নয়াদিল্লি, 15 অগস্ট: আরজি কর হাসপাতালে চিকিৎসক পড়ুয়ার মৃত্যুর ঘটনায় তোলপাড় দেশ ৷ তার মাঝেই নারী নির্যাতন নিয়ে মুখ খুললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ৷ আরজি কর-কাণ্ডের আবহেই লালকেল্লা থেকে স্পষ্ট ভাষায় প্রধানমন্ত্রী জানান, মহিলাদের উপর নৃশংসতার জন্য দোষীদের শাস্তি আরও ব্যাপকভাবে প্রচার করার প্রয়োজন ৷ কারণ হিসেবে মোদির দাবি, যাতে অপরাধীর মধ্যে নিজের পরিণতির ভয় থাকে ৷
78তম স্বাধীনতা দিবসে লালকেল্লার প্রাচীর থেকে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিতে গিয়ে মহিলাদের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও হিংসার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, "মহিলাদের উপর হওয়া অপরাধগুলির দ্রুত তদন্ত হওয়া উচিত ৷ যারা এই ধরনের পৈশাচিক কাজ করে তাদের কঠোর শাস্তি দেওয়া উচিত ৷"
একই সঙ্গে তিনি আরও বলেন, "লালকেল্লা থেকে, আমি আমার বেদনা প্রকাশ করতে চাই। একটা সমাজ হিসাবে, আমাদের মা, বোন এবং কন্যাদের প্রতি নৃশংসতার বিষয়ে আমাদের গুরুত্ব সহকারে ভাবতে হবে। এমনটা না-হওয়ায় সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভ রয়েছে ৷ আমি অনুভব করতে পারি সেই রাগ ৷" তিনি আরও জানান, এ ধরনের উদ্বেগজনক ঘটনা প্রতিনিয়ত ঘটছে ৷
প্রধানমন্ত্রীর কথায়, "অপরাধীদের মধ্যে শাস্তির ভয় জাগিয়ে তুলতে হবে। যারা এই ধরনের পাপ করে, তাদের জানা উচিত যে তাদের ফাঁসি দেওয়া হবে।" নারীর অধিকারের অগ্রগতির ইস্যুতে মোদি মাতৃত্বকালীন ছুটি 12 সপ্তাহ থেকে 26 সপ্তাহে বাড়ানোর বিষয়ে আলোচনা করেছেন। তিনি জোর দিয়ে জানান, এই পরিবর্তনটি কর্মজীবী মা এবং তাদের সন্তানদের সমর্থন করার জন্য একটি সহানুভূতিশীল এবং সাংবিধানিক পদ্ধতির প্রতিফলন করে।
তিনি বলেন, "আমরা দেখে গর্বিত নারীরা অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হচ্ছে। নারীরা যখন স্বাবলম্বী হয়, তখন তারা পারিবারিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করে, যা তাৎপর্যপূর্ণ সামাজিক রূপান্তর নিশ্চিত করবে।" মোদি জানান, সরকার এই গোষ্ঠীগুলির জন্য 10 থেকে 20 লক্ষ টাকার মধ্যে বরাদ্দ করেছে মোট 9 লক্ষ কোটি টাকা সহায়তায় দেওয়া হয়েছে। (পিটিআই)