পটনা, 29 জানুয়ারি: কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধির 'ভারত জোড় ন্যায় যাত্রা'র আজ 14তম দিন ৷ বিহারের রাজনীতি নিয়ে এখন তোলপাড় গোটা দেশ। রবিবারই নীতীশ কুমার ফের একবার এনডিএ-তে ফিরেছেন, মুখ্যমন্ত্রী পদে নবমবারের জন্য শপথ নিয়েছেন। তাঁর ইন্ডিয়া জোট থেকে পালাবদলের পর আজ বিহারের কিষাণগঞ্জে প্রবেশ করল রাহুলের ভারত জোড়ো যাত্রা ৷ আজ চোপড়া থেকে শুরু করে কিষাণগঞ্জ হয়ে বিহারের কিষাণগঞ্জে প্রবেশ করে রাহুলের ন্যায় যাত্রা। সেখানেই বিহার প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির হাতে কংগ্রেসের দলীয় পতাকা হস্তান্তর করবেন বাংলার প্রদেশ সভাপতি অধীর চৌধুরী। পালাবদলের রাজ্য কংগ্রেসের ন্যায় যাত্রা কতটা সংগত হবে? এমনই প্রশ্ন উঠছে রাজনৈতিক মহলে ৷
এরপর 31 জানুয়ারি, মালদার সুজাপুর থেকে ফের শুরু হবে বাংলায় রাহুল গান্ধীর দ্বিতীয় পর্যায়ের ন্যায় যাত্রা। মালদা হয়ে পৌঁছবে মুর্শিদাবাদে অধীরগড়ে ৷ এদিকে, বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাহুল গান্ধির সঙ্গে মঞ্চ ভাগাভাগি করার বিষয়ে এখনও নিশ্চিতভাবে কিছু জানা যায়নি ৷ তবে, উভয় দলের নেতা-নেত্রী উত্তরবঙ্গেই রয়েছেন ৷
এদিন যাত্রা নিয়ে বিহারের প্রবেশের পর কিষাণগঞ্জে রাহুল বলেন, "অনেকেই আমাকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন এই যাত্রার উদ্দেশ্য কী। আমরা তাদের বলেছিলাম যে আরএসএস-বিজেপির আদর্শ বিদ্বেষ ছড়িয়েছে। এক ধর্ম অন্য ধর্মের সঙ্গে লড়াই করছে ৷ তাই আমরা একটি দোকান খুলেছি। বিদ্বেষের বাজারে ভালোবাসার এই দোকান ৷ এই যাত্রা দেশের রাজনীতিতে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলেছে ৷ আমরা নতুন দৃষ্টি দেখিয়েছি ৷ তা হল- আদর্শ আর মহব্বত..."এছাড়া জাতিগণনা প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে রাহুল বলেন, "জাতিগণনা হলেই জনজাতি এবং ওবিসি তাদের প্রাপ্য সম্পর্কে জানতে পারবেন। এখন তাঁরা নিজেদের প্রাপ্য সম্পর্কে পুরোটাই অন্ধকারে আছেন।"
আরও পড়ুন: