ বোর্ড অফ মাদ্রাসা শিক্ষা আইনের সাংবিধানিক বৈধতাকে বহাল রাখল সুপ্রিম কোর্ট ৷ খারিজ হয়ে গেল এলাহাবাদ হাইকোর্টের রায় । সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্রের বেঞ্চ জানিয়ে দিল, আইনটি ধর্মনিরপেক্ষতার নীতির লঙ্ঘন করেছে বলে হাইকোর্ট যে রায় দিয়েছিল, তা ঠিক নয় ।

প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘‘আমরা উত্তরপ্রদেশ মাদ্রাসা আইনের বৈধতা বহাল রেখেছি ৷ রাজ্যের আইন প্রণয়ন ক্ষমতার অভাব থাকলেই একটি আইন বাতিল করা যেতে পারে ৷’’ সর্বোচ্চ ন্যায়ালয়ের এই নির্দেশে স্বস্তি পেল যোগী-রাজ্যের মাদ্রাসা শিক্ষক-ছাত্ররা ৷ কারণ এলাহাবাদ হাইকোর্ট মাদ্রাসায় সেমিনারি বন্ধ করার এবং শিক্ষার্থীদের রাজ্যের অন্যান্য বিদ্যালয়ে স্থানান্তরের নির্দেশ দিয়েছিল ।

2004 সালে কার্যকর হয়েছিল উত্তরপ্রদেশ মাদ্রাসা বোর্ড শিক্ষা আইন । সেসময় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন সমাজবাদী পার্টির প্রধান মুলায়ম সিংহ যাদব ৷ কিন্তু যোগী আদিত্যনাথের সরকার ক্ষমতা দখলের পরেই রাজ্যের মাদ্রাসাগুলি নিয়ে সমীক্ষা শুরু করে । মাদ্রাসাগুলিতে কোনও বিদেশি অনুদান আসছে কি না, তা নিয়ে সমীক্ষা শুরু হয় ।

তারপরেই রাজ্যে মাদ্রাসা শিক্ষা আইনের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে এলাহাবাদ হাইকোর্টে মামলা দায়ের হয় । শুনানিতে মামলাকারীর পক্ষেই রায় দেয় হাইকোর্ট ৷ জানিয়ে দেওয়া হয়, ধর্মীয় শিক্ষা সংবিধানের পরিপন্থী ৷ সেই মামলা এসে পৌঁছয় সুপ্রিম কোর্টে ৷ শেষ পর্যন্ত সর্বোচ্চ আদালতের রায়ে স্বস্তিতে রাজ্যের 17 লক্ষ মাদ্রাসা পড়ুয়া ৷

প্রসঙ্গত, উত্তরপ্রদেশে নেপাল সীমান্তবর্তী জেলাগুলিতে বিদেশি অর্থায়নে নির্মিত 13 হাজার অবৈধ মাদ্রাসা বন্ধ করার প্রস্তুতি চলছিল । যোগী আদিত্যনাথের সরকারের নির্দেশে রাজ্যে অবৈধ মাদ্রাসার তদন্ত শেষ করে বিশেষ তদন্তকারী দল ৷ সূত্রের দাবি, সিট তাদের ওই রিপোর্টে দাবি করে, মাদ্রাসাগুলি গত দু’দশকে উপসাগরীয় দেশগুলি থেকে পাওয়া অর্থ দিয়ে তৈরি করা হয়েছে । সুপরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে আদায় করা অর্থ হাওয়ালার মাধ্যমে মাদ্রাসা নির্মাণে পাঠানো হয়েছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে ।

রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, অধিকাংশ মাদ্রাসা অনুদানের টাকায় নির্মাণকাজ সম্পন্ন করার দাবি করলেও দাতাদের নাম জানাতে পারেনি । তদন্তে দেখা গিয়েছে, মোট 23 হাজার মাদ্রাসার মধ্যে পাঁচ হাজারের অস্থায়ী স্বীকৃতির নথি রয়েছে । প্রাথমিক তদন্তের পরে, বিশেষ তদন্তকারী দল সীমান্ত এলাকায় অবস্থিত মাদ্রাসায় প্রায় 100 কোটি টাকার তহবিলের আশঙ্কা প্রকাশ করেছিল । তারপরেই আদিত্যনাথের সরকার রাজ্যে চলমান মাদ্রাসাগুলির উপর একটি সমীক্ষা চালায় । সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে যে, রাজ্যে 16,513টি স্বীকৃত মাদ্রাসা রয়েছে । অপরদিকে, সাড়ে আট হাজার অস্বীকৃত মাদ্রাসাও একইসঙ্গে চলছে । এরপর এই মাদ্রাসাগুলি বিদেশি অর্থায়ন পাচ্ছে বলে অভিযোগ ওঠে।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.