নয়াদিল্লি, 11 নভেম্বর: আরজি করের ঘটনায় প্রতিবাদে সামিল হওয়া দুই মহিলাকে গ্রেফতার করেছিল পশ্চিমবঙ্গের পুলিশ। পুলিশি হেফাজতে তাঁদের নির্যাতনও করা হয় বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। সেই নির্দেশ স্থগিত করল সুপ্রিম কোর্ট । রাজ্য পুলিশের সিট তদন্ত চালাবে বলে জানান সর্বোচ্চ আদালত।
সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সূর্য কান্ত এবং উজ্জ্বল ভুঁইয়ার ডিভিশন বেঞ্চে মামলার শুনানি হয় । রাজ্য সরকারের তরফে কপিল সিবাল, আস্থা শর্মা-সহ 3 প্রবীণ আইনজীবী সওয়াল করেন সোমবার । শুনানির পর নিজেদের পর্যবেক্ষণ তুলে ধরেন বিচারপতিরা। তাঁরা জানান, কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল। আপাতত ওই নির্দেশ স্থগিত থাকবে। তবে রাজ্য পুলিশের সিট তদন্ত করবে।
এই ঘটনায় আগেই সিট তৈরি হয়েছিল । তারপর সিবিআই তদন্ত শুরু হয়। এবার আবার সিটের হাতেই গেল তদন্ত। এর জন্য নতুন করে সিট গঠনের নির্দেশ দেয় সর্বোচ্চ আদালত । তাতে 7 জন পুলিশ আধিকারিক থাকবেন। এই 7 জনের মধ্যে কমপক্ষে 5 জন মহিলা অফিসারকে রাখতে হবে । রাজ্য সরকারের আবেদনে বলা হয়েছিল, বর্তমান পিটিশনের সঙ্গে আইনের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন জড়িত। হাইকোর্টের বিচারপতি রাজ্যের তদন্তকে এড়িয়ে গিয়ে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন । এই প্রশ্নেই তারা সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে ।
এদিকে, সোমবার ফের বিস্ফোরক দাবি আরজি করের চিকিৎসক ছাত্রীর ধর্ষণ ও খুনের মামলায় মূল অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়ের ৷ আদালতের বাইরে চিৎকার করে তিনি সরাসরি আঙুল তুললেন কলকাতা পুলিশের প্রাক্তন কমিশনার বিনীত গোয়েলের দিকে ৷ সঞ্জয়ের দাবি, তাঁকে ষড়যন্ত্র করে এই ঘটনায় ফাঁসিয়েছেন বিনীত গোয়েল ৷
এদিন শিয়ালদা আদালতে শুরু হয়েছে আরজি কর মামলার বিচারপ্রক্রিয়া ৷ সেখানেই হাজির করা হয় অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়কে ৷ দিনের শেষে আদালত চত্বরের কড়া নিরাপত্তার বেষ্টনীর মধ্যেই সঞ্জয়কে যখন আদালত থেকে বের করা হয়, তখন চিৎকার করে ওঠেন সঞ্জয় ৷ প্রিজন ভ্যানের তোলার আগে জোর গলায় তিনি বলেন, "বিনীত গোয়েল আমাকে সাজিশ (ষড়যন্ত্র) করে ফাঁসিয়েছে !"