নয়াদিল্লি, 20 অগস্ট: আরজি করে পড়ুয়া চিকিৎসকের হত্যার ঘটনায় স্বতঃপ্রণোদিত মামলার শুনানি হল মঙ্গলবার সকালে ৷ এদিন প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বে গঠিত তিন সদস্যের বেঞ্চ সারা দেশের হাসপাতালে কর্মরত চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে একটি ন্যাশনাল টাস্ক ফোর্স গঠন করলেন ৷
শীর্ষ আদালতের পর্যবেক্ষণ, দেশের সর্বত্র হাসপাতালে কর্মরত চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা হিংসার ঘটনার আশঙ্কা করছেন, তাঁরা আতঙ্কিত ৷ এই অবস্থায় তাঁদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে 10 সদস্যের এই এনটিএফ গঠন করে বেঞ্চ ৷ জাতীয় টাস্ক ফোর্সের নেতৃত্বে রয়েছেন সার্জন ভাইস অ্যাডমিরাল আরপি সারিন ৷ এই কমিটি হাসপাতালে নারী-পুরুষ চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মীদের সুরক্ষার বিষয়টি খতিয়ে দেখে জাতীয় স্তরে একটি প্রোটোকল তৈরি করবে ৷ তাঁদের কাজের সুযোগ-সুবিধার দিকটিও থাকবে প্রোটোকলের মধ্যে ৷
এই জাতীয় টাস্ক ফোর্সকে 3 সপ্তাহের মধ্যে একটি প্রাথমিক রিপোর্ট জমা দিতে হবে আদালতে ৷ দু'মাসের মধ্যে তাদের চূড়ান্ত রিপোর্ট শীর্ষ আদালতে পেশ করতে হবে ৷ দেশের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় ছাড়াও এই বেঞ্চে রয়েছেন বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা, বিচারপতি সঞ্জয় মিশ্র ৷ তিন সদস্যের বেঞ্চ এদিন জানায়, মহিলা চিকিৎসকদের সুরক্ষার বিষয়টি জাতীয় স্বার্থ ৷
শীর্ষ আদালত ভর্ৎসনা করে জানায়, দেশে আরেকটা ধর্ষণের ঘটনা ঘটলে, তারপর পরিবর্তন আসবে ? চিকিৎসা পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের সুরক্ষার জন্য আইনকানুন আছে ৷ কিন্তু এই পদ্ধতি সম্পর্কিত ইস্যুগুলি নিয়ে কখনও কথা বলে না তাঁরা ৷
এই দশ সদস্যের টাস্ক ফোর্সের নেতৃত্বে থাকছেন সার্জন ভাইস অ্যাডমিরাল আরপি সারিন ৷ এছাড়া এশিয়ান ইনস্টিটিউউ অফ ন্যাশনাল গ্যাসট্রোলজির ম্যানেজিং ডিরেক্টর চিকিৎসক রেড্ডি, দিল্লির এইমস-এর ডিরেক্টর চিকিৎসক এম শ্রীনিবাস, বেঙ্গালুরুর নিমহানস-এর চিকিৎসক প্রতিমা মূর্তি অন্যতম ৷ এই ফোর্সের এক্স অফিসিও সদস্য হবেন মন্ত্রিসভার সচিব এবং স্বরাষ্ট্র সচিব ৷
জাতীয় টাস্ক ফোর্স গঠন ছাড়া সিবিআইকে 22 অগস্টের মধ্যে এই মামলার রিপোর্ট পেশ করার নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত ৷ এরই সঙ্গে 14 অগস্ট মধ্যরাতে হাসপাতালে হামলার ঘটনার তদন্ত কতদূর এগিয়েছে, সেই সংক্রান্ত রিপোর্ট 22 অগস্টের মধ্যে সুপ্রিম কোর্টে জমা দিতে হবে পশ্চিমবঙ্গ সরকারকেও ৷ মামলার পরবর্তী শুনানি 23 অগস্ট হওয়ার কথা ৷