নয়াদিল্লি, 28 মার্চ: গত 1 মার্চ দুপুরে বেঙ্গালুরুর হোয়াইটফিল্ড এলাকায় রামেশ্বরম ক্যাফেতে বিস্ফোরণে আহত হন প্রায় কমপক্ষে 10 জন ৷ তারপর প্রকাশ্যে এসেছে ঘটনার সময়ের সিসিটিভি ফুটেজ ৷ প্রাথমিকভাবে সিলিন্ডার ফেটে এই বিস্ফোরণ ঘটেছে বলে অনুমান করেছিলেন তদন্তকারীরা ৷ তবে তদন্তের পর দেখা যায়, এটি পূর্বপরিকল্পিত একটি আইইডি বিস্ফোরণ। তদন্ত নিজেদের হাতে নেওয়ার পর বৃহস্পতিবার এনআইএ ক্যাফে বিস্ফোরণ কাণ্ডের মূল ষড়যন্ত্রকারীকে গ্রেফতার করেছে ৷ অভিযুক্তের নাম মুজাম্মিল শরীফ ৷
এনআইএ এক বিবৃতিতে বলেছে, "তাদের টিম কর্ণাটকের 12টি, তামিলনাড়ুতে 5টি এবং উত্তর প্রদেশের একটি জায়গা-সহ 18টি স্থানে তল্লাশি অভিযানের পর মুজাম্মিল শরীফকে গ্রেফতার করেছে ৷ এনআইএ, গত 3 মার্চ এই মামলা নিজেদের হাতে নেয় ৷ এর আগে প্রধান অভিযুক্ত মুসাভির শাজিব হুসেনকে এই মামলায় চিহ্নিত করা হয় আগেই ৷ উল্লেখ্য, মুসাভিরের নেতৃত্বেই ক্যাফেতে বিস্ফোরণটি সংঘটিত হয় ৷ এই ঘটনার আরও এক ষড়যন্ত্রকারী আব্দুল মতিন ত্বহাকেও সনাক্ত করা হয়েছে ৷ অন্যান্য একাধিক মামলায় এনআইএ তাকে খুঁজে বেরাচ্ছে ৷
এনআইএ তদন্তে জানিয়েছে, মুজাম্মিল শরীফ 1 মার্চ বেঙ্গালুরুর ব্রুকফিল্ডের আইটিপিএল রোডে অবস্থিত ক্যাফেটিতে আইইডি বিস্ফোরণে জড়িত এই মামলার ধৃত দুই অভিযুক্তকে সে সাহায্য করেছে। এনআইএ আরও জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার এই তিন অভিযুক্তের বাড়িতে অভিযান চালানো হয়, সেইসঙ্গে অন্যান্য সন্দেহভাজনদের আবাসিক প্রাঙ্গণ এবং দোকানেও অভিযান চালানো হয়। তল্লাশির সময় নগদ টাকা-সহ বিভিন্ন ডিজিটাল ডিভাইস বাজেয়াপ্ত করা হয়। পলাতক অভিযুক্তকে খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে। বিস্ফোরণের পিছনে রয়েছে বৃহত্তর ষড়যন্ত্র ৷
আরও পড়ুন: