নয়াদিল্লি, 19 মার্চ: যোগগুরু রামদেব এবং পতঞ্জলির এমডিকে সমন পাঠাল সুপ্রিম কোর্ট ৷ মঙ্গলবার দেশের শীর্ষ আদালত যোগাগুরু রামদেব এবং পতঞ্জলি আয়ুর্বেদের ম্যানেজিং ডিরেক্টর আচার্য বালকৃষ্ণকে সশরীরে আদালতে হাজিরা দিতে নির্দেশ দেয় ৷ দু'সপ্তাহের মধ্য়ে তাঁদের আদালতে হাজিরা দিতে হবে ৷
পতঞ্জলির সামগ্রীর প্রকাশিত বিজ্ঞাপন নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয় ৷ এ নিয়ে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয় ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন বা আইএমএ ৷ এর আগে রামদেব একাধিকবার প্রকাশ্যে অ্যালোপ্যাথি চিকিৎসার সমালোচনা করেছেন ৷ এমনকী কোভিড অতিমারির সময়েও তিনি দাবি করেছিলেন, অ্যালোপ্যাথি চিকিৎসা কোভিডের জন্য কার্যকরী নয় ৷
অ্যালোপ্যাথি চিকিৎসা পদ্ধতির বিরুদ্ধে রামদেবের লাগাতার সমালোচনার বিরুদ্ধে শীর্ষ আদালতে মামলা দায়ের করে আইএমএ ৷ পতঞ্জলির বিজ্ঞাপন বিভ্রান্তিকর জানিয়ে মামলা করা হয় ৷ গত বছর 21 নভেম্বর পতঞ্জলির এমডিকে ভর্ৎসনা করে সুপ্রিম কোর্ট ৷ এমনকী অ্যালোপ্যাথি চিকিৎসা পদ্ধতির বিরুদ্ধে বিজ্ঞাপন চালিয়ে গেলে পতঞ্জলিকে 1 কোটি টাকা জরিমানা করা হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেয় আদালত ৷
এই হুঁশিয়ারি সত্ত্বেও পতঞ্জলির তরফে বিভ্রান্তিকর বিজ্ঞাপন চালিয়ে যাওয়া হয় বলে অভিযোগ ওঠে ৷ এমনকী নিজেদের সামগ্রী নিয়েও ভুয়ো দাবি করে পতঞ্জলি কর্তৃপক্ষ ৷ এরপর 27 ফেব্রুয়ারি রামদেব ও আচার্য বালাকৃষ্ণকে আদালত অবমাননার অভিযোগে নোটিশ পাঠায় সুপ্রিম কোর্ট ৷ এই নোটিশের কোনও উত্তর দেননি রামদেব বা বালাকৃষ্ণ ৷
এরপর এই বিজ্ঞাপন সংক্রান্ত মামলায় আদালত অবমাননা বিষয়ে বিচারপতি হিমা কোহলি এবং বিচারপতি আসানুদ্দিন আমানুল্লাহর বেঞ্চ এই নির্দেশ দিয়েছে ৷ এমনকী আদালত কেন রামদেব ও বালাকৃষ্ণের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার কার্যধারা জারি করবে না, সেই কারণ দর্শাতে হবে রামদেবকে ৷ মঙ্গলবার নির্দেশে জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট ৷ এদিন যোগাগুরু রামদেবের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন মুকুল রোহতাগি ৷
আরও পড়ুন: